সংগীত
১৬ আগস্ট ২০১২তাঁকে বলা হয় ‘কিং অফ রক অ্যান্ড রোল' অথবা শুধু ‘দ্য কিং'৷ ১৯৫৪ সালে কান্ট্রি এবং আরঅ্যান্ডবি'এর মিশ্রণে ‘রোকাবিলি' সংগীত দিয়েই গায়ক হিসেবে তাঁর সফল আত্মপ্রকাশ৷ ৫৬ সালে তাঁর প্রথম ‘রক এন্ড রোল' গান ‘হার্ট ব্র্যক হোটেল' তাঁকে এনে দেয় আন্তর্জাতিক খ্যাতি৷ তার পর থেকেই রক সংগীতের আদর্শ হয়ে ওঠেন তিনি
একই বছরের শেষের দিকে মুক্তি পায় তাঁর অভিনিত প্রথম ছায়াছবি ‘লাভ মি টেন্ডার'৷ ৩০টিরও বেশি ছায়াছবিতে অভিনয় ও গান গেয়েছেন এলভিস৷ এ সমস্ত ছবির গান তাঁকে এনে দেয় বিশ্ব জনপ্রিয়তা৷ সংগীত জগতে চির সবুজ হয়ে আছে তাঁর বহু গান৷ তাঁর আবেগময় সুরেলা কণ্ঠে একাকিত্ব, আশা আকাঙ্ক্ষা, ব্যাকুলতা, স্বপ্ন আর ভালোবাসা নিয়ে ‘ব্যালেড' আঙ্গিকের গান আজও মুগ্ধ করে অসংখ্য সংগীতানুরাগীদের৷
এলভিস অ্যারোন প্রেসলির জন্ম ১৯৩৫ সালে মিসিসিপির টিউপেলো শহরে৷ ছোটবেলা থেকেই স্কুলের বৃন্দ গানে অংশ নিয়েছেন নিয়মিত৷ দশ বছর বয়সে একটি সংগীত প্রতিযোগিতায় জয়লাভ করেন তিনি এবং এর পর পরই মায়ের কাছ থেকে উপহার পান একটি গিটার৷ ৪৮ সালে বাবা-মায়ের সাথে চলে আসেন মেম্ফিসে৷ হাই স্কুল পাশ করার পর বিভিন্ন ধরণের কাজ করেছেন এলভিস, পাশাপাশি চলেছে তাঁর গিটার চর্চা৷ ৫৩ সালে মাকে উপহার দেয়ার জন্য চার ডলার দিয়ে প্রথম তাঁর নিজের রেকর্ড বের করেন৷ এই রেকর্ডের মধ্য দিয়েই এই কোম্পানির মালিক ‘রোকাবিলি' সংগীতের অনুরাগী সেম ফিলিপের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং তিনি এলভিসকে নিয়ে বেশ কিছু সংগীত রেকর্ড করেন - যা আঞ্চলিকভাবে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করে৷ এর কিছুকাল পরই সংগীত অনুরাগী টম পার্কার এলভিসের ব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন৷
একমাত্র ক্যানাডায় তিনটি শো ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে কোনো কনসার্ট না করে শুধু ছায়াছবি ও তাঁর অ্যালবামের মধ্য দিয়েই বিশ্বের আনাচে-কানাচে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন এলভিস প্রেসলি৷
‘দ্য বিটলস' থকে শুরু করে বহু খ্যাতিমান গোষ্ঠী ও সংগীত শিল্পীর আদর্শ এলভিস৷ তিনিই একমাত্র সংগীত শিল্পী যিনি একসঙ্গে ‘রক অ্যান্ড রোল', ‘রোকাবিলি', ‘কান্ট্রি' ‘ব্লুস' এবং ‘গোসপেল' - এই পাঁচটি ‘হলস অফ ফেম'-এ অভিষিক্ত হয়েছেন৷ তিনবার গ্র্যামি পুরস্কারেও ভূষিত হয়েছেন তিনি৷
দীর্ঘ দিন অতিরিক্ত ওষুধ সেবনের ফলে ১৯৭৭ সালে মাত্র ৪২ বছর বয়সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন বিংশ শতাব্দির রক-পপ সংস্কৃতির আইকন ‘দ্য কিং' এলভিস প্রেসলি৷
প্রতিবেদন: মারুফ আহমদ
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ