শ্রীলঙ্কাকে আইএমএফের তিন পরামর্শ
২৬ এপ্রিল ২০২২দুই কোটি ২০ লাখ মানুষের দেশ শ্রীলঙ্কা এমনিতেই ঋণে জর্জরিত৷ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সাধারণ ক্রেতার ক্রয় ক্ষমতার সীমা ছাড়িয়েছে বহু আগে৷ জ্বালানি সংকট এত চরমে যে, হাসপাতালে রোগীর চিকিৎসা চালানোও প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে৷ বিক্ষুব্ধ জনতা প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দ্রা রাজাপাকসের পদত্যাগ এবং দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফেরানোর জন্য দ্রুত, কার্যকর পদক্ষেপ দাবি করছেন৷ অন্যদিকে রাজাপাকসে সরকার পরিস্থিতি পরিবর্তনের জন্য চাইছেন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আর্থিক সহায়তা৷
গত সপ্তাহে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল (আইএমএফ), বিশ্ব ব্যাংক এবং ভারতসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আর্থিক সহায়তার বিষয়ে আলোচনার জন্য শ্রীলঙ্কার অর্থমন্ত্রী আলী সাবরি ওয়াশিংটনে গিয়েছিলেন৷ সেই আলোচনায় খুব বড় কোনো সহায়তার আশ্বাস পাননি আলী সাবরি৷ মঙ্গলবার এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে আইএমএফের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগর বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আনে-মারি গুল্ডে-ভোল্ফ-ও শোনাননি কোনো আশার বাণী৷ বরং আরো অর্থনৈতিক সহায়তা শ্রীলঙ্কার ঋণ-নির্ভরতা স্থায়ী করতে পারে- এমন ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, চলমান অর্থনৈতিক সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে হলে শ্রীলঙ্কাকে কর আদায় বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে৷ তিনি আরো বলেন, ‘‘এছাড়া মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আর্থিক নীতিমালা জোরালো করতে হবে৷ পাশাপাশি এক্সচেঞ্জ রেট শিথিল করাও প্রয়োজন বলে মনে হচ্ছে৷''
এসিবি/ কেএম (রয়টার্স)