1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে ভোটাভুটি

২৯ মার্চ ২০১৯

ব্রিটেনের সংসদ তৃতীয়বারের মতো ব্রেক্সিট চুক্তির বিরুদ্ধে ভোট দিলো৷ ফলে চুক্তিহীন ব্রেক্সিট অথবা দীর্ঘ বিলম্ব অনিবার্য হয়ে পড়লো৷ এবার ১২ই এপ্রিলের মধ্যে ব্রিটেনকে ব্রেক্সিটের বিকল্প পথ দেখাতে হবে৷

https://p.dw.com/p/3FrUF
বিপর্যস্ত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে
ছবি: picture-alliance/dpa/PA Wire/House of Commons

মূল পরিকল্পনা অনুযায়ী শুক্রবারই ব্রেক্সিট কার্যকর হবার কথা ছিল৷ এই দিনেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ব্রিটেনের বিচ্ছেদ সংক্রান্ত চুক্তি অনুমোদন করার মরিয়া চেষ্টা চালালেন প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে৷ কিন্তু যাবতীয় প্রচেষ্টা সত্ত্বেও এই প্রস্তাব ৫৮ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হলো৷

 
শুক্রবার সংসদে তৃতীয় বারের মতো ব্রেক্সিট চুক্তি অনুমোদন করা সম্ভব না হওয়ায় আগামী ১২ই এপ্রিলের মধ্যে ব্রিটেনকে ঐকমত্যের ভিত্তিতে ব্রেক্সিটের বিকল্প পথ দেখাতে হবে৷ আগামী ১০ই এপ্রিল ইইউ শীর্ষ সম্মেলনের আগেই ব্রিটেনকে পরবর্তী পদক্ষেপ জানাতে হবে৷ তা না হলে হয় চুক্তিহীন ব্রেক্সিট, অথবা গোটা প্রক্রিয়ায় দীর্ঘ বিলম্ব মেনে নিতে হবে৷ আপাতত সংসদে অন্য কোনো বিকল্পের পক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় চুক্তি ছাড়াই ব্রেক্সিটের আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি৷ অথচ সংসদ সদস্যরা এমন পরিস্থিতির ঘোর বিরোধী৷ এই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী মে আরও একবার ব্রেক্সিট চুক্তি অনুমোদন করার চেষ্টা চালাতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে৷

প্রথম দুই প্রচেষ্টায় শোচনীয়ভাবে হার মানতে বাধ্য হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে৷ তৃতীয় প্রচেষ্টার আগে নিজের পদত্যাগের প্রস্তাবকে হাতিয়ার করে বিরোধীদের মন জয় করার চেষ্টা চালিয়েছেন তিনি৷ ব্রেক্সিটের বাকি সব বিকল্পের প্রশ্নে ঐকমত্য অর্জন করতে বিফল হয়ে সংসদ বাধ্য হয়ে তাঁর প্রস্তাব মেনে নেবে, এমন আশা সম্বল করে তিনি অগ্রসর হচ্ছিলেন৷

সংসদের নিম্ন কক্ষের স্পিকার জন বার্কো ব্রেক্সিট চুক্তি অনুমোদনের তৃতীয় প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে তাঁর প্রক্রিয়াগত আপত্তি তুলে নিয়েছিলেন৷ জটিলতা এড়াতে প্রধানমন্ত্রী শুকত্রবার শুধু বিচ্ছেদ চুক্তিটি ভোটাভুটির জন্য পেশ করছিলেন৷ অর্থাৎ শুক্রবার ইইউ-র সঙ্গে ব্রিটেনের ভবিষ্যৎ সম্পর্কের বিষয়ে রাজনৈতিক ঘোষণাপত্র নিয়ে ভোটাভুটির প্রচেষ্টা করে নি সরকার৷ এই ‘পার্থক্য’ সম্পর্কে স্পিকার সন্তুষ্টি প্রকাশ করে নিজের ছাড়পত্র দিয়েছেন৷ ব্রেক্সিট চুক্তি অনুমোদিত হলে পরে আলাদা করে ঘোষণাপত্রটি অনুমোদনের চেষ্টা চালানোর পরিকল্পনা ছিল সরকারের৷

প্রধানমন্ত্রী মে ব্রেক্সিট চুক্তির পক্ষে প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা আদায় করতে পারবেন কিনা, শুক্রবার সকালেও তা স্পষ্ট ছিল না৷ কট্টর ব্রেক্সিটপন্থিদের মধ্যে অনেকে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়ায় দীর্ঘ ও অনিশ্চিত বিলম্বের বদলে ‘ত্রুটিপূর্ণ’ ব্রেক্সিট চুক্তি অনুমোদন করে ইইউ-র সঙ্গে বিচ্ছেদের বিষয়টির দ্রুত নিষ্পত্তি করতে চেয়েছিলেন৷ উল্লেখ্য, চুক্তি অনুমোদিত হলে আগামী ২২শে মে ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগ করতো৷ নতুন প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে তখন ভবিষ্যৎ সম্পর্ক নিয়ে ইইউ-র সঙ্গে দরকষাকষি করা সম্ভব হতো৷ কিন্তু ক্ষমতাসীন টোরি দলের একাংশ ও জোটসঙ্গী ডিইউপি দলের সংসদ সদস্যরা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ব্রেক্সিট চুক্তির বিরোধিতায় অটল থাকায় সেই প্রচেষ্টা বিফল হলো৷ প্রধান বিরোধী দল হিসেবে লেবার পার্টির নেতা জেরেমি কর্বিন আগেই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দেবেন বলে জানিয়েছিলেন৷ 

এসবি/জেডএইচ (এএফপি, ডিপিএ)