শেষ প্রহরে বোঝাপড়ায় আসতে পারে ব্রিটেন ও ইইউ
১২ নভেম্বর ২০২০চলতি সপ্তাহের মধ্যেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ব্রিটেনের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি সম্পর্কে বোঝাপড়া চূড়ান্ত করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছিল৷ চুক্তির খসড়া স্থির হলে আগামী ১লা জানুয়ারির মধ্যে সেটি অনুমোদন ও কার্যকর করার প্রক্রিয়ার জন্য যথেষ্ট সময়ের প্রয়োজন রয়েছে বলে এমন সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল৷ এবার সেই সময়সীমা আরও এক সপ্তাহ পিছিয়ে যেতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে৷
আয়ারল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইমন কোভেনি বুধবার বলেন, আগামী সপ্তাহেও আলোচনা চলবে বলে তিনি মনে করছেন৷ আগামী সপ্তাহের মধ্যে চুক্তি চূড়ান্ত না হলে তিনি গুরুতর সমস্যার আশঙ্কা দেখছেন৷ তাঁর মতে, অগ্রগতির অভাবে আলোচনা আগেই ভেঙে যেতে পারে অথবা নির্ধারিত সময়ের আগেও আচমকা সাফল্য আসতে পারে৷ তবে তিনি শেষ পর্যন্ত বোঝাপড়া সম্পর্কে আশাবাদী৷
উল্লেখ্য, এর আগে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স ইইউ ও ব্রিটেনের সূত্র উদ্ধৃত করে জানিয়েছিল, যে কমপক্ষে আগামী সপ্তাহান্ত পর্যন্ত আলোচনা চলবে৷ তাই ইইউ-র ২৭টি সদস্য দেশের রাষ্ট্রদূতদের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে আগামী ১৬ই নভেম্বরের বৈঠক পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে৷ তবে আগামী ১৯শে নভেম্বর ইইউ শীর্ষ নেতাদের ভারচুয়াল সম্মেলনের আগে চুক্তি চূড়ান্ত হতেই হবে৷ তা না হলে চুক্তিহীন ব্রেক্সিট অনিবার্য হয়ে পড়বে৷ ইউরোপীয় পার্লামেন্ট জানিয়ে দিয়েছে, যে ১৬ই নভেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত খসড়া হাতে পেলে ১৬ই ডিসেম্বর সেটি অনুমোদনের পরিকল্পনা স্থির করা হয়েছে৷
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর এক মুখপাত্র আলোচনার নতুন মেয়াদ সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেন নি৷ তিনি বলেন, মতপার্থক্য কাটিয়ে তুলতে ব্রিটিশ প্রতিনিধিদল কঠিন পরিশ্রম করছে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বিচ্ছেদ চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করে জাতীয় আইন শেষ পর্যন্ত কার্যকর করা হবে না, সে বিষয়ে তিনি কিছু বলেন নি৷ ইইউ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, যে ব্রিটেন আগের চুক্তির শর্ত ভাঙলে বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত হলেও সেটি কার্যকর করা হবে না৷
এমন অনিশ্চয়তার ফলে ব্রিটেনের ব্যবসাবাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা কোনো পরিকল্পনা করতে পারছেন না৷ ব্রিটিশ সরকার এক টাস্ক ফোর্স গঠন করে তাঁদের আশ্বস্ত করতে চাইছে৷ শেষ পর্যন্ত চুক্তি সম্ভব না হলে ইইউ-র সঙ্গে বাণিজ্যের পথে শুল্কসহ নানা বাধাবিপত্তি সামলাতে ব্রিটিশ সরকার সহায়তার অঙ্গীকার করছে৷ বৃহস্পতিবার সেই টাস্ক ফোর্সের প্রথম অনলাইন বৈঠক বসবে৷
এদিকে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের যোগাযোগ দফতরের প্রধান লি কেইন আচমকা পদত্যাগ করায় সরকারের মধ্যে অস্থিরতার আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে৷ জনসন ও তাঁর উপদেষ্টা ডমিনিক কামিংস-এর অত্যন্ত অনুগত বলে পরিচিত এই গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তার বিদায়ের ফলে ক্ষমতাসীন টোরি দলের মধ্যে অসন্তোষের চিত্র স্পষ্ট হয়ে উঠছে৷
এসবি/কেএম (রয়টার্স, ডিপিএ)