শেষ দৌড়ে বিপাকে ক্লিন্টন
৩১ অক্টোবর ২০১৬একেই বলে ‘অক্টোবর সারপ্রাইজ'৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ পর্ব নভেম্বর মাসে৷ তার ঠিক কয়েক সপ্তাহ আগে কোনো চাঞ্চল্যকর ঘটনা প্রার্থীদের ভাগ্য ঘুরিয়ে দিতে পারে৷ ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিন্টন যখন জনমত সমীক্ষায় রিপাবলিকান দলের প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পের তুলনায় বেশ খানিকটা এগিয়ে ছিলেন, তখনই অঘটন ঘটলো৷ ফলে দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে ফারাক অত্যন্ত কমে গেছে৷
হিলারি ক্লিন্টন তাঁর ‘ই-মেল কেলেঙ্কারি'-র জের ধরে শুরু থেকেই কিছুটা কোণঠাসা ছিলেন৷ পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ব্যক্তিগত ই-মেলের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ও গোপনীয় বিষয় চালাচালি করে তিনি দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়েছিলেন, এমন অভিযোগ তাঁকে চরম বিব্রত করেছিল৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনো মারাত্মক গাফিলতি প্রমাণিত না হওয়ায় তিনি রেহাই পেয়েছিলেন৷ ভোটারদের কাছেও বিষয়টি গুরুত্ব হারাচ্ছিল৷ নির্বাচনের ঠিক আগে খোদ এফবিআই কর্তা জেমস কোমি জানালেন, ই-মেল কেলেঙ্কারি নিয়ে নতুন করে তদন্ত করতে হচ্ছে৷
কিন্তু সেই তদন্তের কারণ বা ক্লিন্টনের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নিয়ে তিনি এখনো মুখ খোলেননি৷ ক্লিন্টনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হুমা আবেদিন ও তাঁর বিচ্ছিন্ন স্বামী অ্যান্টনি ওয়াইনার-এর বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে নাকি এ বিষয়ে নতুন কিছু জানা গেছে৷ এফবিআই ক্লিন্টনের ই-মেল পরীক্ষা করতে শমন জোগাড় করেছে৷
তবে নির্বাচনের ঠিক আগে এফবিআই বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা করায় প্রবল ধাক্কা খেয়েছেন ক্লিন্টন৷ তিনি জেমস কোমি-র প্রবল সমালোচনাও করেছেন৷ এদিকে জয়ের সম্ভাবনা যখন তুঙ্গে, তখনই অনেক ভোটার তাঁর প্রতি আর সমর্থন দেখাতে পারছেন না৷ উল্লাস প্রতিপক্ষ শিবিরেও৷ পরাজয়ের আশঙ্কা কাটিয়ে ট্রাম্প নতুন উদ্যোমে প্রচার শুরু করেছেন৷ ভোটারদের বোঝানোর চেষ্টা করছেন, ক্লিন্টন প্রেসিডেন্ট পদের যোগ্য নন৷
এমন অবস্থায় কি ট্রাম্প আগামী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন? ভোটের দিন পর্যন্ত অনেক কিছু বদলে যেতে পারে পর্যবেক্ষকদের ধারণা৷ ট্রাম্প নিজেও একের পর এক কেলেঙ্কারিতে জেরবার৷ শেষ মুহূর্তে নতুন কোনো কেলেঙ্কারি তাঁকে বিপাকে ফেলতে পারে৷ তাছাড়া তিনি নিজেই একের পর এক বেফাঁস মন্তব্য করে তিনি অনেক ভোটারের সমর্থন খুইয়েছেন৷
এসবি/ডিজি (রয়টার্স, এএফপি)