‘শেখ হাসিনার পাশেও রাজাকার'
১৬ ডিসেম্বর ২০১৯সরকারের হাতে থাকা নথির তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে সরকার একাত্তরের সেই স্বাধীনতাবিরোধীদের মধ্যে ১০ হাজার ৭৮৯ জনের প্রথম তালিকা প্রকাশ করা হয় বুধবার৷ এরই মধ্যে এই তালিকায় মুক্তিযোদ্ধা বাবার নাম থাকার অভিযোগ করেছেন বরিশালের বাসদ নেত্রী ডা. মনীষা চক্রবর্ত্তী৷
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশেও অনেক রাজাকার রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ভাষাসৈনিক আবদুল গাফফার চৌধুরী৷ জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, ‘‘এখনো রাজাকার আছে৷ অনেক রাজাকার আছে৷ এমনকি আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনার আশপাশেও আছে৷ তাদের নাম বললে আমার আর ঢাকায় আসা হবে না৷ তাই আমি নাম বলতে চাই না৷''
যথাযথভাবে চিহ্নিত করতে না পারলে রাজাকারদের সঠিক তালিকা প্রণয়ন করা সম্ভব হবে না বলেও মনে করেন গাফফার চৌধুরী।
তবে স্বাধীনতাবিরোধীদের বংশধরদের সঙ্গে কোনো আপস করা হবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ওবায়দুল কাদের৷ ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানিয়েছে, দলে ‘অনুপ্রবেশকারীদের' আগামী সম্মেলনের মাধ্যমে 'বের করে দেওয়া হবে' বলেও মন্তব্য করেছেন ওবায়দুল কাদের৷ জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন৷
রাজাকারের তালিকাটি এখনও ‘পরীক্ষা' করে দেখা হয়নি বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের।
তবে এই তালিকা পুরোটাই ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে' বলে মনে করে বিএনপি৷ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, "বিএনপিকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এই সমস্ত তালিকা তারা প্রকাশ করেছে৷''
রাজাকারের তালিকায় নাম রয়েছে আবদুর রহমান বিশ্বাসের৷ ১৯৯১ সালে ক্ষমতায় এসে তাকে রাষ্ট্রপতি বানিয়েছিল বিএনপি৷ জিয়াউর রহমানের শাসনামলের প্রধানমন্ত্রী শাহ আজিজুর রহমানের নামও রয়েছে রাজাকারের তালিকায়৷
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমরা নিজেরা কোনো তালিকা প্রস্তুত করিনি৷ এই তালিকা আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পেয়েছি৷ যদিও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও তালিকাটি করেনি৷ ১৯৭১ সালে পাকিস্তানিরা যে তালিকা করেছিল, সেটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংরক্ষিত ছিল৷ আমরা শুধু তা প্রকাশ করেছি৷ সেখানে কার নাম আছে, আর কার নাম নেই সেটা আমরা বলতে পারব না৷''
এডিকে/কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)