শুধু ‘ড্রোন' নয়, আরও চমক দেখাবে ইরান
২২ আগস্ট ২০১০বিতর্কিত পরমাণু কর্মসূচি – বিশেষ করে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধিকরণ চালিয়ে যাওয়ার ফলে পশ্চিমা বিশ্ব সহ আন্তর্জাতিক সমাজের একটা বড় অংশে সন্দেহ রয়েছে, যে সেদেশ ক্রমশঃ পরমাণু অস্ত্র তৈরি করছে৷ আহমেদিনেজাদের সরকার সেই অভিযোগ অস্বীকার করে চলেছে৷ একের পর এক নিষেধাজ্ঞার ফলে ইরান এবার কিছুটা সমস্যার মুখে পড়ছে৷ এমনকি চীন ও রাশিয়ার মতো মিত্র দেশও এই নিষেধাজ্ঞা মেনে চলতে বাধ্য হচ্ছে৷ এদিকে ইসরায়েল ইরানের উপর হামলা চালাতে পারে – এই হুমকিও বার বার শোনা যাচ্ছে৷ এই অবস্থায় প্রতিরক্ষা খাতে স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করছে সেদেশ৷ তারই অঙ্গ হিসেবে ‘কারার' নামের এই ‘ড্রোন' তৈরি করা হয়েছে, যা নাকি দ্রুত গতিতে প্রায় ১,০০০ কিলোমিটার দূরে কোনো লক্ষ্যবস্তুর দিকে ধেয়ে গিয়ে ১১৫ কিলোগ্রাম পর্যন্ত ওজনের বিভিন্ন ধরণের বোমা নিক্ষেপ করতে পারে৷ প্রেসিডেন্ট আহমেদিনেজাদ বলেন, শত্রুপক্ষ আমাদের আঘাত করার আগেই তার হাত কেটে দিতে ইরানের প্রতিরক্ষা কাঠামোকে প্রস্তুত করা হবে৷ শুধু তাই নয়, আগামী কয়েক দিনে ইরান আরও এমন কিছু সামরিক সাফল্যের দৃষ্টান্ত তুলে ধরবে বলে মনে করা হচ্ছে৷ ‘সরকারি সপ্তাহ' বলে চিহ্নিত এই সময়ে সাধারণত এমন সাফল্য তুলে ধরা হয়৷
শোনা যাচ্ছে, এবার ইরান তৃতীয় প্রজন্মের একঝাঁক ‘ফতেহ ১১০' ক্ষেপণাস্ত্র পেশ করতে চলেছে৷ এপর্যন্ত ১৫০ থেকে ২০০ কিলোমিটার পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পেশ করা হয়েছিলো৷ এছাড়া ‘সেরাজ' ও ‘জোলফাকার' নামের ক্ষেপণাস্ত্রবাহী স্পিডবোটও জনসমক্ষে তুলে ধরা হবে৷ ইরান ইতিমধ্যেই ‘গাদি' নামের ছোট ডুবোজাহাজ তৈরি করেছে৷
মনে রাখতে হবে, বুশেয়ার শহরে রাশিয়ার সহায়তায় যে পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হলো, তা আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার নজরদারিতেই কাজ করবে৷ ফলে এই প্রয়াসকে অবৈধ বলা কঠিন৷ ফলে এই কেন্দ্রে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধিকরণ করা যাবে না৷ প্রবল আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ইরান সম্ভবত দেখিয়ে দিতে চায়, যে পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের অধিকার সেদেশ ছাড়তে রাজি নয়৷ নাতান্স বা অন্যত্র অবশ্য ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধিকরণ চালু থাকতে পারে৷ সেবিষয়ে কোনোরকম আপোশের পথে যাচ্ছে না ইরান৷
প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই