1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজইসরায়েল

শুক্রবারের আগে পণবন্দিদের মুক্তি নয়

২৩ নভেম্বর ২০২৩

যুদ্ধবিরতি এবং পণবন্দিদের মুক্তি নিয়ে হামাসের সঙ্গে আলোচনা এখনো চলছে। জানিয়েছেন ইসরায়েলের এনএসএ জাছি হানেগবি।

https://p.dw.com/p/4ZKwz
বুধবার রাতে ইসরায়েল-হামাস সংঘাত
শুক্রবার কিছু পণবন্দিকে মুক্তি দিতে পারে হামাসছবি: AFP

শুক্রবারের মধ্যে এই আলোচনা সম্পূর্ণ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এবং সেক্ষেত্রে শুক্রবারই বেশ কিছু পণবন্দি মুক্তি পেতে পারেন বলে আশা করা হচ্ছে।

বুধবার বিকেলে হানেগবি জানিয়েছেন, ''হামাসের সঙ্গে পণবন্দিদের মুক্তি নিয়ে লাগাতার আলোচনা চলছে। এখনো সম্পূর্ণ সমাধানসূত্র মেলেনি। তবে শুক্রবার কিছু পণবন্দির মুক্তি হতে পারে।'' বস্তুত, যুদ্ধবিরতি না হলে পণবন্দিদের মুক্তিও সম্ভব নয়। সেই বিষয়টি নিয়েই মূলত আলোচনা হচ্ছে। তবে যুদ্ধবিরতি হতে এত সময় কেন লাগছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়নি। হামাসের তরফেও কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি এবিষয়ে।

এখনো পর্যন্ত জানা গেছে, হামাসের সঙ্গে চারদিনের একটি যুদ্ধবিরতির চুক্তি করা হবে। ওই সময়ের মধ্যেই বেশ কিছু পণবন্দিকে মুক্ত করা হবে। তবে কতজন পণবন্দিকে এখন ছাড়বে হামাস, কী তার শর্ত-- এসব কোনো কিছুই এখনো পর্যন্ত জানানো হয়নি।

তবে ইসরায়েলের একটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, কাতারের মধ্যস্থতায় এই চুক্তি হচ্ছে। ইসরায়েল চার দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। হামাসকে বলা হয়েছে অন্তত ৫০ জন পণবন্দিকে মুক্তি দিতে হবে, বদলে ইসরায়েল ১৫০ জন ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুকে মুক্তি দেবে। তারা সকলেই ইসরায়েলের জেলে বন্দি। গাজা স্ট্রিপে গৃহহীন মানুষদের কাছে মানবিক সাহায্যও পাঠানো হবে ওই সময়।

কাতার এবং মিশরের সঙ্গে বাইডেনের কথা

বুধবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর পাশাপাশি কাতার এবং মিশরের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে ফোনে দীর্ঘ আলোচনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হামাস এবং ইসরায়েলের চুক্তি নিয়ে মূলত আলোচনা হয়েছে। নেতানিয়াহুকে বাইডেন বলেছেন, ওয়েস্ট ব্যাংক এবং লেবাননে আপাতত শান্তি বজায় রাখতে। দ্রুত যাতে সমস্ত বন্দিকে মুক্ত করা যায়, সে বিষয়েও অ্যামেরিকা চেষ্টা করবে বাইডেন আশ্বাস দিয়েছেন বলে হোয়াইট হাউসের দাবি।

মিশরের প্রেসিডেন্টকে বাইডেন জানিয়েছেন, ওয়েস্ট ব্যাংক এবং গাজা স্ট্রিপ থেকে বিতাড়িত মানুষেরা যাতে তাদের নিজেদের জায়গায় ফিরে যেতে পারেন, সে দিকে লক্ষ্য রাখবে অ্যামেরিকা। পাশাপাশি গাজা স্ট্রিপের মানচিত্রে যাতে কোনো পরিবর্তন না হয়, সে দিকেও নজর রাখা হবে।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)