1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শীতের মস্কোয় আলোর সাজ

১৬ মার্চ ২০১৮

মস্কো শহরে শীতের সময় দিন বড় ছোট৷ তাই রাশিয়ার রাজধানী শহরকে কিছুটা আলোকিত করে রাখার প্রচেষ্টা নিয়ে বিস্ময়ের কোনো কারণ থাকতে পারে না৷

https://p.dw.com/p/2uOyr
Tokio Shinjuku Weihnachtsbaum
ছবি: Reuters/Y. Shino

সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলেই মস্কো শহরের কেন্দ্রস্থলে প্রায় ২ কোটি বাল্ব দিয়ে তৈরি ৪,০০০ লাইট ইনস্টলেশন উজ্জ্বল হয়ে ওঠে৷ যেমন পথচারীদের জন্য নির্দিষ্ট এই এলাকায়৷ মস্কো শহর কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি আলেক্সান্ডার কনট্রাটেনকো বলেন, ‘‘এই নিকোলস্কায়া সড়কের ৬০০ মিটার উপরে নক্ষত্রভরা এই আকাশ বসানো হয়েছে৷ আলোর শৃঙ্খল ১০০ কিলোমিটার দীর্ঘ৷''

আলোর এই সাগরের জন্য কত ব্যয় হয়েছে, তা কেউ জানে না৷ সরকারি হিসেব অনুযায়ী মস্কোর কর্তৃপক্ষ বিদ্যুতের দামসহ প্রায় ১ কোটি ৪০ লক্ষ ইউরো ব্যয় করেছে৷ সেইসঙ্গে বেসরকারি কিছু সংস্থাও স্পনসর হিসেবে এগিয়ে এসেছে৷ তবে এই কর্মযজ্ঞের ফলাফল সত্যি দেখার মতো৷ পথচারীদের অনেকেই মনে করেন, সূর্য ডুবলে এই আলোকসজ্জা মানুষের মনে কিছুটা নিরাপত্তাবোধ আনে৷ তখন মন শান্ত হয়, আনন্দে ভরে যায়৷

শীত সত্ত্বেও মস্কোর মানুষ সন্ধ্যায় বেড়াতে ভালবাসেন৷ তবে শরীর গরম রাখতে রসদের প্রয়োজন হয়৷ কখনো বারবিকিউ, কখনো বা রুশ সামোভার থেকে গরম চা৷ রুশ ঐতিহ্য অনুযায়ী এই সামোভারে কয়লা ও পাইন গাছের ত্রিকোণ ফল ভরা আছে৷ সে কারণেই পানিতে কিছুটা ধৌঁয়ার স্বাদ পাওয়া যায়৷

শীতে ঝলমলে মস্কো

বলশয় থিয়েটার শীতের আলোকসজ্জায় উজ্জ্বল হয়ে রয়েছে৷ রেড স্কোয়্যারে বিশাল বিপণি জিইউএম আলোর সাজে মোড়া রয়েছে৷ প্রতি সন্ধ্যায় হাজার হাজার মানুষ শহরের দর্শনীয় স্থানগুলির আলোকসজ্জা উপভোগ করেন৷

রেড স্কোয়্যারের উপর মস্কোর সবচেয়ে জনপ্রিয় স্কেটিং-এর জায়গা৷ তবে সীমিত সেই রিং-এ প্রবেশের জন্য ভিড় লেগেই রয়েছে৷ সেই স্কেটিং রিং ছোট মনে হলে গোর্কি পার্কে যেতে হবে৷ সেখানেও আধুনিক আলোকসজ্জা৷ ইউরোপের সবচেয়ে বড় স্কেটিং রিং সেখানে অবস্থিত৷ স্কেট লাগানো জুতো বেশ সস্থায় ধার নেওয়া যায়৷ স্বপ্নময় এই পরিবেশে আনাড়ি ও অভিজ্ঞদের জন্য স্কেটিং কোর্সের ব্যবস্থা রয়েছে৷

খুবই সুন্দর জায়গা৷ প্রত্যেকটি গাছ আলো দিয়ে মোড়া৷ সারা দেশের মানুষ এই সজ্জা দেখতে মস্কোয় আসেন, সে বিষয়ে আলোচনা করেন৷ তবে কোনো এক সময় এই ভিড় সরে যায়৷ তখন শান্তিতে সব কিছু দেখা যায়৷ হই-হট্টগোল থেকে দূরে গিয়ে মস্কভা নদীর উপর জাহাজে বসে আলোকসজ্জা দেখা সম্ভব৷ ভিতরে হিটিং ব্যবস্থা থাকায় বেশ আরামে বসা যায়৷

নদী ভ্রমণের শেষ পর্যায় ক্রেমলিনের পাশ দিয়ে জাহাজ চলে যায়৷ বেশ রাজকীয় দেখায়৷ মস্কোর মানুষ মনে করেন, ঠান্ডা সত্ত্বেও এত আলোর কল্যাণে শীতকালই শ্রেষ্ঠ ঋতু৷

মিওদ্রাগ সোরিচ/এসবি