1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অবসাদ কাটাতে আলোর উৎসব

২২ মার্চ ২০১৯

ইউরোপের উত্তরাঞ্চলে শীতকাল দীর্ঘ ও অন্ধকারে আচ্ছন্ন এক সময়৷ অবসাদ কাটিয়ে মানুষকে চাঙ্গা করে তুলতে ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেন আলোর উৎসবের আয়োজন করছে৷ অভিনব ইনস্টলেশনে ভরে যাচ্ছে গোটা শহর৷

https://p.dw.com/p/3FTK7
ছবি: Martin Ersted

গোটা কোপেনহেগেন শহর ‘লাইট আর্ট গ্যালারি'-তে রূপান্তরিত হয়৷ বছরের সবচেয়ে অন্ধকার সপ্তাহগুলিতে ডেনমার্কসহ গোটা বিশ্বের শিল্পীরা সেখানে তাঁদের ইনস্টলেশন আর্ট তুলে ধরেন৷ ফলে শীতকালেও রাজধানী শহর অসংখ্য পর্যটক আকর্ষণ করে৷ কেউ নাটকীয় ও স্বপ্নময় এই উৎসব সত্যি পছন্দ করেন৷ কেউ বা বছরের এই সময়ে বাইরে বেরিয়ে আলোকিত শহর দেখে মুগ্ধ হন৷

শীতের অবসাদ কাটাতে ডেনমার্কের শিল্পী মাডস ভেগাস ‘ইটারনাল শোডাউন’ নামের শিল্পকর্ম সৃষ্টি করেছেন৷ সূর্যাস্ত থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত কোপেনহেগেন বন্দরে ১৪০টিরও বেশি নিওন বাল্ব সবকিছু আলোকিত করে রাখে৷ মাডস বলেন, ‘‘কোপেনহেগেন শহরের নাগরিকদের জন্য এবারের শীতকালের শেষে, অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি মাসে উষ্ণ এই আলো থাকছে৷ এটি মনে করিয়ে দিচ্ছে, যে আমরা অন্ধকার পর্যায় পেছনে ফেলে এসেছি৷ সূর্য শীঘ্র ফিরে আসছে৷’’

শীতের অন্ধকারেও উষ্ণতা আনছে আলোর উৎসব

সবুজ লেজার রশ্মি এই আলোক উৎসবের প্রতীক৷ এই নিয়ে দুবার কোপেনহেগেন শহরে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ গোটা শহরজুড়ে ইনস্টলেশন সাজানো হয়েছিল৷ তবে বিশাল ব্যয়বহুল আলোকসজ্জার বদলে রুচিসম্মত শিল্পকর্মকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে৷ ডেনিশ সত্তার সঙ্গে এই মনোভাব খাপ খেয়ে যায়৷ আলোর ক্ষেত্রেও সেই সংযম চোখে পড়ে৷ আলোর উৎসবের আয়োজক কাটিয়া ট্যুসট্রুপ বলেন, ‘‘বায়ুদূষণ এড়াতে, প্রাণীদের বিরক্ত না করতে এবং আমাদের ঘুমের ছন্দ নষ্ট না করতে অনেক বছর ধরে ঠিক যতটুকু প্রয়োজন, ততটুকু আলো থাকতো – বাকিটা অন্ধকার রাখা হতো৷ অন্ধকারের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই আলো সৃষ্টি করা হতো৷’’

কোপেনহেগেন শহরের জনপ্রিয় টিভোলি পার্কও আলোর উৎসবে মেতে উঠেছিল৷ ডেনমার্কের লেখক হান্স ক্রিস্টিয়ান আন্ডারসেনের রূপকথার গল্প থেকে প্রেরণা নিয়ে অরিগামি হাস সৃষ্টি করা হয়েছিল৷ দিনে বেশ কয়েকবার আকাশে কৃত্রিমভাবে লেজারের মাধ্যমে অরোরা বোরিয়ালিস ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল৷

নববর্ষ থেকে ইস্টারের সময় পর্যন্ত সাধারণত এই পার্ক বন্ধ থাকে৷ আলোর উৎসবের কারণে গত বছর থেকে শীতকালেও টিভোলি খোলা রাখা হচ্ছে৷ হাতেনাতে তার ফলও পাওয়া যাচ্ছে৷ টিভোলির আলোক ডিজাইনার ইয়েস্পার কংসহাউগ বলেন, ‘‘দর্শকরা সত্যি প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন৷ এক সমীক্ষা অনুযায়ী আরও বেশি মানুষ সন্ধ্যায় এখানে আসছেন৷ এর আগে কখনো সন্ধ্যাবেলায় এত মানুষ দেখা যায়নি৷ দর্শকরা নিজেদের ভালো অভিজ্ঞতা ও আলোর কথা বলেন৷’’

ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ পর্যন্ত কোপেনহেগেন শহরে উজ্জ্বল শিল্পকর্মগুলি শোভা পেয়েছে৷ ‘অর্ব ফ্যামিলি’-র মতো কিছু ইনস্টলেশন এমনকি স্থায়ীভাবে শহরে থেকে গেছে৷

আন্টিয়ে বিন্ডার/এসবি