1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শিশুর হাতে ফোন বা ট্যাবলেট দেয়ার আগে ভিডিওটি দেখুন!

১৯ জুলাই ২০১৬

আমাদের দেশে ট্যাবে বা মোবাইল ফোনে ভিডিও দেখিয়ে বা গান শুনিয়ে শিশুদের খাওয়ানো বা ব্যস্ত রাখার প্রবণতা খুব বেশি৷ অথচ এতে শিশুটির যে অসম্ভব ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে তা বাবা-মায়েরা বুঝতেই পারেন না৷

https://p.dw.com/p/1JRGF
Kind Handy Laptop
ছবি: STR/AFP/Getty Images

সম্প্রতি বাংলাদেশে গুলশান হামলার পর, কিশোর-কিশোরী ও তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে আলোচনা হচ্ছে৷ এই মানসিক স্বাস্থ্য বা অবস্থা এবং শিশুর সামাজিক বিকাশ নির্ভর করে পরিবারের ওপরেই ৷ বাবা-মা শিশুকে যদি সময় দেন, তার সঙ্গে গল্প করেন, গান শোনান, তবে যে বন্ধন গড়ে ওঠে, তাদের ফোন বা ট্যাবে ব্যস্ত রাখলে সেটা কখনই সম্ভব নয়৷ এই যে বাবা-মায়ের সঙ্গে শিশুর বন্ধন গড়ে উঠছে না – তাতে করে ছোট্টবেলা থেকেই সে একা একা খেলা, কথা বলা, চিন্তা-ভাবনা করা শুরু করে৷

কোনো ঘটনা ঘটলেও তা বাবা-মায়ের কাছে না বলে চেপে রাখার অভ্যাস হয়ে যায় তার৷ তারপর ধীরে ধীরে একটা সময় অসামাজিক হয়ে পড়ে, তারপর মা-বাবা, পরিবারের কাছ থেকে দূরে সরে যায় সন্তানটি৷ স্কুল-কলেজের বন্ধু-বান্ধবই তখন হয়ে ওঠে তার কাছে সব৷ অথবা পরবর্তীতে অন্য কোনো ব্যক্তি তাকে একটু স্নেহ, ভালোবাসা দিলে, ভালো কথা বললে, তার কথা শুনতে চাইলে, সেই ব্যক্তির জন্য জীবন বাজি রাখতেও প্রস্তুত হয়ে ওঠে সে৷ এমনকি সেই ব্যক্তি যদি তাকে মানুষ খুন করতে বলে, তাতেও সে দ্বিধা করে না৷

এই ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, একটি পাঁচ বছরের শিশুর জন্য তার বাবা-মা ট্যাবলেট দোকানে কিনতে গেছেন৷ কিন্তু দোকানিই তাঁদের নিরুৎসাহিত করছেন৷ বলছেন, এটা ব্যবহারের জন্য আরো সাত বছর অপেক্ষা করতে হবে শিশুটিকে৷ এই বয়সটা যে তার বাবা-মায়ের সঙ্গে কাটানোর৷ বাবা-মায়ের ভালোবাসায় সিক্ত হওয়ার৷ শিশুরা আবেগহীন, অসামাজিক হয়ে ওঠার আগে তার মধ্যে যে আবেগ জাগিয়ে তুলতে পারেন একমাত্র মা-বাবাই৷

ফেসবুকে ভিডিওটি দেখা হয়েছে ৬৬ লাখ বার৷ আর তা শেয়ার করেছেন অন্তত ১ লাখ ৭৫ হাজার মানুষ৷

এপিবি/ডিজি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য