শিশুদের মুখে মুখে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ
৭ মার্চ ২০১৭আজ ৭ই মার্চ৷ ১৯৭১ সালের এই দিনে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দি উদ্যান) ঐতিহাসিক সেই ভাষণ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান৷ ১৮ মিনিটের সেই ভাষণ নিয়ে অনেক গান, কবিতা, গল্প লেখা হয়েছে৷ কেউ কেউ বলেন বাঙালি নাকি বিস্মৃতিপরায়ণ জাতি৷ তবে সত্যিকারের অমূল্য স্মৃতি যে বাঙালি সম্পদ হিসেবে যে আঁকড়ে থাকতে পারে তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ৷
এ ভাষণ কোনো নির্দিষ্ট দলের একক সম্পদ নয়৷ তাই তো ঘরে ঘরে আজও শোনা যায় দরাজ কণ্ঠের সেই ‘ভাইয়েরা আমার' আহ্বান৷ শিশুরা এখনো অনুকরণ করে বঙ্গবন্ধূকে৷
এনাম হোসেন নামের এক শিশুর কণ্ঠে ৭ই মার্চের ভাষণ তো গণমাধ্যমেও অনেকবার প্রচারিত হয়েছে৷ এইটুকু এক শিশুর কণ্ঠে ১৮ মিনিট দীর্ঘ ভাষণ যে শুনেছে, মুগ্ধ হয়েছে৷
প্রথমে নানা, নানি, দাদা, দাদি বা বাবা কিংবা মায়ের কাছ থেকে শোনা, তারপর ক্যাসেট বা সিডিতে শুনে শুনে ঐতিহাসিক সেই ভাষণ মুখস্থ করে ফেলা শিশু এখন অনেক আছে বাংলাদেশে৷ নীচের ভিডিওর সাত বছর বয়সি এই মেয়েটির মতো অনেক শিশুই বঙ্গবন্ধুর মতো করে বলতে ভালোবাসে, ‘‘তোমাদের যা কিছু আছে, তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকো৷ রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দেবো৷ এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো, ইনশাল্লাহ৷''
১৯৭০ সালে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে আওয়ামী লীগ৷ কিন্তু পাকিস্তানের সামরিক শাসক গোষ্ঠী দলটির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেনি৷ এই প্রেক্ষাপটেই ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ এই ভাষণ দিয়েছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান৷
এ ভাষণ নিয়ে গান, কবিতা, গল্পও লেখা হয়েছে৷ সবচেয়ে বিখ্যাত কবিতাটির নাম, ‘স্বাধীনতা, এই শব্দটি কিভাবে আমাদের হলো’৷ লিখেছেন কবি নির্মলেন্দু গুণ৷ কবিতায় বঙ্গবন্ধুকেই কবি হিসেবে বর্ণনা করে নির্মলেন্দু গুণ লিখেছেন, ‘‘একটি কবিতা লেখা হবে তার জন্য অপেক্ষার উত্তেজনা নিয়ে/লক্ষ লক্ষ উন্মত্ত অধীর ব্যাকুল বিদ্রোহী শ্রোতা বসে আছে/ভোর থেকে জনসমুদ্রের উদ্যান সৈকতে –/ 'কখন আসবে কবি?' 'কখন আসবে কবি?'’’
তারপর বর্ণনায় উঠে এসেছে,
‘‘এই শিশু পার্ক সেদিন ছিল না,
এই বৃক্ষে-ফুলে শোভিত উদ্যান সেদিন ছিল না,
এই তন্দ্রাচ্ছন্ন বিবর্ণ বিকেল সেদিন ছিল না।
তাহলে কেমন ছিল সেদিনের সেই বিকেল বেলাটি?
তাহলে কেমন ছিল শিশু পার্কে, বেঞ্চে, বৃক্ষে,
ফুলের বাগানে ঢেকে দেয়া এই ঢাকার হৃদয় মাঠখানি?...’’
পুরো কবিতাটি পড়ুন এখানে...৷
এসিবি/ডিজি