যৌনাসক্ত ৬৬০ ব্যক্তি গ্রেপ্তার
১৭ জুলাই ২০১৪এনসিএ জানায়, এই গ্রেপ্তার কার্যত গত ছয়মাস ধরে চলা অভিনব অভিযানের ফসল৷ ইংল্যান্ড ছাড়াও ওয়েলস, স্কটল্যান্ড এবং উত্তর আয়ারল্যান্ড পুলিশ অভিযানে সম্পৃক্ত ছিল৷
গ্রেপ্তারের ফলে চারশো শিশুকে পেডোফিলদের হাত থেকে রক্ষা করা গেছে বলেও জানিয়েছে এনসিএ৷ আর গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ৪০ ব্যক্তি আগেই যৌন অপরাধে অপরাধী ছিল৷ তবে বাকিদের কথা পুলিশ আগে জানতো না৷ গ্রেপ্তারকৃতদের সবার বিরুদ্ধে চার্জ গঠন শেষ হয়নি৷ পুলিশ জানিয়েছে, কয়েকজনের বিরুদ্ধে ইন্টারনেটে শিশু যৌনতা বিষয়ক আপত্তিকর ছবি দেখা এবং যৌন আক্রমণের অভিযোগ আনা হয়েছে৷
এনসিএ'র উপপ্রধান ফিল গোর্মলি এই বিষয়ে বলেন, ‘‘যারা ইন্টারনেটে শিশু যৌনতা বিষয়ক আপত্তিকর ছবি দেখেছেন তাদের বিরুদ্ধে সরাসরি শিশু নিগ্রহের অভিযোগ আনা হয়েছে৷'' এই গ্রেপ্তারের মাধ্যমে একটি বার্তাও দিয়েছে পুলিশ৷ তা হচ্ছে আপত্তিকর ছবি দেখার জন্য ইন্টারনেট কোনো নিরাপদ বা গোপন স্থান নয়৷ এরকম অনৈতিক কাজ যারা করছে তাদের গ্রেপ্তার এবং আইনের আশ্রয়ে আনা সম্ভব৷
তবে এনসিএ ঠিক কি পন্থায় সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তার করেছে তা বিস্তারিত প্রকাশ করেনি৷ গোর্মলি শুধু বলেছেন, পেডোফিলরা ‘ডার্ক-ওয়েব' ব্যবহার করেছে৷ অনেকে নিজের পরিচয় গোপন রাখতে পয়সাও খরচ করেছে৷
উল্লেখ্য, ‘পেডোফিলিয়া' একটি মানসিক রোগ৷ এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা, যাদের ‘পেডোফিল' বলা হয়, শিশুদের প্রতি যৌনাসক্ত৷ এর আগে গতবছর একটি ডাচ মানবাধিকার সংস্থা জানায় যে, তারা একটি পরীক্ষামূলক সামাজিক যোগাযোগ সাইট ‘ভার্চুয়াল'-এর মাধ্যমে বিশ্বের কমপক্ষে ১,০০০ ‘পেডোফিল'-কে শনাক্ত করে৷ আর জাতিসংঘ এবং যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই জানিয়েছে, বিশ্বের অন্তত সাড়ে সাত লাখ শিশু এই ধরনের হয়রানির শিকার হচ্ছে প্রতি মুহূর্তে৷
এআই / জেডএইচ (ডিপিএ, এএফপি)