শিশু পর্নোগ্রাফি
২৪ জুন ২০১২সারা দুনিয়াতেই শিশু পর্নোগ্রাফির ঘটনা দিনদিন বেড়ে চলেছে৷ বিশেষ করে প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে অনাকাঙ্খিত ছবিগুলো ওয়েবসাইটের মাধ্যমে খুব সহজেই ছড়িয়ে পড়ছে৷ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এক্ষেত্রে তেমন কিছু করতে পারছে না৷
কেননা শিশু পর্নোগ্রাফির একটা ছবি পাওয়ার পর সেটাকে বিভিন্ন ফরম্যাটে পরিবর্তন করে প্রকাশ করা হয়৷ ফলে নিরাপত্তা বাহিনী বা ওয়েবসাইট কর্তৃপক্ষ চাইলেও কোনো ছবি একেবারে মুছে ফেলতে পারে না৷
এই সমস্যার সমাধানে মাইক্রোসফট যুক্তরাষ্ট্রের ডারমাউথ কলেজের সহায়তায় ২০০৯ সালে ফোটোডিএনএ নামে একটি সফটওয়্যার তৈরি করে৷ এটি বিভিন্ন ফরম্যাটে থাকা একই ছবিগুলো চিহ্নিত করতে পারে৷
ফেসবুক আর হটমেল বর্তমানে এই সফটওয়্যার ব্যবহার করছে৷ যুক্তরাষ্ট্রের শিশু পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ সংস্থা যেসব ছবিকে অনাকাঙ্খিত মনে করছে তার একটা ডাটাবেজ রয়েছে ফেসবুকের কাছে৷ ফলে ফেসবুকে আপলোড করা প্রতিটি ছবি ঐসব ছবির সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হচ্ছে৷
বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে হল্যান্ড ফোটোডিএনএ নিয়ে কাজ শুরু করেছে৷ তারা সফটওয়্যারটি পরীক্ষা করে দেখছে৷ যদি সফলতা পাওয়া যায় তাহলে আনুষ্ঠানিকভাবে সেটার ব্যবহার শুরু করবে হল্যান্ডের নিরাপত্তা বাহিনী৷
অধ্যাপক এরভিন ফন আইক এই পরীক্ষানিরীক্ষা দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন৷ তিনি বলেন, ফোটোডিএনএ সফটওয়্যারটি দিয়ে পুরোপুরি না হলেও অনেকখানি কাজ করা সম্ভব৷ অন্তত হল্যান্ডে বর্তমানে যে পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে তার চেয়ে ভালো৷
তবে তিনি মনে করেন, বিশ্ব থেকে শিশু পর্নোগ্রাফির ঘটনা দূর করতে হলে সব দেশকে ফোটোডিএনএ ব্যবহার করতে হবে৷ তাহলে এক দেশ আরেক দেশের ডাটাবেজ ব্যবহার করতে পারবে৷ এতে করে অপরাধীদের ধরা সহজ হবে৷
গত মার্চ মাসে মাইক্রোসফট ঘোষণা দিয়েছে তারা বিশ্বের সব দেশের নিরাপত্তা বাহিনীকে ফোটোডিএনএ সফটওয়্যারটি বিনামূল্যে সরবরাহ করতে প্রস্তুত রয়েছে৷
এখন দেখা যাক সবাই এর প্রতি আগ্রহী হয় কীনা৷
প্রতিবেদন: শারলোটা লোমাস / জেডএইচ
সম্পাদনা: জুলফিকার আব্বানি / ডিজি