1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শিল্পের ঘরে চোর!

১১ এপ্রিল ২০১৩

ওয়াক আউট৷ সংসদ নয়, জাদুঘর থেকে৷ যেনতেন কোনো জাদুঘর নয়, ফ্রান্সের ল্যুভ্র জাদুঘর থেকে পরিস্থিতি ভালো না হওয়া পর্যন্ত কাজ করবেন না জানিয়ে বেরিয়ে এসেছেন ২০০ কর্মী৷ কাদের উৎপাতে, জানেন? পকেটমার!

https://p.dw.com/p/18E5B
Johann Georg Pinsel, Skulpturen Alle Bilder würden gemacht am 21.11.2012, Louvre, Salle de la Chapelle in Paris Copyright: Natalia Marianchyk, Deutsche Welle
ছবি: DW

বিশ্বের সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় জাদুঘরগুলোর একটি প্যারিসের ল্যুভ্র জাদুঘর৷ বছরে কমপক্ষে এক কোটি পর্যটক ফ্রান্সের রাজধানীতে যান শুধু ওই জাদুঘরে একটিবার ঢুঁ মারার স্বপ্ন পূরণ করতে৷ সেই জাদুঘরেই কিনা পকেটমারের উৎপাত! প্রতিদিন জনাতিরিশিকের একটি পকেটমার দল এসে সেই জাদুঘরে নাকি এমন উৎপাত করে, যে সেখানে কর্মীদের জন্য কাজ করাই প্রায় অসম্ভব৷ ছোট্ট বাচ্চা ছেলে থেকে শুরু করে মাঝবয়সি বুড়ো পকেটমারও দর্শনার্থীদের পকেট কাটতে ঢুকে পড়ে জাদুঘরে৷ কর্মীরা বাঁধা দিলে তাঁদের গায়ে থু থু দেয়া, বাগে পেলে পিটুনি, প্রাণ নাশের হুমকি – এসব নাকি নিত্যদিনের ঘটনা৷

Louvre Museum 21.11.2012, Louvre, Paris Copyright: Natalia Marianchyk, Deutsche Welle
ফ্রান্সের ল্যুভ্র জাদুঘর থেকে পরিস্থিতি ভালো না হওয়া পর্যন্ত কাজ করবেন না জানিয়ে বেরিয়ে এসেছেন ২০০ কর্মীছবি: DW

অবস্থা এতটাই খারাপ যে ‘আর কাজ করা সম্ভব নয়' বলে বুধবার জাদুঘর ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন ২০০ কর্মী৷ বিক্ষোভ মিছিল করে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন তাঁরা৷ ফলে মোনালিসা এবং ভেনাস ডি মিলো-র মতো অসংখ্য বিশ্ববিখ্যাত ছবির প্রাচীন আবাসের ভেতরে ঢুকতে না পেরে মন খারাপ করে ফিরে আসতে হয়েছে শত শত শিল্পানুরাগীকে৷ কর্তৃপক্ষ অবশ্য বসে নেই৷ পকেটমার ঠেকাতে পুলিশ বাড়ানো এবং পকেটমার হিসেবে কেউ একবার ধরা পড়লে তাকে আর জাদুঘরের চৌহদ্দিতে ঢুকতে না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে৷ ভাবা হচ্ছে আরো কিছু কঠোর পদক্ষেপের কথাও৷

ল্যুভ্র জাদুঘরে ৪৭০ জন কর্মী কাজ করেন প্রতিদিন৷ এর মধ্যে দুশ' কর্মী পরিস্থিতির উন্নতির দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন প্রকাশ্যে৷ না হয়ে উপায়ও ছিল না৷ ল্যুভ্রে গিয়ে সর্বস্বান্তও হয়েছেন অনেকে৷ গত মাসে সেখানে গিয়েছিল ২৩ জনের একটি চীনা পর্যটক দল৷ পাসপোর্ট, টাকা-পয়সা সব হারিয়ে বড় বিপদে পড়েছিলেন তাঁরা৷

এসিবি/এসবি (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য