1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শান্তি আলোচনায় উদ্যোগ নেয়ায় পাকিস্তানে আটক তালেবান নেতা বারাদার

২৪ আগস্ট ২০১০

সাত মাস আগে তালেবান নেতা আব্দুল গনি বারাদারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল পাকিস্তানের দক্ষিণে অবস্থিত বন্দর নগরী করাচি থেকে৷ শীর্ষ এ নেতাকে গ্রেপ্তারের পর তালেবান বিরোধী অভিযানে বেশ বড় এক সফলতার দাবি করা হয়েছিল, কিন্তু এখন?

https://p.dw.com/p/Oubf
আটক এক তালেবানছবি: AP

চলতি বছরের শুরুতে বারাদারকে গ্রেপ্তার করার পর এক এক করে অনেক তালেবান নেতাই আটক হয়েছিল পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর হাতে৷ কিন্তু পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর কাছে বারাদার গ্রেপ্তার হওয়াটা বেশ ভালো একটা খবর ছিল বলেই মনে করা হয়৷ মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএর সহযোগিতায় এই নেতাকে তখন গ্রেপ্তার করা হয়েছিল বলেই খবর৷ তবে এ নিয়ে দুই পক্ষের মতবিরোধ রয়েছে৷

‘নিউইয়র্ক টাইমস' বারাদার গ্রেপ্তারের সাত মাস পরে একটি প্রতিবেদনে জানাচ্ছে, এই তালেবান নেতা মূলত আফগান সরকারের সঙ্গে তালেবান বিরোধী যুদ্ধের একটি রফার লক্ষ্যে মধ্যস্থতার একটি গোপন উদ্যোগ নিয়েছিলেন৷ পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা ঐ পত্রিকাকে জানাচ্ছেন, ‘‘আমাদের সঙ্গে কোন শলা-পরামর্শ না করেই বারাদার শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছিলো৷ আমরা এটা মেনে নিতে পারিনা৷ আমাদেরকে পাশ কাটিয়ে আফগানিস্তান বা ভারতের সঙ্গে কোন আলোচনার চেষ্টা আমরা বরদাস্ত করতে পারি না৷ তাই আমরা তাকে এবং তার সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজনকে তুলে নিয়ে আসি৷''

বলে রাখা ভালো, বারাদারকে গ্রেফতারের পরপরই আরো ২০ থেকে ২৫ জন তালেবান নেতাকে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী৷ এদের সকলেই এক সময় পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এর ছত্রছায়ায় ছিল বলে অভিযোগ৷ শান্তি আলোচনা শুরুর চেষ্টার সঙ্গে বারাদারের অংশীদার ছিলেন এরাও৷

Flash-Galerie Stimmung in Afghanistan
ছবি: picture alliance/landov

কিন্তু এখন যে কথা বলা হচ্ছে, সেই শান্তি আলোচনা শুরুর বিষয়ে সত্যিই কি কোন পদক্ষেপ ছিল? এমন প্রশ্নের জবাবে আফগান সরকারী কর্মকর্তারা ইতিবাচক উত্তরই দিয়েছেন৷ তারা জানিয়েছেন, গত বছর এই চেষ্টাটিই হয়েছিল৷ আর এ জন্য বারাদার এবং আরেক তালেবান নেতা তাইয়িব আগার'এর সঙ্গে আলোচনাও এগিয়েছিল৷ কিন্তু ঐ কর্মকর্তারা স্পষ্ট করে জানাননি, এই দুই জনের সঙ্গে কে কথা বলেছিলেন৷ যদিও বাতাসে চাউর রয়েছে যে প্রেসিডেন্ট কারজাই এর ভাই হচ্ছেন সেই ব্যক্তি, যিনি যোগাযোগ করেছিলেন, এটিকে নাকচ করেছেন কারজাই৷ কিন্তু বারাদারকে গ্রেফতারের পর সেই আলোচনার গুড়ে বালি৷

তাহলে কি পাকিস্তান চায়নি আফগানিস্তানে শান্তি আসুক, যুদ্ধের অবসান হোক? ‘নিউ ইয়র্ক টাইমস'এর প্রতিবেদনে দাবি করা হচ্ছে, শান্তি আলোচনা শুরুর চেষ্টা সত্ত্বেও বারাদারকে গ্রেফতার করা, গ্রেফতারে মার্কিন সহযোগিতা থাকলেও সিআইএ-কে জেরা করতে না দেয়া, পাকিস্তানের সেনা গোয়েন্দাদের তত্ত্বাবধানে সেফ হাউসে বারাদারকে রাখা – ইত্যাদি কারণ বিশ্লেষণ করে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা এমনটাই ধারণা দিচ্ছেন৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন