শহুরে জীবন চাপে ফেলছে মানব মস্তিষ্ককে
২৩ জুন ২০১১কথাটা নতুন কিছু নয়৷ শহরের বাসিন্দা হলে যে অতিরিক্ত চাপ নিতে হয়, সে তো সবাই জানে৷ কিন্তু বিজ্ঞান তারপরেও ব্যাপারটার পিছু ছাড়েনি৷ চালিয়েছে একটা গ্রহণযোগ্য সমীক্ষা৷ আর সেই সমীক্ষা বলছে, আমাদের মস্তিষ্ক প্রতিটি ছোটখাটো ওঠাপড়াতেই সাড়া দেয়৷ কীরকম?
শহরে নিত্য নৈমিত্তিক যে বিষয়গুলি নাগরিক মস্তিষ্কের ওপর চাপ ফেলছে, সেগুলো হল প্রথমেই ট্রাফিক বা যানবনাহনের জ্যাম, ভিড়, শব্দ, দেরি করে আসা বা না আসা, ইত্যাদি৷ এরপর রয়েছে শহরে প্রতিদিনই কিছু না কিছু অপরাধমূলক ঘটনার ঘনঘটা৷ যাকিনা আমাদের মস্তিষ্কের অবসাদের কারণ হয়, অবচেতন মনে জন্ম দেয় অপরাধের শিকার হওয়ার আতঙ্ক৷ তার থেকে অবসাদ অবশ্যম্ভাবী৷ আর আছে বেশ চটপটে হতে পারা বা না পারার বিযয়টিও৷ অত্যন্ত জরুরি ভিত্তির সময়ানুবর্তিতা তো অবশ্যই অন্যতম একটি কারণ৷ যার থেকে মস্তিষ্ক অবসাদের শিকার হতে পারে এবং হয়ও৷
দ্য জার্নাল নেচার পত্রিকার এই সমীক্ষা চালানো হয়েছিল গ্রাম, আধা শহর, ছোট শহর আর অবশ্যই বড় শহরগুলির বাসিন্দাদের মধ্যে৷ দেখা গেছে, বড় শহরের বাসিন্দারা ছোট শহর বা গ্রামের বাসিন্দাদের অনুপাতে ২১ শতাংশ হারে বেশি পরিমাণে মানসিক অবসাদ আর চাপের দ্বারা উদ্ভূত নানারকমের রোগের শিকার হয়ে থাকেন৷ মস্তিষ্কের একটি বিশেষ অংশে ক্রমাগত সঞ্চিত হতে থাকা সেই চাপের ফলে বিবিধ শারীরিক অসুবিধা দেখা দিতে পারে এবং দেয়ও৷ আর শহর তার উত্তেজক জীবনযাত্রার স্বাদ দেওয়ার পাশাপাশি এইসব অতিরিক্ত রোগের সম্ভাবনাও নিত্যনিয়ত তার নাগরিকদের দিয়ে চলেছে৷
তবুও গ্রাম বা ছোট শহর বা মফস্বল থেকে বড় শহরে নানান কারণে মানুষের অবিরত আসার হার কিন্তু এরপরেও কমছে না৷ একবার শহরে থাকার সুযোগ পেলে কেই বা আর গ্রামে ফিরতে চায়? তা সে মস্তিষ্ক যতই চাপের শিকার হোক না কেন!
প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই