শরণার্থীদের ধর্ষণ, মারধর
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯গ্রেপ্তার হওয়া গিনি বিসাউয়ের নাগরিকের বয়স ২৭ বছর আর মিশরের দুজনের বয়স ২৪ ও ২৬ বছর৷ ইটালির বিভিন্ন শিবিরের অভিবাসনপ্রত্যাশীদের অভিযোগ — ওই তিন ব্যক্তি লিবিয়ার জাওয়াই-এ সাবেক সেনাঘাঁটিতে ডিটেনশন ক্যাম্প খুলেছেন৷ ভূমধ্য সাগর পাড়ি দিয়ে যাঁরা ইউরোপে ঢুকতে চান, তাঁদের পৌঁছে দেয়ার আশ্বাস দিতেন ওই ব্যক্তিরা৷ আগেভাগে চুক্তি অনুযায়ী টাকা দিতে ব্যর্থ ব্যক্তিদের ডিটেনশন ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হতো৷ তারপর শুরু হতো অকথ্য নির্যাতন৷
অবাধে ধর্ষণ, নির্যাতন, হত্যা
গিনি বিসাউ এবং মিশরের তিন ব্যক্তি ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে প্রথমে ইটালির লাম্পেদুসায় যান, সেখান থেকে যান সিসিলিতে৷ সেখানেই গ্রেপ্তার করা হয় তাদের৷ গ্রেপ্তার করার আগে ইটালির বিভিন্ন শিবিরে থাকা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হয়৷
অভিবাসনপ্রত্যাশীরা পুলিশকে জানান, টাকা দিতে না পারলে লিবিয়ার ডিটেনশন ক্যাম্পে তাদের লাঠি, বৈদ্যুতিক তার, রাইফেলের বাট দিয়ে পেটানো হতো৷ অনেক সময় ইলেক্ট্রিক শকও দেয়া হতো তাদের৷ নির্যাতনের ফলে অনেক মানুষকে মৃত্যু বরণ করতে দেখেছেন বলেও জানান তাঁরা৷ পালাতে গেলে গুলি করে মেরে ফেলা হতো৷ এছাড়া নারীদের সুপরিকল্পিতভাবে ধর্ষণ করা হতো বলেও জানিয়েছেন অভিবাসনপ্রত্যাশীরা৷ এসব কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে ওই তিন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে ইটালির পুলিশ৷
এসিবি/কেএম (এএফপি)