1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শপথ নেয়া নিয়ে গণফোরামে বিভ্রান্তি

২৮ জানুয়ারি ২০১৯

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে জয়ী ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী সুলতান মো. মনসুর আহমেদ ও মোকাব্বির খান শপথ নেওয়ার ইঙ্গিত দিলেও এই সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে না তাঁদের দল গণফোরাম৷

https://p.dw.com/p/3CJk5
Bangladesch Parlament Gebäude in Dhaka
ছবি: AP

গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী বলছেন, সংসদে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে তাঁরা এখনো অটল৷ অন্যদিকে, জোটের অবস্থানের বিষয়ে সুলতান মনসুর ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘‘আমি জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সদস্য হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছি৷ ড. কামাল হোসেন আগেই বলেছেন, শপথের ব্যাপারটিকে তিনি ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন৷ এখন ঐক্যফ্রন্ট কী করবে, তা বলতে পারবেন কেবল কামাল হোসেন৷ এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না৷''

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার-২ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচিত হন গণফোরামের সুলতান মোহাম্মদ মনসুর৷ অপরদিকে সিলেট-২ আসন থেকে নির্বাচিত গণফোরামের অপর প্রার্থী মোকাব্বির খান জানান যে, শপথ নেওয়ার ব্যাপারে তাঁর অবস্থান ইতিবাচক৷ তবে শপথের সম্ভাব্য কোনো দিন, তারিখ সিয়ে তাঁরা কিছু জানাননি৷ সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর বলেন, ‘‘জনগণ শত প্রতিকূলতার মধ্যে আমাদের ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেছে৷ জনগণের পক্ষে ভূমিকা রাখা আমার দায়িত্ব৷''

৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে সুলতান মনসুর ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করলেও সিলেট-২ আসনে বিজয়ী মুকাব্বির খান দলীয় প্রতীক উদীয়মান সূর্য নিয়েই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন৷

গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘‘সুলতান মো. মনুসর আহমেদ ও মোকাব্বির খান দু'জনই গণফোরামের প্রেসিডিয়ামের সদস্য, সেভাবেই নির্বাচন হয়েছে৷ একজন ধানের শীষ নিয়েছেন, আরেকজন আমাদের দলীয় প্রতীকে করেছেন ঐক্যফ্রন্টের সমর্থনে৷ এখন আমাদের সিদ্ধান্ত হচ্ছে, সংসদে না যাওয়ার, শপথ না নেওয়ার৷ এরপরে কী ব্যত্যয় ঘটবে সেটা আমাকে জিজ্ঞাসা না করে ওনাদের (দু’জন) জিজ্ঞাসা করুন৷''

এবারের নির্বাচনে ২৫৭টি আসন পেয়ে আওয়ামী লীগ টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করেছে৷  অন্যদিকে বিএনপিকে নিয়েগণফোরাম সভাপতি কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত ঐক্যফ্রন্ট পেয়েছে মাত্র আটটি আসন৷

৩০ ডিসেম্বর ভোটের ফল প্রত্যাখ্যান করে ঐক্যফ্রন্ট নতুন করে নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়েছিল৷ আগামী ৩০ জানুয়ারি একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসবে৷ নিয়ম অনুযায়ী তার পরের ৯০ দিনের মধ্যে কেউ শপথ নিয়ে অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর না করলে তার আসন শূন্য ঘোষণা করে সেখানে উপ-নির্বাচন দেওয়া হবে৷

এপিবি/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম, ডেইলি স্টার)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য