শপথ নেয়া নিয়ে গণফোরামে বিভ্রান্তি
২৮ জানুয়ারি ২০১৯গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী বলছেন, সংসদে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে তাঁরা এখনো অটল৷ অন্যদিকে, জোটের অবস্থানের বিষয়ে সুলতান মনসুর ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘‘আমি জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সদস্য হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছি৷ ড. কামাল হোসেন আগেই বলেছেন, শপথের ব্যাপারটিকে তিনি ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন৷ এখন ঐক্যফ্রন্ট কী করবে, তা বলতে পারবেন কেবল কামাল হোসেন৷ এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না৷''
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার-২ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচিত হন গণফোরামের সুলতান মোহাম্মদ মনসুর৷ অপরদিকে সিলেট-২ আসন থেকে নির্বাচিত গণফোরামের অপর প্রার্থী মোকাব্বির খান জানান যে, শপথ নেওয়ার ব্যাপারে তাঁর অবস্থান ইতিবাচক৷ তবে শপথের সম্ভাব্য কোনো দিন, তারিখ সিয়ে তাঁরা কিছু জানাননি৷ সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর বলেন, ‘‘জনগণ শত প্রতিকূলতার মধ্যে আমাদের ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেছে৷ জনগণের পক্ষে ভূমিকা রাখা আমার দায়িত্ব৷''
৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে সুলতান মনসুর ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করলেও সিলেট-২ আসনে বিজয়ী মুকাব্বির খান দলীয় প্রতীক উদীয়মান সূর্য নিয়েই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন৷
গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘‘সুলতান মো. মনুসর আহমেদ ও মোকাব্বির খান দু'জনই গণফোরামের প্রেসিডিয়ামের সদস্য, সেভাবেই নির্বাচন হয়েছে৷ একজন ধানের শীষ নিয়েছেন, আরেকজন আমাদের দলীয় প্রতীকে করেছেন ঐক্যফ্রন্টের সমর্থনে৷ এখন আমাদের সিদ্ধান্ত হচ্ছে, সংসদে না যাওয়ার, শপথ না নেওয়ার৷ এরপরে কী ব্যত্যয় ঘটবে সেটা আমাকে জিজ্ঞাসা না করে ওনাদের (দু’জন) জিজ্ঞাসা করুন৷''
এবারের নির্বাচনে ২৫৭টি আসন পেয়ে আওয়ামী লীগ টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করেছে৷ অন্যদিকে বিএনপিকে নিয়েগণফোরাম সভাপতি কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত ঐক্যফ্রন্ট পেয়েছে মাত্র আটটি আসন৷
৩০ ডিসেম্বর ভোটের ফল প্রত্যাখ্যান করে ঐক্যফ্রন্ট নতুন করে নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়েছিল৷ আগামী ৩০ জানুয়ারি একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসবে৷ নিয়ম অনুযায়ী তার পরের ৯০ দিনের মধ্যে কেউ শপথ নিয়ে অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর না করলে তার আসন শূন্য ঘোষণা করে সেখানে উপ-নির্বাচন দেওয়া হবে৷
এপিবি/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম, ডেইলি স্টার)