1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট

২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন পার্ক গুন-শে৷ এরপর দেয়া এক বক্তব্যে তিনি উত্তর কোরিয়াকে তার পরমাণু কর্মসূচি থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন৷

https://p.dw.com/p/17lBZ
New South Korean President Park Geun-hye salutes during her inauguration ceremony as the 18th South Korean president at the National Assembly in Seoul on Februay 25, 2013. Park was sworn in as South Korea's first female president, vowing zero tolerance with provocation from North Korea and demanding Pyongyang "abandon its nuclear ambitions" immediately. AFP PHOTO / POOL / Ahn Young-joon (Photo credit should read AHN YOUNG-JOON/AFP/Getty Images)
Park Geun Hye Amtseinführungছবি: AHN YOUNG-JOON/AFP/Getty Images

দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে জার্মানির এক দিক দিয়ে মিল রয়েছে৷ সেটা হচ্ছে, দুটো দেশই একসময় যুদ্ধবিধ্বস্ত ছিল, ছিল বিভক্ত৷ পরে সেখান থেকে অর্থনৈতিকভাবে অনেক উন্নতি করেছে৷ দুই জার্মানি একত্রিত হলেও কোরিয়া এখনো বিভক্ত৷ জার্মানির এই সফলতার কাহিনি ‘মিরাকল অন দ্য রাইন' নামে পরিচিত৷ আর দক্ষিণ কোরিয়ার গল্প পরিচিত ‘মিরাকল অন দ্য হান' নামে৷ জার্মানির বিখ্যাত নদী যেমন রাইন, দক্ষিণ কোরিয়ার তেমন হান৷

South Korea's conservative President-elect Park Geun-hye speaks during a news conference at the main office of ruling Saenuri Party in Seoul December 20, 2012. Park won South Korea's presidential election on Wednesday and will become the country's first female leader, saying she would work to heal a divided society. The words in the background read as "President Park Geun-hye". REUTERS/Woohae Cho (SOUTH KOREA - Tags: POLITICS ELECTIONS)
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন পার্ক গুন-শেছবি: Reuters

১৯৫০ থেকে ৫৩৷ এই তিন বছর ধরে চলা কোরীয় যুদ্ধের পর দক্ষিণ কোরিয়া ছিল বিধ্বস্ত এক দেশ৷ সেখান থেকে তারা এখন এশিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ৷ বিশ্বমঞ্চেও তাদেরকে প্রথম সারির দেশ হিসেবে ধরা হয়৷ যদিও বিশ্ব আর্থিক মন্দার কারণে রপ্তানি বাজারে ধস বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থনীতির দিন কিছুটা খারাপ যাচ্ছে৷

দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থনৈতিক অগ্রগতির পেছনে অবদান ছিল গুন-শে' বাবা পার্ক চুং-হি'র৷ সামরিক অভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে ক্ষমতায় এসে তিনি প্রায় ১৮ বছর দেশ চালিয়েছেন৷

শপথ নেয়ার পর দেয়া বক্তৃতায় গুন-শে আবারও অর্থনীতির সুদিন ফিরিয়ে আনতে চান৷ তিনি বলেন তাঁর সরকার ‘ক্রিয়েটিভ ইকোনমি' গড়ে তুলতে কাজ করবে৷ এর মানে হচ্ছে, উৎপাদনভিত্তিক অর্থনীতি থেকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ভিত্তিক অর্থনীতির দিকে যাবে দক্ষিণ কোরিয়া৷

নিজের দেশ ছাড়াও উত্তর কোরিয়া নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন গুন-শে৷ তিনি বলেন উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচি সমগ্র কোরীয় অঞ্চলের মানুষের জন্য হুমকিস্বরূপ৷ তাই তিনি পিয়ংইয়ংকে অবিলম্বে এই কর্মসূচি থেকে সরে আসতে বলেছেন৷

গুন-শে বলেন উত্তর কোরিয়ার এমনিতেই সম্পদের সংকট রয়েছে৷ বোমা বানিয়ে সেই সম্পদ না কমিয়ে দেশের মানুষের কল্যাণে তা কাজে লাগানো উচিত বলে মনে করেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট৷

এর আগে ২০০২ সালে গুন-শে উত্তর কোরিয়ার তৎকালীন নেতা কিম জং-ইলের সঙ্গে বৈঠকের সময়ও পরমাণু কর্মসূচি প্রত্যাহারে আহ্বান জানিয়েছিলেন৷ এর বিনিময়ে পিয়ংইয়ংকে অর্থ সহায়তা ও তাদের সঙ্গে বাণিজ্য করারও প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি৷

হালের সেনসেশন দক্ষিণ কোরিয়ার ব়্যাপার সাই গুন-শে'র শপথ অনুষ্ঠানে তাঁর বিখ্যাত গ্যাংনাম স্টাইল নাচগান পরিবেশন করেন৷

জেডএইচ / এসবি (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য