শচীনের শততম শতক আর হল না
২ এপ্রিল ২০১১অথচ শ্রীলঙ্কার ছয় উইকেটে ২৭৪ রানের টোটাল ধাওয়া করার জন্য আজ তেন্ডুলকরের ব্যাটের খুবই প্রয়োজন ছিল৷ এই প্রতিবেদন লেখার সময় গাম্ভির এবং কোহলি উইকেটে৷ শুনছি ফ্যানরা বলছেন, ওরা গোটা বিশেক ওভার পার করে দিক, আরও গোটা ষাটেক রান যোগ করুক৷ তারপর যুবরাজ এবং ধোনি ইত্যাদিরা ফিনিশ করবেন৷ সেহবাগ এবং শচীন এ'ভাবে অকালে বিদায় নেওয়ার পর তাদের এই আশাবাদিতা আদর্শ বটে - কিন্তু কতোটা বাস্তবসম্মত? এবং এই দীন-হীন প্রতিবেদকই বা কুডাক ডাকার কে?
আমি শুধু মালিঙ্গার ঐ গুলতি ছোঁড়া ডেলিভারি দেখলেই ডরাই৷ বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনালে শচীনের ইনিংস মাত্র ১৪ বলের মাথায় খতম করে দেওয়ার ক্ষমতা হয়তো শুধু এই মালিঙ্গারই ছিল৷ এর আগে সেহবাগের উইকেট নিতে দেখা গেল তাঁকে৷ অপরূপ একটি বল৷ আর শচীনের বিয়োগে আমরা যার কৃতিত্বের কথাটা আপাতত উল্লেখ করতেই ভুলে যাচ্ছি, তিনি হলেন শ্রীলঙ্কার মাহেলা জয়াবর্ধনে, যিনি ১০৩ নট আউট করে হয়তো শ্রীলঙ্কার সম্ভাব্য জয়ের ভিত্তি গড়ে দিয়ে গেলেন৷
তবে এ' দুঃখ ভারতের ক্রীড়ামোদীরা আগেও পেয়েছেন৷ জোহানেসবার্গে ২০০৩ সালের ফাইনালেও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শচীন মাত্র চার রানে আউট হয়েছিলেন৷ ভারত হেরেছিল ১২৫ রানে৷ তার পরেও তো সূর্য উঠেছে, শচীনের ব্যাট আবার ঝলসেছে৷ তবে ২০১৫-য় অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের বিশ্বকাপে শচীনের বয়স হবে ৪২৷ কাজেই লিটল মাস্টারের এবারকার বিদায়টা বেশ বড় হয়েই তাঁর ফ্যানদের বুকে বাজবে৷
প্রতিবেদক: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই