শচীনের বিদায় ফেসবুক, ব্লগে
১৫ নভেম্বর ২০১৩ফেসবুকে #শচীন হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে মন্তব্য করছেন অনেকে৷ এই তারকার ছবিসহ ফেসবুকে কিশোর শ্যাঠ লিখেছেন, ‘‘ছোটো থেকেই শচীনের খেলা দেখে আসছি, এটা ওনার শেষ টেস্ট, ক্রিকেট ঈশ্বরের অবসর, মন খারাপ লাগছে৷ ওনার অবসর জীবন ভালো করে কাটুক৷''
আরিফ জামান নামক আরেক ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘‘বিদায় শচীন টেন্ডুলকার৷ তবে বিশ্বের সব ক্রিকেটারদের মধ্যে খুব বেশি এক্সাইটেড থাকতাম ‘কলংকিত আশরাফুলের' ব্যাটিং দেখার জন্য৷ আশরাফুলের পর শচীন৷ যাই হোক দু'জনেরই ক্রিকেট পরবর্তী জীবনের জন্য শুভকামনা৷''
শচীনের বিদায় নিয়ে ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় রাকিব হোসেন প্লাবন লিখেছেন, ‘‘শচীন তুমি খেলা ছেড়ে দিওনা৷ তুমি বুড়ো হয়ে গেলেও তোমার প্রতি আমাদের উৎসাহ একটুও কমবে না৷ তোমার সেই পেপসির বিজ্ঞাপন ‘এলো ভাই শচীন এলো'৷ আমি মনে হয় সেই বিজ্ঞাপন দেখেই শচীন এর ভক্ত হয়ে গিয়েছিলাম৷ তোমাকে খুব মিস করব শচীন!!''
জনপ্রিয় বাংলা ব্লগ সামহয়্যার ইন ব্লগে ইচ্ছামানুষ রনি লিখেছেন, ‘‘আজকে সকালে টেন্ডুলকারের একটা সাক্ষাৎকার দেখলাম স্টার স্পোর্টসে৷ ২৪ বছর ক্রিকেট খেলার পর একজন ক্রিকেটার বলছেন, ‘ক্রিকেট ইজ লাইক অক্সিজেন টু মি৷ স্টিল ক্যান্ট থিংক মাই লাইফ উইদআউট ক্রিকেট!' তার মানে সে সম্ভবত: অবসর নিতে হয়, অন্যদের জায়গা করে দিতে হয় তাই অবসরে যাচ্ছে, তা না হলে আরও খেলতো! ক্রিকেটের প্রতি এতবছর পরও কী আবেগ, কী ডেডিকেশন, কী প্যাশন!''
একই ব্লগ সাইটে তন্ময় চক্রবর্তীর লেখার শিরোনাম, ‘‘শচীন টেন্ডুলকার - শুধু ক্রিকেটকেই বিদায় জানাতে পারো তুমি৷'' সকালে অফিসে এসে তিনি শোনেন শচীনের বিদায়ের কথা৷ সেকথা স্মরণ করে তন্ময় লিখেছেন, ‘‘দেড়-দুই ঘণ্টার জ্যাম ঠেলে অফিসে পৌঁছার পর একজন যখন শচীনের অবসর নেয়ার খবর দিল তখন প্রথমে মনে হয়েছিল, তাতে আমার কী আসে যায়? কিন্তু ধীরে ধীরে শান্ত হবার পর বুঝলাম কী রত্ন হারালো ক্রিকেট৷''
শচীনের বিদায় নিয়ে আমারব্লগে তাজ উদ্দিন লিখেছেন, ‘‘আমার মতো এমন অনেকে আছেন যারা তোমাকে ভালবাসে, যারা তোমাকে শ্রদ্ধা জানাতে চায়৷ কিন্তু তাদের বার্তা তোমার কাছে পৌঁছেনা৷ তবু বলি তুমি যে আমাদের গর্ব তুমি আমাদের রত্ন৷ তোমার কাছে আমরা ঋণী৷ সুদীর্ঘ ২৪ বছর যেভাবে তুমি আমাদেরকে খেলা উপহার দিয়েছ তা সত্যি ভোলার মতো নয়৷''
সংকলন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: জাহিদুল হক