1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘লোডশেডিং নিয়ে দুঃখপ্রকাশ ছাড়া কিচ্ছু করার নাই'

১৪ অক্টোবর ২০২২

সারা বিশ্বে জ্বালানির দাম যেভাবে বেড়েছে, তাতে আপাতত বিদ্যুৎ পরিস্থিতি নিয়ে দুঃখপ্রকাশ ছাড়া সরকারের কিছু করার নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ৷

https://p.dw.com/p/4IDaN
বিশ্বে জ্বালানির দাম যেভাবে বেড়েছে, তাতে আপাতত দুঃখপ্রকাশ ছাড়া কিছু করার নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী৷
বিশ্বে জ্বালানির দাম যেভাবে বেড়েছে, তাতে আপাতত দুঃখপ্রকাশ ছাড়া কিছু করার নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী৷ছবি: DW

‘ডয়চে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়' টকশো-তে এবারের আলোচনার বিষয় ছিল- বিদ্যুৎ সংকটের নেপথ্যে৷ এবারের পর্বে অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ৷

এখন দেশজুড়ে যে লোডশেডিং হচ্ছে, শীতকালে সে চাপ কমে আসবে বলে মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী৷ বেশ কয়েকটি উৎস থেকে জ্বালানি ও বিদ্যুতের সরবরাহ পাওয়া গেলে আগামী বছরের মার্চ নাগাদ পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে আসতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি৷ তবে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম ওঠানামার ওপর এটি অনেকখানি নির্ভর করবে, ফলে এই হিসাব নাও মিলতে পারে বলেও আশঙ্কা করেন প্রতিমন্ত্রী৷

খালেদ মুহিউদ্দীন প্রশ্ন করেন, লোডশেডিংয়ের ফলে যে অর্থনৈতিক ক্ষতি হচ্ছে, সেটি সরকার বিবেচনায় রেখেছে কিনা৷ উত্তরে নসরুল হামিদ বলেন, ‘‘এটার জন্য দুঃখপ্রকাশ করা ছাড়া কিচ্ছু করার নাই৷ সারা বিশ্বের বাইরে বাংলাদেশ না৷ আমরা ব্লিডিং হচ্ছি৷ আমরা যে দামে জ্বালানি কিনছি, তাতে সরকারের ব্লিডিং হচ্ছে৷ আমাদের হার্ড আর্নিং ফরেন কারেন্সির দাম বেড়ে গেছে৷ আমাদের একটা জায়গায় এটিকে থামাতে হবে৷''

বিদ্যুৎ বিভাগ যেভাবে এগিয়েছে, জ্বালানি বিভাগ সেভাবে আগায়নি বলে মনে করেন প্রতিমন্ত্রী৷ তিনি বলেন, ‘‘জ্বালানি বিভাগ স্লো গেছে৷ বিদ্যুৎ বিভাগ যেভাবে টিম ওয়ার্ক করে সামনে এগিয়েছে, জ্বালানি বিভাগ সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করেছে৷ আমাদের ৫-৭ বছর আগে জ্বালানির ক্ষেত্রে ভূমিকাটা যেভাবে নেয়া উচিত ছিল, তারা সেখানে সিদ্ধান্ত নিতে একটু দেরি করেছে, আমরা দেখতে পেয়েছি৷''

কয়লা উত্তোলনের ব্যাপারকে স্পর্শকাতর বলে মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী৷ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, ‘‘বহুবার আমরা চেষ্টা করেছি যে আমাদের মাটির নীচের সম্পদ আমরা ব্যবহার করতে পারি কিনা৷ কিন্তু এখানে এখটা বড় জিনিস রয়েছে৷ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে খুবই সেনসিটিভ৷ কৃষকের ব্যাপারে, পরিবেশের ব্যাপারে, খাদ্যের ব্যাপারে উনি সেনসিটিভ৷ উনি বলেছেন, এমন কোনো টেকনোলজি যদি থাকে যে কৃষকের জমি নষ্ট হবে না, তাহলে তোমরা কয়লা তুলতে পারো৷ এছাড়া না৷''

খাদ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে, দুর্ভিক্ষের ঝুঁকি মাথায় রেখে কৃষি জমিকে রাজনীতিবিদেরা গুরুত্ব দিতে চাচ্ছেন৷ প্রতিমন্ত্রী জানান এ কারণেই কয়লা উত্তোলন থেকে আপাতত বিরত থাকছে সরকার৷

এডিকে/জেডএ