লেবাননে ইসরায়েলের সেনা, সিরিয়ায় বোমা
১ অক্টোবর ২০২৪দক্ষিণ লেবাননে একটি ফিলিস্তিনি উদবাস্তু শিবিরে ইসরায়েল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ ফিলিস্তিনি প্রশাসনের। সংবাদসংস্থা রয়টার্স এবং এএফপি-কে তারা জানিয়েছে, আইন-এল-হিলওয়ে উদ্বাস্তু শিবিরে এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। লেবাননের সিদোন শহরের কাছে এই ক্যাম্পটি অবস্থিত। ঘিঞ্জি এলাকায় আচমকাই ওই ক্যাম্প লক্ষ্য করে বিস্ফোরণ ঘটানো হয় বলে অভিযোগ। তবে ঘটনায় হতাহতের কোনো পরিসংখ্যান এখনো দেওয়া হয়নি। অভিযোগ, লেবাননের আল-আকসা শহিদ ব্রিগেডের প্রধান মউনির মাকদাহকে হত্যা করার লক্ষ্যেই ওই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। উল্লেখ্য, আল-আকসা গোষ্ঠীকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবেই চিহ্নিত করে অ্যামেরিকা, জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন-সহ একাধিক দেশ ও মঞ্চ।
এদিন ভোরেই লেবাননে সেনাবাহিনী পাঠানোর কথা ঘোষণা করেছে ইসরায়েল। হিজবুল্লার বিরুদ্ধে এই অভিযান বলে জানিয়েছে তারা।
দামাস্কে ইসরায়েলের অভিযান
মঙ্গলবার ভোরে সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কে ইসরায়েল একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনায় এখনো পর্যন্ত তিনজন নিহত হয়েছেন। নয় জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সিরিয়ার জাতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, গোলান হাইটস থেকে বিমান এবং ড্রোনের সাহায্যে ইসরায়েল একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। এই ঘটনায় একজন টেলিভিশন কর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলে তারা জানিয়েছে। ইসরায়েল এখনো এবিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
বাগদাদে মার্কিন ঘাঁটিতে রকেট হামলা
এদিকে ইরাকের বাগদাদে অ্যামেরিকার সেনা ঘাঁটি লক্ষ্য করে রকেট হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ। ইরাকের সূত্র এপি, এএফপি এবং রয়টার্সকে জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভোর থেকে একের পর এক রকেট হামলা হয়েছে। তবে হতাহতের কোনো খবর এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
বাগদাদে অ্যামেরিকার সেনা ঘাঁটির নাম ভিক্ট্রি বেস। সেখানে পর পর তিনটি রকেট এসে পড়েছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে দুইটি রকেট আকাশেই ধ্বংস করা হয়েছে। তৃতীয় রকেটটি বেসের খুব কাছে এসে পড়ে। এর আগেও ইরানের মদতপুষ্ট জঙ্গিগোষ্ঠী এই ঘাঁটি লক্ষ্য করে এমন আক্রমণ চালিয়েছে।
বৈরুতে বিস্ফোরণ
সারা রাত বৈরুতে অন্তত সাতটি বিস্ফোরণ হয়েছে বলে অভিযোগ। বৈরুতের শহরতলি লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বিমানবাহিনী এই আক্রমণ চালিয়েছে বলে অভিযোগ। অন্যদিকে ইসরায়েল সেনা বাহিনী বৈরুতের তিনটি অঞ্চলের মানুষকে এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। ইসরায়েলের দাবি, ওই এলাকাগুলিতে হিজবুল্লার পরিকাঠামো আছে। তারা তা ধ্বংস করবে। সে কারণেই স্থানীয় মানুষকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিচ্ছে তারা।
এর আগেই মঙ্গলবার ভোরে ইসরায়েল লেবাননে সেনা পাঠানোর কথা ঘোষণা করে। তাদের দাবি, হিজবুল্লার পরিকাঠামো এবং নেতৃত্বকে ধ্বংস করতেই তারা এই অভিযান শুরু করেছে। গাজার পাশাপাশি লেবাননেও এখন অভিযান চলবে বলে জানিয়েছে তারা।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)