লিমনের মামলা, ফরিদের কাহিনী
২৮ এপ্রিল ২০১১লিমনের ঘটনাটা গোড়া থেকেই গোলমেলে৷ কেন, কখন, কতো বয়স দেখিয়ে, কোন অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হল অথবা হল না, ইত্যাদি প্রথম আলো পত্রিকায় এখনও তার একটা খতিয়ান দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে৷ কিন্তু এই মামলায় সহজ কথাটাও কঠিন হয়ে পড়ে৷ যেমন রবিবার আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হল, অথচ বিষয়টি বাইরে প্রকাশ করা হল না৷ সাংবাদিকরা কোর্টের সূত্রে জানতে পারলেন৷ এটা উল্লেখ করেছে যুগান্তর৷ লিমনের মায়ের আইনজীবী কালের কণ্ঠকে বলেছেন, লিমন সন্ত্রাসী নয় উল্লেখ করে ব়্যাবের মহাপরিচালক ১১ই এপ্রিল ঢাকায় সংবাদ সম্মলনে বলেছিলেন, সে ঘটনার শিকার হয়ে থাকতে পারে৷ তাহলে পুলিশ লিমনকে সন্ত্রাসী হিসেবে উল্লেখ করে অভিযোগপত্র দাখিল করল কিভাবে? প্রথম আলোই বলেছে: ব়্যাবের পর এবার পুলিশের নিষ্ঠুরতার শিকার হল লিমন৷ লিমনের মায়ের মামলাও তো ১৬ দিন পর রেকর্ড করা হল৷ তার বিস্তারিত বিবরণ আছে ভোরের কাগজে৷
ব়্যাবের হাতে হুজি প্রধান শেখ ফরিদ গ্রেফতার হবার পর তাঁর ব্যক্তিগত পলায়ন এবং অবস্থানের ইতিহাসটা অন্তত স্পষ্ট হল৷ ফরিদের জবানবন্দির চাঞ্চল্যকর অংশগুলো শিরোনাম জুড়ে রয়েছে৷ ফরিদ যে রশিদ ছদ্মনামে চট্টগ্রামের দুর্গম এলাকায় ফলের চাষী হিসেবে আত্মগোপন করে ছিলেন, সমকালে সেটাই বড় খবর৷ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম মধ্যপ্রাচ্যে হুজিবি'র বাংলাদেশি ‘সাথী'-দের ইতিবৃত্তের উপরেই জোর দিয়েছে৷ এবং ভোরের কাগজে ফরিদের আফগানিস্তান যাত্রা এবং বিন লাদেনের সঙ্গে সাক্ষাতের খবরটাই প্রাধান্য পেয়েছে৷ তবে তালেবান প্রধান মোল্লা ওমরের সঙ্গে তার দেখার প্রচেষ্টা অথবা পাকিস্তান এবং আরাকানের হুজি নেতাদের সঙ্গে ফরিদের নিয়মিত যোগাযোগের খবরগুলোও তাৎপর্যপূর্ণ৷ বস্তুত ফরিদের ব্যক্তিগত কাহিনীর মাধ্যমেই হুজির অভ্যন্তরীণ কাঠামো ও কার্যকলাপের একটা ছবি পাওয়া যাচ্ছে, এবং সেই সঙ্গে তাদের আন্তর্জাতিক যোগাযোগের একটা নতুন মাত্রা দৃষ্টিগোচর হচ্ছে৷
গ্রন্থনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম