1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রীর অপহরণ নাটক

১০ অক্টোবর ২০১৩

অপহরণ করা হয়েছিল লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী আলী জাইদানকে৷ বৃহস্পতিবার ভোরে সাবেক একদল বিদ্রোহী তাঁকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে আটক করে৷ কয়েক ঘণ্টা পর তাঁকে মুক্তি দেয় তারা, যদিও এ বিষয়ে বিভ্রান্তি পুরোপুরি কাটে নি৷

https://p.dw.com/p/19xKi
Libyan's Prime Minister Ali Zeidan speaks to the media during a press conference in Rabat, Morocco, Tuesday, Oct. 8, 2013. Libya¿s prime minister, on a visit to Morocco, has stressed the importance of relations with the U.S. but maintains that Libyans have the right to be tried for crimes at home. (AP Photo/Abdeljalil Bounhar)
ছবি: picture-alliance/AP Photo

আরব বসন্তের ছোঁয়া লেগেছিল যে সব দেশে, তার মধ্যে মিশর ও সিরিয়া এখনও অশান্ত৷ এবার যোগ হল লিবিয়া৷ ২০১১ সালে গাদ্দাফির পতনের পর আবারো অশান্ত হয়ে উঠেছে দেশটি৷ বৃহস্পতিবার ভোরে অপহৃত হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী আলী জাইদান৷

অপহরণের বিষয়টি নিশ্চিত

লিবিয়ার সরকারি ওয়েবসাইটে জাইদানের অপহরণের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলা হয়েছিল, সম্ভবত সাবেক বিদ্রোহীরাই এর পেছনে রয়েছে৷ সেই বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছিল, অজ্ঞাত কারণে জাইদানকে অজ্ঞাত স্থানে আটকে রেখেছে একটি দল৷ লিবিয়ার মন্ত্রিসভা এবং সাধারণ জাতীয় কংগ্রেস বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে৷ জনগণকে শান্ত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বিবৃতিতে৷ প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, ত্রিপোলির করিন্থিয়া হোটেল থেকে প্রধানমন্ত্রীকে অপহরণ করা হয়েছিল৷

গ্রেপ্তার না অপহরণ?

অপারেশনস সেল অফ লিবিয়ান রেভোলিউশনারিস' ফেসবুকে লিখেছিল, লিবিয়ার পেনাল কোড মেনে পাবলিক প্রসিকিউটরের/সরকারি কৌঁসুলীর নির্দেশ অনুযায়ী জাইদানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ দেশের নিরাপত্তা ভঙ্গ এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিলো বলে দাবি করেছে এই গোষ্ঠী৷

লিবিয়ার প্রসিকিউটর জেনারেল অফিস অবশ্য এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়টি অস্বীকার করে অপহরণের নিন্দা জানিয়েছে৷ বলেছে, যারা এর জন্য দায়ী তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে৷ সরকারই ঐ বিদ্রোহীদের ত্রিপোলির নিরাপত্তার দায়িত্ব দিয়েছিল৷

US Secretary of State John Kerry attends a joint press conference with the Russian Foreign minister in Geneva during their meeting on Syria's chemical weapons, on September 12, 2013. Russian Foreign Minister Sergei Lavrov on September 12 said there was still 'a chance for peace' in Syria as he prepared for high-stakes talks with his US counterpart on a plan for Damascus to give up its chemical weapons. Before leaving for the talks in Geneva, Lavrov said during a visit to Kazakhstan that he was prepared to 'ensure Syria's adherence to the chemical weapon ban convention,' which would include the country's total disclosure of its chemical arms sites. AFP PHOTO / POOL / LARRY DOWNING (Photo credit should read LARRY DOWNING/AFP/Getty Images)
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী জন কেরি গত সপ্তাহে ত্রিপোলি থেকে সন্দেহভাজন আল কায়েদার শীর্ষ নেতা আবু আনাস আল লিবিকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করার পরই ঘটল এ ঘটনাছবি: AFP/Getty Images

আল আরাবিয়া টেলিভিশন চ্যানেল আইন মন্ত্রীর বরাত দিয়ে বলেছিল, প্রধানমন্ত্রীকে অপহরণ করা হয়েছে এবং বেসামরিক পোশাকে একদল ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী ঘিরে রয়েছে এমন স্থির চিত্রও দেখিয়েছে তারা৷

করিন্থিয়া হোটেলের এক কর্মচারী এএফপিকে জানিয়েছেন, অস্ত্রধারী একদল ব্যক্তি খুব ভোরে হোটেলে ঢোকে৷ কিন্তু এরপর কী হয়েছিল তা বলতে পারেননি তিনি৷ হোটেলের নিরাপত্তারক্ষীরা বলছে, তারা কোন ধরনের গুলির শব্দ শোনেনি৷

লিবিকে গ্রেপ্তারের জবাব

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী জন কেরি গত সপ্তাহে ত্রিপোলি থেকে সন্দেহভাজন আল কায়েদার শীর্ষ নেতা আবু আনাস আল লিবিকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করার পরই ঘটল এ ঘটনা৷ ‘অপারেশনস সেল অফ লিবিয়ান রেভোলিউশনারিস'-এর এক মুখপাত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, জন কেরি জানিয়েছিলেন, ঐ অভিযানের ব্যাপারে লিবিয়া সরকার জানত৷ এ কারণেই প্রধানমন্ত্রীকে ‘গ্রেপ্তার' করা হয়েছে উল্লেখ করেছে তারা৷ কেরির মুখপাত্র জানিয়েছেন, মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে শীর্ষ মার্কিন ও লিবীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রেখেছে৷

শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ বাহিনী ত্রিপোলিতে অভিযান চালিয়ে নাজিহ আবদুল হামেদ আল আল রাগিহ-কে আটক করে, যিনি তার সহযোগীদের কাছে আবু আনাস আল লিবি নামে পরিচিত৷ ১৯৯৮ সালে কেনিয়া এবং তানজানিয়ায় মার্কিন দূতাবাসে বোমা হামলার জন্য তাকে সন্দেহ করা হয়৷ ভূমধ্যসাগরে মার্কিন একটি জাহাজে অবরুদ্ধ আছেন তিনি৷

লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী কিন্তু মঙ্গলবার লিবিয়ায় মার্কিন অভিযানের নিন্দা জানিয়েছিলেন৷ এমনকি লিবিয়ার সাধারণ জাতীয় কংগ্রেসও অবিলম্বে লিবিকে ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানিয়েছিল ওয়াশিংটনের কাছে৷

এপিবি/এসবি (এএফপি/ডিপিএ/রয়টার্স)