লাদেন হত্যায় সংশ্লিষ্ট সিআইএ’র তথ্যদাতারা আটক
১৬ জুন ২০১১গ্রেপ্তারকৃতদের তালিকা
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন একটি ‘সেফ হাউস' এর মালিক৷ পাকিস্তানের অ্যাবটাবাদে লাদেনের আস্তানার খুব কাছেই এই বাড়িটির অবস্থান৷ লাদেনের গতিবিধির উপরে নজরদারির জন্য মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ সেফ হাউসটি ভাড়া নিয়েছিল৷ আটককৃতদের মধ্যে রয়েছেন একজন সেনা মেজরও৷ তিনি লাদেনের আস্তানায় যাতায়াতের জন্য ব্যবহৃত গাড়িগুলোর নম্বরপ্লেট পর্যবেক্ষণ করেছিলেন৷ বাকিদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি৷ তবে আটক পাঁচজনই সিআইএ'র তথ্যদাতা, এমনটাই দাবি করেছে মার্কিন পত্রিকা নিউ ইয়র্ক টাইমস৷
পাকিস্তান সরকারের মন্তব্য
পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার আজমত আব্বাস বিবিসিকে জানিয়েছেন, কোন পাকিস্তানি সেনাকে আটক করা হয়নি৷ তবে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই অনেককে জিজ্ঞাসাবাদ করছে৷ তাদের বিরুদ্ধে অ্যামেরিকার গোয়েন্দা সংস্থাকে সহায়তার অভিযোগ রয়েছে৷ তিনি বলেন, ‘‘গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে লাদেনের আস্তানার কাছের একটি বাড়ির কয়েকজন রয়েছে৷ আমরা ধারণা করছি এরা সিআইএ'র জন্য কাজ করছে''৷
আজমত আব্বাস লাদেনকে হত্যা পরবর্তী ধরপাকড় সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য জানিয়েছেন৷ তাঁর কথায়, দুই ধরনের মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ এদের মধ্যে একদল, মার্কিন হেলিকপ্টারগুলোকে লাদেনের আস্তানা দেখিয়ে দিতে সংকেতশিখা ছুঁড়েছিল৷ অন্যদল মার্কিন হেলিকপ্টারগুলোকে পাকিস্তানের ভূখণ্ডেই পুনরায় জ্বালানী সংগ্রহে সহায়তা করেছিল৷
মার্কিন প্রতিক্রিয়া
ওবামা প্রশাসন বুধবার স্বীকার করেছে পাকিস্তানের সঙ্গে মার্কিন সম্পর্ক ‘জটিল', তবে শক্তিশালী৷ হোয়াইট হাউস মুখপাত্র জে কার্নি জানিয়েছেন, সন্ত্রাসবাদী এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে আমরা যে সহযোগিতা পাচ্ছি তা খুবই প্রয়োজনীয়৷ পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ তবে এই সম্পর্ক জটিলও৷
উল্লেখ্য, গত দোসরা মে পাকিস্তানের অ্যাবটাবাদে মার্কিন বিশেষ বাহিনী অভিযান চালিয়ে আল-কায়দা শীর্ষ নেতা ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করে৷ এই ঘটনার পর থেকে মার্কিন-পাকিস্তান সম্পর্কে টানোপোড়েন চলছে৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন