1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিযুক্তরাজ্য

লন্ডনে মিয়ানমারের সাবেক রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধে তদন্ত

২১ আগস্ট ২০২৩

লন্ডনে একটি কূটনৈতিক বাসভবনে অনুপ্রবেশের অভিযোগে মিয়ানমারের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে ব্রিটিশ পুলিশ।

https://p.dw.com/p/4VPPW
মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচির মুক্তি চেয়ে ২০২১ সালে লন্ডনের ন্যাশনাল মিউজিয়ামের সামনে বিক্ষোভ করেন প্রতিবাদকারীরা।
মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচির মুক্তি চেয়ে ২০২১ সালে লন্ডনের ন্যাশনাল মিউজিয়ামের সামনে বিক্ষোভ করেন প্রতিবাদকারীরা।ছবি: May James/ZUMA Wire/picture alliance

তার আইনজীবী জানিয়েছেন, ২০২১ সালে মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের বিরোধিতা করার জন্য তাকে চাকরিচ্যূত করা হয়।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অভ্যুত্থানের কয়েক মাস পর কিয়াও সোয়ার মিনকে দূতাবাসে ঢুকতে দেয়া হয়নি। পরে মিয়ানমারের বেসামরিক নেতা অং সান সু চিকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানালে তার বদলে দূতাবাসের দায়িত্ব দেয়া হয় সামরিক জান্তার প্রতিনিধিদের।

লন্ডনে তার আইনজীবী নীল সুইফট বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, গত সপ্তাহের শুরুর দিকে 'কূটনৈতিক প্রাঙ্গনে অনুপ্রবেশের অভিযোগে' কিয়াও সোয়ার মিনের সাক্ষাৎকার নিয়েছিল পুলিশ। এই অপরাধে ব্রিটিশ আইনে ছয় মাস পর্যন্ত জেল বা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।

রয়টার্সকে সুইফট জানান, "রাষ্ট্রদূতের বাসভবন মিয়ানমার ইউনিয়নের সম্পত্তি হিসাবে রয়ে গেছে, এবং আমার ক্লায়েন্ট সবসময় এই অবস্থান বজায় রেখেছেন যে তিনি মিয়ানমারের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের একজন প্রতিনিধির কাছে চাবি হস্তান্তর করতে পারলে খুশিই হবেন।"

এ তথ্য নিশ্চিত হওয়ার জন্য লন্ডনে মিয়ানমারের দূতাবাস, ব্রিটেনের পররাষ্ট্র দপ্তর এবং লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

মিনের আইনজীবী জানিয়েছেন, ১৫ আগস্ট পুলিশ সাক্ষাৎকার নিয়েছিল, কিন্তু এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করা হয়নি৷ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার আগে সে ব্যাপারে যথেষ্ট প্রমাণ আছে কিনা তা ব্রিটেনের অ্যাটর্নি জেনারেলকে নির্ধারণ করতে হবে বলেও মন্তব্য় করেন আইনজীবী সুইফট।

অভিযোগ আনা হলে, কিয়াও সোয়ার মিনের প্রতি ব্রিটেনের পূর্বের সমর্থন এবং অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারের সামরিক জান্তার ওপর যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, তা নিয়ে রাজনৈতিক উত্তাপ তৈরির ঝুঁকি রয়েছে।

অধিকার গ্রুপ মিয়ানমার অ্যাকাউন্টেবিলিটি প্রজেক্টের ক্রিস গুনেস বলেছেন, "ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ অভ্যুত্থানের নিন্দা করেছে এবং জেনারেলদের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এমন পদক্ষেপ একটি অবৈধ জান্তার নেয়া সিদ্ধান্তে পরোক্ষ সমর্থন জানানোর সমান হবে।"

২০২১ সালের জুলাই মাসে মিয়ানমারের জান্তা দেশটির লন্ডন দূতাবাসে একজন নতুন অস্থায়ী প্রধান নিযুক্ত করে। ভিয়েনা কনভেনশনের অধীনে রাষ্ট্রদূত নিয়োগে ব্রিটিশ সরকারের সম্মতির প্রয়োজন পড়েনি।

এডিকে/এসিবি (রয়টার্স)