লকডাউনে যে জার্মান সংস্থার পোয়াবারো
ডয়চে পোস্ট-ডিএইচএল জার্মানির সবচেয়ে বড় ডাক পরিষেবা সংস্থা৷ লকডাউনে কীভাবে বাজার মাত করছে তারা, জানুন ছবিঘরে...
অনলাইনে ক্রেতার ভিড়
করোনা সংক্রমণের চূড়ায় থাকার সময়, অর্থাৎ গত এপ্রিলেও যেন ক্রিসমাসের মতো কেনাকাটার হিড়িক পড়েছিল জার্মানিতে৷ মূল কারণ, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে জারি হওয়া বিভিন্ন বিধিনিষেধ, যার ফলে বেশির ভাগ জার্মান ক্রেতা ভরসা রাখছেন অনলাইন বাজারে৷ মাসের কাঁচামাল থেকে শখের জামাজুতো - অনলাইনে কেনা সবকিছু বাসায় পৌঁছে দিচ্ছে বেশ কিছু ডাক পরিষেবা সংস্থা, যাদের মধ্যে অন্যতম ডয়চে পোস্ট-ডিএইচএল৷
যতটা বেড়েছে অনলাইন কেনাকাটা
ডয়চে পোস্ট ও অংশীদারদের ২০১৯-২০২০ সালের পারফর্মান্স বলছে, এপ্রিল মাসে, বিশেষ করে, ইস্টারের সময় থেকে, অন্যান্যবারের তুলনায় ডাকের মাধ্যমে প্যাকেজ পাঠানো ২১ শতাংশ বেড়েছে৷
করোনাকালেও লাভ
এপ্রিল থেকে জুন মাসের পরিসংখ্যান বলছে, অন্যান্য বছর এই তিন মাসের তুলনায় ২০২০ সালে এই সময়ে ডয়চে পোস্ট-ডিএইচএল ৩ দশমিক ১ শতাংশ বেশি আয় করেছে৷ এই আয়ের পরিমাণ ১৬ বিলিয়ন ইউরোর ( বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১৬১০ কোটি টাকা) সমান৷এই তিন মাসে সংস্থাটি লাভ করেছে মোট ৫২৫ মিলিয়ন ইউরো (৫২৮ কোটি টাকা)৷
কর্মীদের জন্যে বিশেষ সুবিধা
করোনাকালে জনসাধারণের জীবন সহজ করে তুলতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন ডেলিভারিকর্মীরা৷ ডিএইচএল ও ডয়চে পোস্টে কর্মরত কর্মীদের মধ্যে সাড়ে পাঁচ লাখ জন বছর শেষে ৩০০ ইউরো বোনাস পাবেন বলে বৃহস্পতিবার একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে জানিয়েছে সংস্থাটি৷
পরিবেশবান্ধব ডেলিভারি পরিষেবা
ডয়চে পোস্ট-ডিএইচএল ২০৫০ সালের মধ্যে নিজেদের ডেলিভারি পরিষেবা ১০০ শতাংশ কার্বন-মুক্ত করার পরিকল্পনা করেছে৷ সেই লক্ষ্যে এগোতে এখন থেকেই সাইকেল ও বৈদ্যুতিক যানবাহনের সাহায্যে নিচ্ছে তারা৷ যদিও এখনও তাদের পরিষেবার কাজ বেশির ভাগই সারা হয় আকাশপথে ও জাহাজে৷ কিন্তু ডিএইচএলের মাধ্যমে পাঠানো চিঠি ও প্যাকেজের এক-তৃতীয়াংশ কার্বন নিঃসরণ-মুক্ত৷