লকডাউন শিবচর
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে বাংলাদেশের মাদারিপুরের শিবচরকে ১৪ দিনের জন্য অবরুদ্ধ করেছে প্রশাসন৷ ছবিঘরে দেখুন সেখানকার শনিবার সকালের চিত্র৷
নিয়ন্ত্রণে চার এলাকা
করোনা ভাইরাসের সংক্রমন এড়াতে ২০ মার্চ রাত ৯টা থেকে শিবচর পৌর বাজারসহ ঝূঁকিপূর্ন দুইটি ওয়ার্ড, দুইটি ইউনিয়নের দুই গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে৷ চারটি এলাকার মানুষের গতিবিধি সতর্কতার সাথে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে৷ শুক্রবার বিকেলে শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন, আইইডিসিআর এর কর্মকর্তাদের সাথে জরুরি সভা শেষে জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজ্জামান এই ঘোষণা দেন৷
যাতায়ত বন্ধ
চিহ্নিত ২টি ওয়ার্ড ও ২টি গ্রামের সঙ্গে অন্য এলাকার যোগাযোগ ও মানুষের যাতায়ত বন্ধ রয়েছে৷ প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থানীয়দের চিকিৎসাসহ সব ধরনের জরুরি সেবা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক৷ পাশাপাশি পুরো উপজেলা জুড়েই জনসমাগমে কঠোর বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে৷
কোয়ারান্টিনে থাকার নির্দেশ
প্রবাসীদের পাশাপাশি সাধারণ জনগণকেও হোম কোয়ারান্টিন বা ঘরে থাকার নির্দেশ মেনে চলতে অনুরোধ করেছে প্রশাসন৷ একান্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বাইরে বের না হওয়ার জন্য বলা হয়েছে৷
অতিরিক্ত পুলিশ
শিবচর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আড়াই শতাধিক অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন হয়েছে৷ শনিবার তাদেরকে টহল দিতে দেখা যায়৷ পুলিশ সুপার মাহবুব হাসান জানান, উপজেলার বাজারগুলোতে জরুরি ও নিত্য প্রয়োজনীয় ছাড়া বাকি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ১৪ দিনের জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে৷
জরুরি সেবা
ওষুধ, কাঁচামালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকানগুলো খোলা রয়েছে৷ স্থানীয় প্রশাসন, সংবাদকর্মী ও ওষুধ পরিবহনকারী গাড়ি ছাড়া উপজেলার অভ্যন্তরীণ গণপরিবহন এবং উপজেলার সাথে অন্য জেলা ও উপজেলার গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে৷
বাজার খোলা
শনিবার সকালে শিবচরের মাছ-মাংসের বাজারের চিত্র৷ সড়কগুলো জনশূন্য হলেও বাজারে বিক্রেতারা রয়েছেন৷ তবে ক্রেতার সংখ্যা আগের চেয়ে অনেকটাই কম৷
ঝুঁকির কারণ
শিবচরে অনেক ইটালি প্রবাসী রয়েছেন৷ যাদের বেশ কয়েকজন সম্প্রতি বাড়ি ফিরেছেন৷ যে কারণে এলাকাটিকে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছে প্রশাসন৷ হোম কোয়ারান্টিনের পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য পৌরসভার একটি স্কুল ভবন প্রস্তুত করা হচ্ছে৷ ছবিতে স্থানীয় হাসপাতালে কয়েকজন রোগী ও তাদের স্বজনদের দেখা যাচ্ছে৷