শিক্ষকের ভূমিকায় রোবট?
১৭ জানুয়ারি ২০১৭এমনি এক রোবট ‘নাও'৷ শিক্ষার্থীরা ক্যামেরা আর মাইক্রোফোনের সাহায্যে তার সঙ্গে যোগাযোগ করে৷
কোনো কিছু ব্যাখ্যা করা রোবটের জন্য সহজ৷ তবে একজন ভালো শিক্ষকের গুণ হচ্ছে, তিনি শিক্ষার্থীদের বুঝতে পারেন ও তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হন৷ একজন রোবটের পক্ষে কী সেরকম সম্ভব? কীভাবে সে শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করবে? এ বিষয়ে নাওকে অনুভূতিসম্পন্ন হতে শেখাচ্ছেন যে মনোবিজ্ঞানী সেই আরফিড কাপাস বলেন, ‘‘...একদিকে এটি একটি প্রযুক্তিগত সমস্যা, যার সমাধান দরকার৷ অন্যদিকে, আমাদের প্রথমে ঠিক করতে হবে, অনুভূতিসম্পন্ন হতে কী কী লাগে৷ এ বিষয়ে অনেক মতপার্থক্য আছে৷ অবশ্য সহজ করে বললে বলা যায়, এটা হচ্ছে, আমি যার সঙ্গে কথা বলছি তার চিন্তা ও অনুভূতি বুঝতে পারা৷''
২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে অনুভূতি নিয়ে গবেষণা করছেন কাপাস৷ তিনি একসঙ্গে মনোবিজ্ঞান, নিউরোবায়োলজী আর কম্পিউটার বিজ্ঞান নিয়ে কাজ করেন৷
বিজ্ঞানীদের প্রথম কাজ হচ্ছে, শিক্ষক আর শিক্ষার্থীরা কীভাবে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে, সেটা বোঝা৷ একে বলে ‘ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স'৷
স্বাভাবিক আচরণ করতে নাওকে তার পরিবেশ ও ছাত্রছাত্রীর মনের অবস্থা বুঝতে হবে৷ এ ব্যাপারে রোবটের এখনও সহায়তা প্রয়োজন৷
প্রাথমিক গবেষণা বলছে, পড়ালেখা শেখানোয় রোবট সহায়তা করতে পারে৷ শিক্ষকের চেয়ে একজন রোবট শিক্ষকের কাছ থেকে পাওয়া সমালোচনাকে শিশুরা বেশি গুরুত্ব দেয়৷ তবে আলোচনার জন্য শিশুরা এখনও একজন ব্যক্তিকেই চায়৷
এই মুহূর্তে শিক্ষকদের তাদের চাকরি নিয়ে ভাবতে হবে না৷ কারণ রোবটরা আসলে একজন শিক্ষকের সহকারী হিসেবেই বেশি ভালো পারফর্মেন্স দেখায়৷
যন্ত্রের অবশ্য একটি বড় সুবিধা আছে৷ সে যে কোনো ভাষায় শেখাতে পারে৷
তবে নাওকে এখনও অনেককিছু শিখতে হবে৷ তাহলে হয়ত একদিন সে নিজেই ক্লাস নিতে পারবে৷