রোড টু ফাইনাল: ফ্রান্স
বিদগ্ধ কোচ দিদিয়ে দেশঁ মহামঞ্চে হাজির হলেন একটি ভারসাম্যপূর্ণ দল নিয়ে৷ তারুণ্যনির্ভর, তারকাখচিত দল ফ্রান্স৷ তাঁরা এলেন, খেললেন, জয় করলেন৷ অথচ খেলায়, অভিব্যক্তিতে কোথাও ছিল না কোনো বাগাড়ম্বর৷
যাত্রা শুরু সকারুদের বিপক্ষে
কাজানে লে ব্ল্যু’দের বিশ্বকাপ শুরু হয় গ্রুপ সি’তে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে৷ এই ম্যাচটি ইতিহাস হয়ে থাকবে অন্য এক কারণে৷ এখানেই বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথমবার ব্যবহৃত হয় ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি বা ভিএআর প্রযু্ক্তি৷ ফ্রান্সের অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড গ্রিসমানকে ফাউল করেন প্রতিপক্ষের জসুয়া রিসডন৷ এতেই দ্বিতীয়ার্ধে পেনাল্টি পেয়ে এগিয়ে যায় ফ্রান্স৷ শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে জয় নিশ্চিত করেন ফ্রেঞ্চরা৷
পেরুভিয়ান নার্ভ পরীক্ষা
গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচে ইয়েকাটেরিনবুর্গের সেন্ট্রাল স্টেডিয়ামে নার্ভের পরীক্ষা দিয়েছে ৯৮-এর চ্যাম্পিয়ন দল৷ পেরুর বিপক্ষে এই ম্যাচে তাদের পারফরম্যান্স সন্তোষজনক ছিল না৷ পেরুর জন্য ছিল বাঁচা-মরার লড়াই৷ সেখানে পিএসজি স্ট্রাইকার এমবাপ্পের গোলে দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করে ফ্রান্স৷
ভুলে যাবে লুঝনিকি
লুঝনিকি স্টেডিয়ামের ফ্রান্স-ডেনমার্কের এই ম্যাচটিকে কেউ মনে রাখবে না৷ ততদিনে দু’দলই নিশ্চিত করে ফেলেছে পরের রাউন্ড৷ গোলশূন্য ড্র এই ম্যাচে ফ্রেঞ্চ বস দিদিয়ে দেশঁ তাঁর তুরুপের তাস এমবাপ্পে ও পগবাকে বিশ্রাম দেন৷
আকাশে নীলের দাপট
কাজানে এমবাপ্পে এদিন ছিলেন পুরোপুরি ক্লিনিক্যাল৷ কী ক্ষিপ্র গতি, কী অসাধারণ ফিনিশিং! অন্যপ্রান্তে মেসি, ডি মারিয়ার মতো মহারথিদের ছাপিয়ে এদিন তিনি সত্যিকারের তারকা৷ ম্যাচের এক ঘণ্টা পার হয়েছে, এরই মধ্যে দু’ দলই দু’টি করে গোল করেছে৷ পাঁচ মিনিটের মধ্যে আরো দু’টি বল আর্জেন্টাইন জালে প্রবেশ করিয়ে ক্যারিয়ারের এক উজ্জ্বল ভবিষ্যতের আভাস দিলেন তিনি৷ শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি ৪-৩ গোলে হেরে বিদায় নেয় আর্জেন্টিনা৷
অপ্রতিরোধ্য ফ্রান্স
নিঝনি নভোগরোদে শেষ চারের টিকেট পাবার লড়াইয়ে এদিন উরুগুয়ের মুখোমুখি ফ্রান্স৷ প্রথমার্ধের ৩৯ মিনিটে গ্রিসমানের ফ্রি-কিককে স্লাইডিং হেডে প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক মুসলেরার ডান দিক দিয়ে পার করে দেন ফ্রেঞ্চ ডিফেন্ডার রাফায়েল ফারানে৷ দ্বিতীয়ার্ধে গ্রিসমানের শট মুসলেরা হাতে লাগাতে পারলেও ঠেকাতে পারেননি৷ ২-০ গোলের জয় নিয়ে ২০০৬ সালের পর প্রথমবার কোয়ার্টার ফাইনালের গণ্ডি পেরোয় ফ্রান্স৷
সামনে উড়ন্ত বেলজিয়াম
বেলজিয়ান গতির চমককে স্থবির করতে পারলো কেবল ফ্রান্সই৷ ৫১ মিনিটে গ্রিজমানের কর্নার থেকে বার্সেলোনার তারকা সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার উমতিতি উড়ে এসে হেড করেন৷ আর তাতেই পরাস্ত বেলজিয়ান গোলরক্ষক কোর্টোয়া৷ এক গোলের জয় নিয়ে ২০০৬-এর পর আবারো ফাইনালে ইউরোপের পরাশক্তিরা৷