1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
ব্যবসা-বাণিজ্যবাংলাদেশ

রোজায় মূল্য নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা সফল না হওয়ার কারণ

হারুন উর রশীদ স্বপন ঢাকা
১৫ মার্চ ২০২৪

রোজায় দাম বাড়ানোর প্রতিযোগিতা চলে৷ এর সঙ্গে পণ্যের সরবরাহ বা মজুতের সম্পর্ক নেই৷ অর্থনীতির কোনো সূত্রও কাজ করে না৷ সবকিছু ব্যবসায়ীদের হাতে৷ তারা যা চান তাই হয়৷

https://p.dw.com/p/4dfmr
ইফতার সাজিয়ে রোজা ভাঙার প্রস্তুতি
রোজার আগে চার ধরনের পণ্যের শুল্ক কমালেও একমাত্র ভোজ্য তেল ছাড়া আর কোনোটির দাম কমেনিছবি: Mohammad Ponir Hossain/REUTERS

তবে কয়েক বছর আগে রোজার মধ্যে দাম বাড়তো৷ আর এখন রোজার একমাস বা কয়েক সপ্তাহ আগেই বাড়িয়ে দেয়া হয়৷ অবশ্য শাকসবজি, বিশেষ করে শসা, টমেটো, লেবু, কাঁচামরিচ - এগুলোর দাম এবারও রোজার মধ্যে বেড়েছে৷ সবজি বিক্রেতা রুবেল মিয়া বলেন, ‘‘এবার রোজায় শসা, টমেটো, বেগুন ও লেবুর দাম বেড়েছে৷ ২০-৩০ টাকা হালি যে লেবু, রোজায় তা হয়েছে ১০০-১২০ টাকা৷ আর ৫০ টাকার শসা এখন ১০০-১২০ টাকা৷'' তার কথা, ‘‘রোজায় সরবরাহ কম না থাকলেও দাম বেড়েছে৷ আমরা বেশি দামে কিনি তাই বেশি দামে বিক্রি করি৷''

এবারের রোজায় সবচেয়ে বড় ভেলকি দেখিয়েছে খেজুর৷ আমদানি শুল্ক কমিয়েও খেজুরের দাম কমানো যায়নি৷ উল্টো বেড়েছে৷ ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি শুল্ক কমালেও খেজুরের দাম বেশি দেখিয়ে শুল্ক হিসাব করা হয়, তাই তারা আরো ক্ষতির মুখে পড়েছেন৷ শেষ পর্যন্ত তাদের এলসি দেখে খেজুরের দাম নির্ধারণ করে দেয়া হলেও সেই দামে খেজুর পাওয়া যায় না কোথাও৷ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সাধারণ মানের খেজুর প্রতি কেজির দাম বেঁধে দিয়েছে ১৫০-১৬৫ টাকা৷ এটা বস্তায় করে আনা খোলা খেজুরের দাম৷ কিন্তু খোলা খেজুর পাওয়া কঠিন৷

কলাবাগানের দোকানদার মিন্টু মিয়া বলেন, ‘‘আমি সব প্যাকেট করে বিক্রি করব৷ তাহলে তো আর খোলা খেজুরের দামে বিক্রি করতে হবে না৷'' তার কথা, ‘‘সরকার যাই বলুক, ৩০০ টাকা কেজির নিচে এখন আর কোথাও খেজুর নেই৷ আর চিনির দাম রোজার আগেই কেজিতে দুই টাকা বাড়িয়ে দেয়া হয়৷ এখন আমরা ১৫৫ টাকা কেজি বিক্রি করছি৷''

দামের তুলনা

বাংলাদেশের সরকারি-বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান রোজার মাসের পণ্যের দাম আলাদা করে সংরক্ষণ করে না৷ যে হিসাব রাখে তা হলো, বছরের গড় হিসাব৷

কনজ্যুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) তথ্য বলছে, ২০০৯ সালে সাধারণ মানের এক কেজি চালের (মোটা চাল) দাম ছিল সর্বোচ্চ ৩২ টাকা৷ বোতলজাত সয়াবিন তেলের লিটার ছিল ৮৫ টাকা, গরুর মাংসের কেজি ২১৮ টাকা, খাসির মাংস ৩৩২ টাকা, ডিমের হালি ২৮ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৩৮ টাকা, আমদানি করা পেঁয়াজ ২৯ টাকা, আলু ২৭ টাকা, প্যাকেট চিনি ৪৪ টাকা, আপেল ১২০ টাকা কেজি, মশুর ডাল (দেশি) ১১০ টাকা, ছোলা ৬১ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১১৮ টাকা কেজি৷

২০১৬ সালে সাধারণ মানের এক কেজি চালের (মোটা চাল) দাম ছিল সর্বোচ্চ ৩৬ টাকা৷ বোতলজাত সয়াবিন তেলের লিটার ছিল ৯৮ টাকা, গরুর মাংসের কেজি ৪২৭ টাকা, খাসির মাংস ৬১৮ টাকা, ডিমের হালি ৩৪ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৩৯ টাকা, আমদানি করা পেঁয়াজ ২৭ টাকা, আলু ২৫ টাকা, প্যাকেট চিনি ১২১ টাকা, আপেল ১৪০ টাকা কেজি, মশুর ডাল (দেশি) ১৩৯ টাকা কেজি, ছোলা ৮৭ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৫১ টাকা কেজি৷

২০২৪ সালে রমজান মাসে সাধারণ মানের এক কেজি চালের (মোটা চাল) দাম সর্বোচ্চ ৬০ টাকা৷ বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৬৩ টাকা লিটার, গরুর মাংসের কেজি ৭০০-৮০০, খাসির মাংস ১২০০, ডিমের হালি ৪৫ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৯০ টাকা, আলু ৩৫ টাকা, প্যাকেট চিনি ১৫৫ টাকা, আপেল ৩৮০ টাকা কেজি, মশুর ডাল (দেশি) ১৬০ টাকা কেজি, ছোলা ১২০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ২২০ টাকা কেজি৷

ক্যাবের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৫ বছরে মোটা চালের দাম বেড়েছে ১০০ ভাগ, গরুর মাংসের দাম বেড়েছে ৩৫০ ভাগ, সয়াবিন তেল ১০০ ভাগ, মশুর ডাল ৫০ ভাগ, ছোলা ১০০ ভাগ৷ গড়ে সব পণ্যের দাম প্রায় শতভাগ বেড়েছে৷

আমাদের একেক সংস্থার একেক ধরনের ম্যান্ডেট: প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী

এদিকে, টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, গত তিন বছরের মধ্যে এবারই রোজার বাজারে চিনি, খেজুর, ছোলা, পেঁয়াজ ও ডালের দাম সবচেয়ে বেশি৷ সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে রোজার আগে বাজারে প্রতি কেজি চিনির দাম ছিল ৭৮ থেকে ৮০ টাকা৷ এ বছর চিনির কেজি ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা৷ তাতে এক বছরে চিনিতে খরচ বেড়েছে সর্বনিম্ন ৬০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৬৭ টাকা৷

টিসিবির হিসাবে, ২০২১ সালে রোজার আগে বাজারে ছোলার দাম ছিল কেজিপ্রতি ৭০ থেকে ৭৫ টাকা৷ এ বছর দাম বেড়ে হয়েছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা৷ তাতে দুই বছরের ব্যবধানে ছোলার দাম বেড়েছে কেজিতে ২৫ থেকে ৪০ টাকা৷ তবে টিসিবির দামের চেয়ে বাজারে চিনি ও ছোলার দাম আরও বেশি৷

‘বাজারের নিয়ন্ত্রণ ব্যবসায়ীদের হাতে'

ক্যাবের সহসভাপতি এস এম নাজের হোসেন বলেন, ‘‘সরকার ও সরকারের বিভিন্ন সংস্থা যত হাকডাকই দিক না কেন তারা বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেনি৷ বাজারের নিয়ন্ত্রণ পুরোটাই চলে গেছে ব্যবসায়ীদের হাতে৷ তারা যেভাবে চায় সেভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণ করে৷''

এবার রোজার আগে চার ধরনের পণ্যের শুল্ক কমালেও একমাত্র ভোজ্য তেল ছাড়া আর কোনোটির দাম কমেনি৷ সয়াবিন তেল লিটারে ১০ টাকা কমানো হয়েছে৷ কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন তেলের দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে৷

চাল, ভোজ্য তেল, চিনি ও খেজুর এই চারটি পণ্যের শুল্ক কমানো হয়েছে৷ এরমধ্যে চাল আমদানি হয় না৷ ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘‘তেলের দাম কমেছে৷ চিনির শুল্ক সামান্যই কমানো হয়েছে৷ তার প্রভাব বাজারে পড়ার কথা নয়৷ সাধারণ মানের খেজুরের দাম বেঁধে দিয়েছি৷ আর যে খেজুর এখন বাজারে আছে তা আগে আমদানি করা৷ সবজি ও কাঁচাবাজার এবং ফলের বাজার ঠিক রাখতে আমরা অভিযান চালাচ্ছি৷''

তার কথা, ‘‘শুল্ক কমিয়ে পণ্যের দাম কমাতে হলে তার যৌক্তিক সময় দিতে হবে৷ রোজার ১০ দিন আগে কমালে তো হবে না৷''

একই ধরনের যুক্তি দেন এফবিসিসিআই-এর সাবেক পরিচালক ও দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলালউদ্দিন৷ তার কথা, ‘‘সরকার যেসব পণ্যে শুল্ক কমিয়েছে তা আমদানি পণ্য৷ ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় তাতে তেমন কোনো লাভ হয়নি৷ আর দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে ভোগ্যপণ্যের ওপর শুল্ক সবচেয়ে বেশি৷ এখন বাজার স্থিতিশীল আছে৷ তবে সাধারণভাবে দাম বাড়ার পেছনে অনেক অপকর্ম আর পাপ আছে, যা আমি প্রকাশ করতে পারব না৷''

এবার রোজার আগেই পণ্যের দাম বাড়ানো হয়েছে৷ আর চিনির গুদামে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে চিনির দাম কেজিতে দুই টাকা বাড়ানো হলো৷ এটা কেন হলো? এর জবাবে তিনি বলেন, ‘‘এখানে কিছু সমস্যা আছে৷ সেটা তো সরকারের দেখা দরকার৷''

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘‘দেশে ভোগ্যপণ্যের পর্যাপ্ত মজুত আছে৷ আমদানি পণ্য ও দেশে উৎপাদিত পণ্যের সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই৷ তবে আমার বেশ কিছু অভিজ্ঞতা হয়েছে অল্প সময়ে, যা নিয়ে কাজ করছি৷ ফল পেতে সময় লাগবে৷ যেমন টিসিবির মাধ্যমে এক কোটি পরিবারকে ছয় ধরনের ভোগ্যপণ্য দেয়া হচ্ছে৷ এটা যদি বাজার থেকে না কিনে আমদানি করে দেয়া হতো তাহলে বাজারে এর প্রভাব পড়ত৷ এখন পড়ছে না৷''

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিমাসে দেশে ভোজ্যতেলের চাহিদা দেড় লাখ মেট্রিক টন৷ রমজানে এই চাহিদা গিয়ে দাঁড়ায় ৩ লাখ মেট্রিক টনে৷ দেশে চিনির বার্ষিক চাহিদা প্রায় ১৮-২০ লাখ টন৷ চিনির মাসিক চাহিদা দেড় লাখ টন৷ তবে রমজানে সেটি বেড়ে তিন লাখ মেট্রিক টনে গিয়ে দাঁড়ায়৷ দেশে প্রতিবছর ছোলার চাহিদা এক লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন৷ খেজুরের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ৯০ হাজার টন৷ এরমধ্যে শুধু রমজান মাসেই ৪০ হাজার টন খেজুর প্রয়োজন হয়৷

সরকারকে সবসময় সরবরাহ ঠিক রাখতে হবে: ড. জাহাঙ্গীর আলম খান

‘ব্যবসায়ীদের কারসাজি'

পণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরও দাম বাড়তি কেন জানতে চাইলে কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, ‘‘কৃষিপণ্যের দাম নির্ভর করে মৌসুমের ওপর৷ যেমন শীতকালে শাকসবজির দাম কম থাকে৷ কিন্তু সেটা যত কম থাকার কথা তত কম থাকে না৷ এখানেই বাজারের সমস্যা৷ এখানেই সিন্ডিকেট৷ যেমন এখন মুরগির দাম অনেক বড়ে গেছে৷ এই সময়ে মুরগির দাম এত বাড়ার কথা নয়৷ এখানেই ব্যবসায়ীদের কারসাজি৷ তারা ডিম, মুরগির দাম ঠিক করে দেয়৷ সেই দামেই সাধারণ ক্রেতাকে কিনতে হয়৷ আমদানি পণ্যের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা৷ সরকার যদি বাজার নিয়ন্ত্রণের টুলসগুলো ঠিক মতো ব্যবহার করে তাহলে এই পরিস্থিতি হয় না৷ সরকারকে সবসময় সরবরাহ ঠিক রাখতে হবে৷ তাহলে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছে মতো বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না৷''

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের ডিস্টিংগুইজড ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান মনে করেন, ‘‘বাজারে দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত সমস্যা এই পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে৷ মূল্যস্ফীতির চাপে সাধারণ মানুষ পিষ্ট হচ্ছে৷ আমদানি থেকে ভোক্তা এবং উৎপাদন থেকে ভোক্তার মাঝে অনেক মধ্যস্বত্বভোগী আছে৷ তারাই বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে৷ তাদের দাপট কমাতে হবে৷ আর পণ্য ও চাহিদার সঠিক তথ্য থাকতে হবে৷ সরবরাহ লাইন, আমদানি, পণ্যের মজুত এগুলো ঠিক রাখতে হবে৷ কিন্তু সরকারের অনেকগুলো সংস্থা আছে এই কাজের জন্য৷ তারা ঠিক মতো কাজ করছে না৷''

বাজার মনিটরিংয়ে ১১ সংস্থা

পণ্যের বাজার মনিটরিং করতে সরকারের তিনটি মন্ত্রণালয় ও ১১টি সংস্থা আছে৷ সেগুলো হলো বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, ভোক্তা অধিদপ্তর, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, টিসিবি, বিএসটিআই, সিটি কর্পোরেশন, প্রতিযোগিতা কমিশন, ট্যারিফ কমিশন, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন৷

তারা রোজার সময় বা যখন দাম খুব বেড়ে যায় তখন যে যার মতো উদ্যোগ নেয়৷ কিছু কাজ করে৷ এই বিচ্ছিন্ন কাজে তেমন ফল আসে না৷ তাই সমন্বিত উদ্যোগের কথা বলেন সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সেলিম রায়হান৷ তার কথা, ‘‘বাজারে যা হচ্ছে তাতে মনে হয় সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই৷''

বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আমাদের একেক সংস্থার একেক ধরনের ম্যান্ডেট৷ আমরা বাজারে যারা পণ্যের প্রতিযোগিতা বাধাগ্রস্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিই৷ এটা একটা কোয়াসি বিচারিক প্রতিষ্ঠান৷ আমরা অভিযোগ পেলে মামলা করি৷ আবার সরাসরি নিজেরাও মামলা করি৷ গত বছর ডিম, ব্রয়লার মুরগি নিয়ে আমরা নিজেরাই মামলা করে ব্যবস্থা নিয়েছি৷''

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘এবার রোজার আগে বাজারের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে আমরা এখনো কোনো মামলা করিনি৷ তবে তিনটি মামলা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে৷ আমরা কেনো অভিযান পরিচালনা করিনি৷''

ক্যাবের সহসভাপতি এস এম নাজের হোসেন বলেন, ‘‘আইনেও নানা ধরনের সমস্যা আছে৷ নানা সংস্থার জন্য ভিন্ন ভিন্ন আইন৷ ভোক্তা অধিকারের জন্য এক আইন৷ একই সঙ্গে মজুতদারির বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইন আছে৷ আবার ভোক্তা অধিদপ্তরের কিছু পণ্যের ব্যাপারে ম্যান্ডেট নেই৷''

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘‘বাজার মনিটরিং-এর জন্য আমাদের ১৭ সদস্যের ন্যাশনাল টাস্কফোর্স আছে৷ সেখানে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধি আছেন৷ কিন্তু বড় কথা হলো বাজারকে প্রভাবিত করতে হলে সরকারকে ভোগ্যপণ্যের বাফার স্টক গড়ে তুলতে হবে৷ এটা টিসিবির কাজ৷ আমরা সেটা চেষ্টা করছি৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য