1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রোহিঙ্গাদের পক্ষে সু চি

২৮ মে ২০১৩

নোবেল শান্তি পুরস্কার পেলেও নিজের দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় তাঁর ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ৷ অং সান সু চি রোহিঙ্গাদের পক্ষে সোচ্চার নন – এ অভিযোগ অনেকদিনের৷ রোহিঙ্গাদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ প্রশ্নে অবশেষে মুখ খুলেছেন তিনি৷

https://p.dw.com/p/18fF0
Rohingya children stand in a pool of water near their relief tents at the Mansi Internally Displaced Persons (IDP) camp on the outskirts of Sittwe on May 15, 2013. Hundreds of thousands of people in Bangladesh and Myanmar were ordered to evacuate Wednesday as a cyclone bore down on coastal areas home to flood-prone refugee camps for victims of sectarian unrest. AFP PHOTO / SOE THAN WIN (Photo credit should read Soe Than WIN/AFP/Getty Images)
ছবি: Soe Than Win/AFP/Getty Images

দীর্ঘ দিন সামরিক শাসনে থাকা মিয়ানমারে তো বটেই, এমনকি সারা বিশ্বেই ‘গণতন্ত্রের মানসকন্যা' হিসেবে পরিচিত অং সান সু চি৷ দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে তাঁর সুদীর্ঘ সংগ্রামের কথা সবাই জানেন, এ কারণে নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ের খবরও অজানা নয় কারো৷ কিন্তু মিয়ানমারে যে ক'দিন পরপরই শুরু হয়ে যায় বৌদ্ধ-রোহিঙ্গা দাঙ্গা, সেই দাঙ্গায় যে গত বছরও মারা গেছে কমপক্ষে ১৯২ জন, এ নিয়ে যেন খুব একটা মাথা-ব্যথা নেই তাঁর৷ নিহতদের বেশিরভাগ মুসলিম রোহিঙ্গা বলে সু চি-র ভূমিকা আরো বেশি সমালোচিত৷ বৃহত্তর স্বার্থেই কথা-বার্তায় সংযত – সু চি এমন দাবি করলেও সমালোচনা থামেনি৷ তবে সম্প্রতি একটি বিষয়ে রোহিঙ্গাদের পক্ষে সোচ্চার হয়েছেন মিয়ানমারের প্রধান বিরোধী দলনেত্রী৷ বিষয়টি রোহিঙ্গাদের জন্ম নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত৷

Nobel laureate and Myanmar opposition leader Aung San Suu Kyi gives a lecture at Kyoto University where she studied nearly three decades ago, in Kyoto, western Japan Monday, April 15, 2013. Suu Kyi is on a weeklong visit to Japan. (AP Photo/Kyodo News) JAPAN OUT, MANDATORY CREDIT, NO LICENSING IN CHINA, HONG KONG, JAPAN, SOUTH KOREA AND FRANCE
অং সান সু চি রোহিঙ্গাদের পক্ষে সোচ্চার নন – এ অভিযোগ অনেকদিনেরছবি: picture alliance/AP Photo

রোহিঙ্গারা একটির বেশি বিয়ে করতে পারবেন না এবং কোনো দম্পতি দুটির বেশি সন্তান নিতে পারবেনা – এমন একটি আইন হয়েছিল ১৯৯৪ সালে৷ আইন কার্যকর করায় সরকার কখনো উদ্যোগী হয়নি৷ তবে সম্প্রতি মাউংড জেলা প্রশাসন এ আইন কড়াকড়িভাবে কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে৷ অং সান সু চি-র নজর কেড়েছে বিষয়টি৷ মুখপাত্র নেয়ান উইনের মাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন, রোহিঙ্গাদের সন্তান ধারনের সিদ্ধান্তকেও বাধ্যবাধকতায় নিয়ে আসা কোনোভাবেই সমর্থন যোগ্য নয়৷ সু চি মনে করেন, এ আইন মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল৷

মিয়ানমারে রোহিঙ্গারা সাংবিধানিকভাবেও বৈষম্যের শিকার৷ বৌদ্ধদের হামলায় মৃত্যুবরণ এবং ঘরছাড়া, এমনকি দেশছাড়া হওয়া অনেকদিন ধরেই ব্যাপক আলোচিত৷ এতদিন হামলা এবং হামলার কারণে দেশ ছাড়তে রোহিঙ্গাদের বাধ্য হওয়ার বিষয় নিয়েই কথা হয়েছে৷ এবার সামনে এলো জন্মনিয়ন্ত্রণের বিষয়টিও৷ ‘দু সন্তান নীতি' মিয়ানমারে থেকে যাওয়া রোহিঙ্গাদের সংখ্যাবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ এবং এ প্রক্রিয়ায় তাদের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমানোর পাঁয়তারা কিনা এ প্রশ্ন উঠতেই পারে৷

এসিবি/ডিজি (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য