রুপি ও ইয়েনের দাম রেকর্ড কমলো
১৪ জুন ২০২২সোমবার এক ডলারে ১৩৫ দশমিক ১৯ ইয়েন পাওয়া যাচ্ছিল। আর ডলারপিছু টাকার দাম ছিল ৭৮ দশমিক ২৮২৫। ইয়েন ও টাকার দাম এভাবে কিছুদিন ধরে হুড়মুড় করে পড়ে যাওয়ার কারণ হলো রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত। এর ফলে বিশ্বজুড়ে জি্নিসের দাম বেড়েছে, প্রতিটি দেশের অর্থনীতিতে এর প্রভাব পড়েছে। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অ্যামেরিকা কিছু কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। সবমিলিয়ে ইয়েন ও রুপির দাম রেকর্ড কমেছে।
কেন ইয়েনের এই অবস্থা?
গত কয়েকমাস ধরে বেশ কিছু দেশের মুদ্রার দাম কমেছে। কারণ, রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসনের পর অ্যামেরিকায় মুদ্রাস্ফীতি প্রবল আকার নিয়েছে। মুদ্রাস্ফীতি কম করার জন্য বেশ কিছু কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন। তার প্রভাব পড়ছে অন্য দেশের মুদ্রার উপর।
তবে ব্যাংক অফ জাপান তাদের চিরাচরিত রীতি মেনে মনিটরি ইসিং প্রোগ্রামের উপরই ভরসা রেখেছে। তারা মনে করছে, এর ফলে আর্থিক বৃদ্ধির হার ধরে রাখা সম্ভব হবে। জাপানের অর্থনীতিবিদ তাকাহিদে কিনৌছি বলেছেন, ইয়েনের দাম কমে যাওয়ায় জাপান ও অ্যামেরিকার মধ্যে দীর্ঘমেয়াদী সুদের হারে ফারাক পড়বে।
ভারতের ক্ষেত্রে
ভারতের ক্ষেত্রে রিজার্ভ ব্যাংক ইতিমধ্যে রেপো রেট ৫০ বেসিক পয়েন্ট বাড়িয়েছে। এর ফলে সুদের হার বাড়বে। কিন্তু ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে বেশি টাকা দিতে হবে।
রিজার্ভ ব্যাংক বিদেশি মুদ্রা বিক্রি করেও টাকার দাম স্থিতাবস্থায় আনার চেষ্টা করেছে।
কিন্তু ভারতেও মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছে, জিনিসের দাম লাফিয়ে বেড়েছে। এপ্রিলে মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ ছিল সাত দশমিক ৭৯ শতাংশ, যা আট বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। সরকার চিনি রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে। পেট্রোল-ডিজেলের দাম অনেকখানি বাড়িয়ে তারপর কিছুটা কমানো হয়েছে।
ইউরোও কমছে
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ইউরো, সুইস ফ্রাঁ ও পাউন্ডের দামও কমছে। এক ইউরো মানে এখন এক দশমিক শূন্য পাঁচ ডলার। এক পাউন্ডে পাওয়া যাবে এক দশমিক ২২ ডলার।
কালো সোমবার
সোমবার এশিয়ার অধিকাংশ স্টক এক্সচেঞ্জে শেয়ারের দাম পড়েছে। হংকং, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া সর্বত্র। সিনিয়ার মার্কেট অ্যানালিস্ট জেফরি হ্যালি বলেছেন, এশিয়ার ক্ষেত্রে প্রকৃত অর্থেই কালো সোমবার ছিল।
জিএইচ/এসজি (এএফপি, রয়টার্স)