1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
খেলাধুলাপাকিস্তান

২৪ বছর পর পাকিস্তানের দেয়াল ভাঙলো প্রোটিয়ারা

রাহেনুর ইসলাম
২৭ অক্টোবর ২০২৩

চেন্নাইয়ে পাকিস্তানকে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ১ উইকেটে হারালো সাউথ আফ্রিকা।

https://p.dw.com/p/4Y6ju
Indien | ICC Cricket World Cup 2023 | Pakistan - Südafrika
৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন সাউথ আফ্রিকার তাবরাইজ শামসি (বাঁয়ে)৷ছবি: Samuel Rajkumar/REUTERS

তাবরাইজ শামসি ৪ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানকে আটকে রাখেন ২৭০ রানে। জবাবে এইডেন মারক্রামের ৯১ রানে ১৬ বল হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় প্রোটিয়ারা।

সাউথ আফ্রিকাকে চমকে দিতেই প্রথম ওভারে আনা হয়েছিল ইফতিখার আহমেদকে। পাকিস্তানের এই স্পিনার প্রথম বলটাই করলেন লেগ স্টাম্পের অনেক বাইরে। এতটাই বাইরে যে নাগাল পেলেন না উইকেটরক্ষকও। স্কোর বোর্ডে যোগ হয়ে গেল ৫ রান।

ম্যাচের গতিপথ বদলে দিতে পাকিস্তানের ভরসা শাহীন শাহ আফ্রিদি। অথচ তার প্রথম চার বলে টানা চার বাউন্ডারি মারলেন কুইন্টন ডি কক (একটা ওয়াইডও ছিল)। এমন ছন্নছাড়া বোলিংয়ের পাশাপাশি ফিল্ডিংটাও হচ্ছিল যাচ্ছেতাই। মোহাম্মদ নওয়াজের শরীরে বল মেরে বসেন এক ফিল্ডার! মিস হয়েছে রান আউটের সুযোগও।

 তারপরও দলটা তো পাকিস্তান। তারা খেলেই এভাবে। শুরুতে অকাতরে রান বিলানো দল ম্যাচে ফিরেছিল ভালোভাবেই। কিন্তু রোমাঞ্চকর ম্যাচটা ১ রানে হেরে যায় তারা।

 পাকিস্তানের দুর্ভাগ্যের রাতে ১ উইকেটের রুদ্ধশ্বাস জয় সাউথ আফ্রিকার। ২৭০ রানের লক্ষ্যটা ফর্মের তুঙ্গে থাকা দলটি পেরিয়ে যায়  ১৬ বল হাতে রেখে।

পাকিস্তানের পুঁজি অল্প হলেও ম্যাচটা হয়েছে রোমাঞ্চকর। দুর্দান্ত বোলিংয়ে ম্যাচ জয়ের আশা ভালোভাবেই জাগিয়েছিল পাকিস্তান। চাপের মুখে বারবার ভেঙে পড়া সাউথ আফ্রিকাও  লাগাম হারায় হাতের মুঠোয় থাকা ম্যাচের। আম্পায়ার্স কলে শেষ ব্যাটসম্যান তাবরাইজ শামসি জীবন না পেলে জিততেও পারতো পাকিস্তান। অনেক একতরফা ম্যাচের বিশ্বকাপে প্রথম ভীষণ উত্তেজনার ম্যাচে শেষ হাসিটা তাই দক্ষিণ আফ্রিকার। ৪৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলে মোহাম্মদ নওয়াজকে বাউন্ডারি মেরে স্নায়ুক্ষয়ী জয় এনে দেন কেশব মহারাজ।

ওয়ানডে বিশ্বকাপে এর আগে ৫বারের দেখায় সাউথ আফ্রিকা ৩ আর পাকিস্তান জিতেছিল ২ ম্যাচ। তবে ১৯৯৯ সালের পর কোনো ফরম্যাটের বিশ্বকাপেই পাকিস্তানকে হারাতে পারেনি প্রোটিয়ারা। গত ২৪ বছরে তারা ওয়ানডে বিশ্বকাপে দুইবার আর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের কাছে হেরেছে চারবার! ২৪ বছরের আক্ষেপটা দূর হলো আজ চেন্নাইয়ে।

 এবারের বিশ্বকাপে সাউথ আফ্রিকা ১০২ রানে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কাকে, ১৩৪ রানে অস্ট্রেলিয়াকে, ২২৯ রানে ইংল্যান্ডকে আর ১৪৯ রানে বাংলাদেশকে। তবে নেদারল্যান্ডসের কাছে হেরেছিল ২৪৫ রান তাড়া করতে যেয়ে। আজ পাকিস্তানের বিপক্ষে রান তাড়া করতে নেমে  আবারও শঙ্কা জেগেছিল হারের। তবে স্নায়ুর চাপটা শেষ পর্যন্ত ধরে রেখে জয় পায় তারা।

আজকের জয়ে ৬ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে সেমিফাইনালে একটা পা দিয়ে রাখলো টেম্বা বাভুমার দল। তারা এখন পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে। আর ফেভারিট হয়ে বিশ্বকাপে আসা পাকিস্তানের সেমিফাইনালের পথ কঠিন হলো অনেকটা। শেষ চারের জন্য বাবর আজমদের শুধু বাকি তিন ম্যাচ জিতলেই হবে না, পক্ষে আসতে হবে অন্যদের ফলও।

পাকিস্তানের টিভি চ্যানেল এ স্পোর্টসে ম্যাচের বিরতিতে ওয়াসিম আকরাম বলেছিলেন,‘‘জিততে হলে শুরুতেই উইকেট নিতে হবে পাকিস্তানকে। তাহলেই চোক করবে সাউথ আফ্রিকা।’’ চতুর্থ ওভারে বিস্ফোরক ছন্দে থাকা ওপেনার কুইন্টন ডি কককে ফিরিয়েছিলেন শাহীন শাহ আফ্রিদি। শর্ট বল পুল করতে গিয়ে ডিপ স্কয়ারে মোহাম্মদ ওয়াসিমকে ক্যাচ দেন ১৪ বলে ২৪ করা ডি কক।  অপর ওপেনার টেম্বা বাভুমাও ২৮ করে ফেরেন মোহাম্মদ ওয়াসিমের শর্ট বলে পুল করতে যেয়ে। তৃতীয় উইকেটে  ভেন ডার ডুসেন ও এইডেন মারক্রামের ৫৪ রানের জুটিতে কাটে  দুই ওপেনার হারানোর চাপটা।

 ২১ রান করা ডুসেনকে এলবিডাব্লিউ করে জুটিটা ভাঙেন উসামা মির। শুরুর একাদশে তিনি ছিলেন না। তবে বিশ্বকাপ ইতিহাসে প্রথম কনকাশন সাব হিসাবে বোলিং করেন উসামা। ফিল্ডিংয়ের সময় মাথায় আঘাত পেয়ে শাদাব খান মাঠ ছাড়ায় তার জায়গায় একাদশে এসেছিলেন তিনি। দারুণ ছন্দে থাকা হেনরিখ ক্লাসেনের (১২ রান) ক্যাচও বাউন্ডারি লাইনে নিয়েছিলেন এই সুপার সাব ।

১৩৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। তারা ‘চোক’ করতে পারত সেখান থেকে। তখনই শক্ত হাতে হালটা ধরেন এইডেন মারক্রাম ও ডেভিড মিলার। পঞ্চম উইকেটে  দুজন গড়েন ৭০ রানের জুটি। এই বিশ্বকাপেই ৪৯ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন মারক্রাম। আজ এমন বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের দরকার ছিল না। কঠিন সময়ে জয়ের জন্য শুধু থাকতে হত উইকেটে। মারক্রাম  করেছেন সেটাই। মিলারেরও চেষ্টা ছিল ম্যাচ শেষ করে আসার। কিন্তু শাহিন শাহ আফ্রিদির অসাধারণ বলে ২৯ রানে উইকেটের পেছনে মোহাম্মদ রিজওয়ানকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। মার্কো ইয়েনসেন ১৪ বলে ২০ করে হারিস রউফের বলে ক্যাচ দেন বাবর আজমকে।

ম্যাচে তখন ফিরে এসেছিল পাকিস্তান। তবে একটা প্রান্ত আগলে মারক্রাম ধীরে ধীরে ম্যাচের নিয়ন্ত্রন এনে দিচ্ছিলেন প্রোটিয়াদের। সেঞ্চুরির সুবাস জাগানো ক্লান্ত মারক্রামকে ৯১ রানে ফিরিয়ে ম্যাচেও উত্তেজনা আনেন উসামা মির। বেকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে ছক্কা মারতে যেয়ে বাবরের তালুবন্দী তিনি। শেষ হয় ৯৩ বলে ৭ বাউন্ডারির ৩ ছক্কায় সাজানো ৯১ রানের ইনিংস। কাজে লাগে বাবরের সঠিক সময়ে বোলিং পরিবর্তনটাও।

 প্রোটিয়াদের ‘চোক’ করার শঙ্কাটা জাগে ভালোভাবে। পরের ওভারেই জেরাল্ড কোয়েৎজেকে আউট করে ম্যাচ জমিয়ে দেন আফ্রিদি। জয়ের জন্য তখনও দরকার ২১ রান। কেশব মহারাজ ও লুঙ্গি এনগিডির জন্য যা ছিল। কঠিন চ্যালেঞ্জ। চাপে বারবার ভেঙে পড়া দলটিকে ভালোভাবে চেপে ধরে পাকিস্তান। ৪৬তম ওভারে হারিস রউফ আউট করেন এনগিডিকে। নিজের বলে নিজেই একহাতে অসাধারন ক্যাচ নেন রউফ। জয়ের জন্য তখন পাকিস্তানের দরকার ১ উইকেট আর সাউথ আফ্রিকার ৯ রান। সেই ওভারেই তাবরাইজ শামসি এলবিডাব্লিউ থেকে বাঁচেন আম্পায়ার্স কলের সুবাদে। অথচ আম্পায়ার আউট দিলে রিভিউয়ে এটা আউট পেত পাকিস্তান। আইনটা নিয়ে তাই নতুন বিতর্ক চালু হবে নিশ্চিত। ৪৮তম ওভারে কেশব মহারাজের বাউন্ডারিতে শেষ হাসিটা হাসে প্রোটিয়ারা।

এর আগে ব্যাট করা পাকিস্তান নিজেদের ঘরানার ক্রিকেট খেলতে পারেনি। শুরুতে উইকেট হাতে রেখে শেষ দিকে চড়াও হওয়ার বদলে আজ প্রথম থেকে আক্রমণাত্মক ছিল তারা। বেশির ভাগ উইকেটও হারিয়েছে বাজে শটের মাশুল গুণে।

 আক্রমণাত্মক শরীরী ভাষার জন্য মার্কো ইয়েনসেনের সঙ্গে কথার লড়াইয়েও জড়িয়েছিলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। সপ্তম ওভারের তৃতীয় বলে ওপেনার ইমাম উল হককে ফিরিয়েছিলেন ইয়েনসেন। চতুর্থ বলে আউট হতে পারতেন রিজওয়ানও। তার অসাধারণ স্লোয়ারে ক্যাচ তুলে দিলেও সেটা তালুবন্দি করতে পারেননি ৬ ফুট ৮ ইঞ্চির এই পেসার। পরের বলটাই থার্ডম্যান দিয়ে বাউন্ডারিতে পাঠান রিজওয়ান। তার মনযোগ নষ্ট করতেই কিছু একটা বলেন ইয়েনসেন। রিজওয়ান উত্তরটা দেন এগিয়ে এসে। দুই ক্রিকেটারের মাঝে দাঁড়িয়ে মধ্যস্থতা করেন দুই আম্পায়ার। পরের বলে ইয়েনসেন আবারও বলেন কিছু একটা, তবে এবার হাত বুকে রেখে লড়াইয়ের ইতি টানেন রিজওয়ান।

ICC Cricket World Cup 2023 | Pakistan vs. Südafrika
৯৩ বলে ৯১ রান সংগ্রহ করে দলকে জয়ের পথে নেতৃত্ব দেন এইডেন মারকারাম৷ ছবি: Samuel Rajkumar/REUTERS

সাউথ আফ্রিকা শুরুতে ব্যাট করে সর্বশেষ ৭ ওয়ানডেই জিতেছে ১০০ রানের বেশি ব্যবধানে। তাই হয়ত সাকিব আল হাসান মজা করে সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন,‘দোয়া করবেন যেন টসটা জিতি’। কিন্তু টস হারায় শুরুতে ব্যাট করে প্রোটিয়ারা গড়েছিল ৩৮২ রানের পাহাড়। শুধু বাংলাদেশ নয়, এবারের বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪২৮ আর ইংল্যান্ডের সঙ্গে ৩৯৯ রানের বড় স্কোর গড়েছিল তারা। এক বিশ্বকাপে কোন দলের তিনটি ৩৮০ ছড়ানো ইনিংস এবারই প্রথম।

সেই দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে জয়ের জন্য  আজ চেন্নাইয়ে টস জিতে আগে ব্যাট নিতে দ্বিতীয়বার ভাবেননি বাবর আজম। চোটের জন্য কাগিসো রাবাদার ছিটকে যাওয়াটা স্বস্তির ছিল পাকিস্তানের। তার জায়গায় খেলেছেন তাবরাইাজ শামসি। ৪ উইকেট নিয়ে এই রিস্ট স্পিনারই সেরা বোলার প্রোটিয়াদের।  অধিনায়ক টেম্বা বুভুমা ফেরায় একাদশে জায়গা হারান রিজা হেনড্রিকস। আর লিজার্ড উইলিয়ামসের পরিবর্তে সুযোগ পান লুঙ্গি এনগিডি। পাকিস্তানের একাদশে পরিবর্তন দুটি।  হাসান আলী ও উসামা মিরের জায়গায় খেলেন মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র আর মোহাম্মদ নওয়াজ। 

আগের দিন শাদাব খান বলেছিলেন, সেমিফাইনালে যেতে ম্যাচটা তাদের জন্য বাঁচা মরার। বিশ্বকাপে টিকে থাকতে দরকার অলৌকিকতার। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ওপেনার আব্দুল্লা শফিক ফেরেন ৯ রানে। মার্কো ইয়েনসেনের শর্ট বল পুল করতে যেয়ে বেকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে এনগিডির তালুবন্দী তিনি। ১৮ বলে ১২ করা ওপর ওপেনার ইমাম উল হককেও গালিতে হেনরিখ ক্লাসেনের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান ইয়েনসেন। এবারের বিশ্বকাপে ৬ ইনিংসেই পেসারদের বলে আউট হলেন ইমাম। পেসারদের ১২২ বলে ১০৫ রান করেছেন এই ওপেনার।

মোহাম্মদ রিজওয়ান খেলতে নেমেছিলেন ওয়ানডেতে এক হাজার ৯৯৫ রান নিয়ে। আজ ৬৫তম ইনিংসে পা রাখেন দুই হাজার রানের মাইলফলকে। ৪ বাউন্ডারি ১ ছক্কায় ২৭ বলে ৩১ রানেই থামেন তিনি। জেরাল্ড কোয়েতজের শর্ট বল হেলমেট উচ্চতায় এলেও তুলে মারতে যেয়ে উইকেটের পেছনে কুইন্টন ডি ককরে তালুবন্দী তিনি।

বাবর আজমের ওপর ছিল অনন্ত চাপ । আফগানদের সঙ্গে হারের পরই ওয়াসিম আকরামের সমালোচনা,‘দেখে মনে হয় তারা প্রতিদিন আট কেজি খাসির মাংস খায়।’ ওয়াকার ইউনিস পাকিস্তানের ক্রিকেটকে বলেছেন ‘আবর্জনা’। পিসিবি বিবৃতি দিয়ে জানায়,‘এই দলটা নির্বাচন করা হয়েছে অধিনায়ক বাবর আজম আর প্রধান নির্বাচক ইনজামাম উল হকের পছন্দে।’

দেশে ফিরে বাবরের নেতৃত্ব হারানো নিশ্চিত বলেও গুঞ্জন পাকিস্তানি মিডিয়ায়। এই চাপটাই হয়ত নিতে পারেননি বাবর। ৬৪ বলে ৫০ করার পর ইনিংসটা বড় করার দায়িত্ব ছিল তার। কিন্তু  ফাইন লেগে একজন ফিল্ডার থাকার পরও তাবরাইজ শামসির বলে সুইপ করতে যেয়ে ক্যাচ দেন ডি কককে । শামসি অবশ্য রিভিউ নিতে চাননি শরুতে। ডি কক কিছু একটার শব্দ পেয়ে রাজি করার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমাকে। একেবারে শেষ সেকেন্ডে রিভিউ নেন তিনি। দেখা যায় বল ডি ককের তালুবন্দী হওয়ার আগে ছুঁয়ে গেছে বাবরের গ্লাভস। শেষ হয় ৬৫ বলে ৪ বাউন্ডারি ১ ছক্কায় ৫০ রানের ইনিংসটি। বাবরের আগে ২১ করে ফিরেছলেন ইফতিখার আহমেদ।

১৪১ রানে ৫ উইকেট হারিয়েও পাকিস্তান দিকভ্রান্ত হয়নি সউদ শাকিল ও শাদাব খানের দৃঢ়তায়। ষষ্ঠ উইকেটে দুজন গড়েন ৮৪ রানের জুটি। ভালো শুরু করে দুজনই অবশ্য বড় করতে পারেননি ইনিংসটা। শাদাব ৩৬ বলে ৪৩ আর শাকিল ফেরেন ৫২ বলে ৫২ করে।

৪০ ওভার শেষে পাকিস্তানের স্কোর ছিল ৬ উইকেটে ২২৫ রান। শেষ ১০ ওভারে সুযোগ ছিল বড় ইনিংস গড়ার। কিন্তু তারা অলআউট ২০ বল বাকি থাকতে।

তাবরাইজ শামসি এবারের বিশ্বকাপে খেলেছিলেন একটাই ম্যাচ। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নেন ৩৮ রানে ২ উইকেট। চেন্নাইয়ের ধীরগতির টার্নিং উইকেটে ৪ উইকেট নিয়ে তিনিই ধরা ছোঁয়ার বাইরে যেতে দেননি পাকিস্তানের স্কোরটা। বাম হাতি এই রিস্ট স্পিনার নেন বাবর আজম, ইফতিখার আহমেদ, সউদ শাকিল ও শাহিন শাহ আফ্রিদির উইকেট। তার ঘূর্ণি জাদুতেই আসলে পথ হারায় পাকিস্তান। সে সঙ্গে হয়ত পথ হারাল সেমিফাইনালের। 

সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান ৪৬.৪ ওভারে ২৭০/১০ (শাকিল ৫২,বাবর ৫০, শাদাব ৪৩ ; শামসি ৪/৬০, ইয়েনসেন ৩/৪৩)।

সাউথ আফ্রিকা :  ওভারে / (মারক্রাম ৯১, মিলার ২৯, বাভুমা ২৮ ; আফ্রিদি ৩/৪৫, রউফ ২/৬২)।

ফল : সাউথ আফ্রিকা ১ উইকেটে জয়ী।

ম্যাচ সেরা : তাবরাইজ শামসি।

রাহেনুর ইসলাম সাংবাদিক
স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান