রিপাবলিকান শিবিরে ঝলসে উঠল বাংলাদেশী ব্রিজিত
৪ সেপ্টেম্বর ২০০৮ঢাকার এক এতিমখানার নাম পরিচয়হীন গুরুতর অসুস্থ শিশুটিই এখন যুক্তরাষ্ট্রে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র৷
নানা নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে শেষ হলো মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বাছাই আর তাদের রানিং মেট ঘোষণার পালা৷ তবে ডেমোক্র্যাটদের হিলারি-ওবামা ঝড়ের পর এবার নতুন ঝড় বইছে রিপাবলিকান শিবিরে৷ অবিবাহিতা গভর্বতী কন্যার মা আলাস্কার গভর্নর সারাহ প্যালিনকে রানিং মেট হিসেবে বেছে নেয়ার পর বেশ বেকায়দায়ই পড়েছেন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জন ম্যাককেইন৷ তাই নজরটা অন্যদিকে ঘুরাতেই হয়তো নিজের দত্তক মেয়ে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ব্রিজিতকে নিয়ে নতুন ক্যাম্পেইনে নেমেছেন অ্যারিজোনার সিনেটর৷
সব নির্বাচনী সমাবেশেই ম্যাককেইন দম্পতির সঙ্গে থাকে সপ্তদশী ব্রিজিত৷ মিনেসোটায় রিপাবলিকান ন্যাশনাল কনভেনশনেও ম্যাককেইন পত্নী সিন্ডির পাশে ছিলো সে৷ তবে এবার হঠাত্ করেই ফোকাসটা পড়লো ব্রিজিতের উপর৷ কনভেনশনে রাজনৈতিক হিসেব নিকেশের এক ফাঁকে নতুন করে তাকে পরিচয় করিয়ে দিলেন ম্যাককেইনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী সিনেটর ওয়েস গুলেট৷ সেই সাথে বর্ণনা করলেন ম্যাককেইন দম্পতির মহানুভবতা; বিশ্বব্যাপী দরিদ্র আর পীড়িতদের জন্য সিন্ডির কাজ করে যাওয়ার কথা৷ সবাইকে আবারো শোনালেন ১৭ বছর আগে ঢাকার এতিমখানা থেকে মৃতপ্রায় দুই শিশু ব্রিজিত আর নিক্কিকে কোলে তুলে নেয়ার কাহিনী৷ জানালেন, নিউ মেক্সিকো বিমানবন্দরে সেদিন সিন্ডির কোলে বাংলাদেশী শিশু ব্রিজিতকে দেখে ম্যাককেইনের আবেগাপ্লুত হওয়ার কথাও৷
আজ যে ব্রিজিতকে নিয়ে রিপাবলিকানদের এত উত্সাহ একদিন সেই ব্রিজিতের জন্যই খুব কঠিন সময় পার করেছেন ম্যাককেইন৷ ২০০০ সালে রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থিতা নিয়ে মনোনয়নের লড়াইয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী জর্জ ডব্লিউ বুশ-এর সমর্থকদের শিবির থেকেই গুজব ছড়ানো হয়েছিল যে, ম্যাককেইনের অবৈধ সন্তান নাকি কৃষ্ণ বর্ণের এই মেয়েটি৷
এখন রিপাবলিকানদের নতুন প্রচার কৌশলে এসেছে ব্রিজিত৷ তারা বলছেন, ব্রিজিতকে দিয়েই প্রমাণ হয় ম্যাককেইন আর সিন্ডির আশ্রয় কতটা নিরাপদ৷ আর এই দম্পতি হোয়াইট হাউজে থাকলে মার্কিনীরা কি আরো বেশি নিশ্চিন্ত হবে না?
তবে রিপাবলিকানদের এই কৌশল রানিংমেট সারা পলিনকে নিয়ে ম্যাককেইনের অস্বস্তি কতোটা কাটাতে পারবে তাই এখন দেখার বিষয়৷