1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
ব্যবসা-বাণিজ্যবাংলাদেশ

রিজার্ভে হাত না দিয়ে পরিশোধ করার বিষয়টি আমি ভালো বুঝি না: ড. আবুল বারাকাত

৪ নভেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, বাংলাদেশ পৌনে দুইশ কোটি ডলারের বিদেশি ঋণ শোধ করেছে রিজার্ভে হাত না দিয়ে৷ বিভিন্ন প্রকল্পের ঋণ ও সুদ বাবদ প্রায় সোয়া একশ কোটি ডলার শোধ করেছে৷ কীভাবে তা সম্ভব হয়েছে?

https://p.dw.com/p/4mZHY

গত অর্থবছরে বাংলাদেশের রিজার্ভ পরিস্থিতি ব্যাপক চাপের মুখে পড়ে৷ এক পর্যায়ে তা ২০ বিলিয়ন বা দুই হাজার কোটি ডলারে নেমে আসে৷ রিজার্ভের পতন ঠেকাতে গিয়ে বিভিন্ন সংস্থার ঋণ ও বকেয়া পরিশোধ বন্ধ করে দেয় বিগত সরকার৷ এরমধ্যে বিভিন্ন সংস্থা তাদের বকেয়া পরিশোধের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে চাপ দিতে শুরু করে৷ তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, দায়িত্ব নেয়ার পর গত দুই মাসে প্রায় ২০০ কোটি ডলারের বিদেশি ঋণ ও দেনা শোধের ব্যবস্থা করেছেন তারা৷ আর এটি করা হয়েছে রিজার্ভ থেকে ডলার খরচ না করে৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, ‘‘রিজার্ভে হাত না দিয়ে আমরা ঋণ ও ঋণের সুদ পরিশোধ করেছি৷’’ গভর্নর জানান, পরিশোধকৃত ঋণের বেশিরভাগই বিদ্যুৎ খাতের৷ এছাড়া কৃষিসহ অন্যান্য খাতের দেনাও রয়েছে৷

তবে রিজার্ভে হাত না দিয়ে ঋণ শোধ কীভাবে করা হয়েছে তা পরিষ্কার নয় অধ্যাপক ড. আবুল বারাকাতের কাছে৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, ‘‘রিজার্ভে হাত না দিয়ে পরিশোধ করার বিষয়টি আমি ভালো বুঝি না দুইটি কারণে৷ কারণ হচ্ছে, আমার কাছে কি রিজার্ভের বাইরে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আছে? ঋণ তো টাকায় পরিশোধ করা হয় না৷ এটা তো ডলারেই পরিশোধ করতে হয়৷ সেই ডলারটা কোথা থেকে আসছে? আপনার রিজার্ভ বেড়ে এমন একটা অবস্থায় গেছে, যদি তাই হয়, তাহলেও তো সেটাও রিজার্ভ। রিজার্ভে হাত না দিয়েঋণ পরিশোধ করলাম- এর অর্থ এই যে, আমি প্রচুর রপ্তানি করলাম বা প্রচুর প্রবাসী আয় এসেছে৷ কিন্তু রিজার্ভের উৎসও তো এগুলোই৷ এটা একটু দুর্বোধ্য মনে হয় আমার কাছে।”

বিদেশি দেনা শোধে আপাতত স্বস্তির আভাস মিললেও বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে এখনও নানা ধরনের বাধা রয়েছে৷ অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. আবুল বারাকাত বলেন, ‘‘আমরা সাধারণত জানি অর্থনীতির প্রধান তিনটি খাত কৃষি, শিল্প এবং সেবা খাত৷ এর মধ্যে তো বহু শিল্প কারখানা বন্ধ হয়েছে সেটা তো বলাই হচ্ছে, সরকারি তথ্যও সেটা বলছে৷ সেবা খাতের অবস্থাও তো খুব একটা উন্নতি হয়নি৷ জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার তো সেই সাত শতাংশের জায়গায় নেই৷ এখন তিন থেকে সাড়ে চার পর্যন্ত৷ এইটা ঠিক যে, জিডিপি কমে যাচ্ছে। সত্যিকার অর্থেই সেটা থাকার কথাও না৷ বিশেষ করে শিল্প কারখানা বন্ধ হওয়ার কারণে৷ আগের তুলনায় আমদানি ব্যয়বহুল হয়ে গেছে৷ এটার প্রভাব পড়ছে অনেক কিছুর উপর৷ অতীতকালেও যেভাবে বলা হতো বাড়ছে, সবই ভালো এখনও সেই প্রবণতাটা রয়েই গেছে৷ বাস্তব সত্যটা একটু লুকানোর চেষ্টা করা৷ এটা না করলেও হয়৷ এটা করার দরকার প্রয়োজন পড়ে না, দরকার নেই৷”