রাষ্ট্রের আবার ধর্ম কিসের? ধর্ম তো মানুষের জন্য
২৩ মার্চ ২০১৬বাংলাদেশের সংবিধানের মূলনীতির অন্যতম ছিল ধর্মনিরপেক্ষতা৷ কিন্তু ১৯৮৮ সালে এরশাদের শাসনামলে সংবিধানের চরিত্র পাল্টে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম করা হয়৷ এ ব্যাপারে মোহাম্মদ অনুপম রহমান মনে করেন, আধুনিক বিশ্বে এই সব বিতর্ক বাদ দিয়ে সংবিধান অনুসরণ করা উচিত৷ তাঁর প্রশ্ন রাষ্ট্রের ধর্ম আবার কী?
ইকবাল হোসেন মনে করেন, বাংলাদেশে রাষ্ট্রধর্মের প্রয়োজন নেই৷ কিন্তু বাংলাদেশে জঙ্গি হামলা হোক সেটা তিনিও চান না৷ আর সে কারণেই এই মুহূর্তে তিনি এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা না করার অনুরোধ করছেন মিডিয়াকে৷
তবে শাকিরা উম্মে শাদে বলছেন, ‘‘রাষ্টধর্ম ইসলাম আছে, থাকবে৷ অযথা বিতর্ক করে দেশে অশান্তি সৃষ্টি যারা করছে, তারা দেশ ও ইসলামের শত্রু৷'' মসুর আহমেদও বাংলাদেশকে ইসলামি রাষ্ট্র হিসেবেই দেখতে চান৷
‘‘৯০ শতাংশ মুসলিম যেখানে বাস করে সেখানে অবশ্যই রাষ্ট্রের পরিচয় ইসলাম হবে, এবং সেই রাষ্ট্রের প্রাধানের অনান্য ধর্মের মানুষদের জান-মালের নিরাপত্তা দেওয়া হবে নৈতিক দায়িত্ব৷'' বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের পক্ষে এই যুক্তি দিয়েছেন ডয়চে ভেলের ফেসবুক বন্ধু শামসুল হক৷
অন্যদিকে সম্পূর্ণ ভিন্ন যুক্তি শরিফুল আলমের৷ তাঁর প্রশ্ন ‘‘রাষ্টভাষা থাকলে রাষ্টধর্ম কেন নয়?''
‘‘রাষ্ট্রের আবার ধর্ম কিসের? ধর্ম তো মানুষের জন্য৷'' রাষ্ট্রধর্ম সম্পর্কে এই ব্যাখ্যা পাঠক ইমনের৷
‘‘ইসলামের ছায়াতলে সকল ধর্মের মানুষ বাস করতে পারে৷ ইসলাম শান্তির ধর্ম৷'' এই মন্তব্য জহুরুল ইসলামের৷
পাঠক নিরব, শেখ ইয়ামিন এবং সোহেল অবশ্য রাষ্ট্রধর্ম থাকার পক্ষেই মত দিয়েছেন৷ পাঠক রূপকও বাংলাদেশকে ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবেই পেতে চান৷
তবে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি ডয়চে ভেলের ফেসবুক বন্ধু বিপ্লবের একদমই পছন্দ নয়৷ তিনি মনে করেন, ‘‘কোনো ধর্ম না থাকলে, দক্ষিণ এশিয়ার মানুষ শান্তিতে থাকতো৷''
আরিফুল ইসলাম আবার কিছুটা দুঃখ করে বলছেন, ‘‘মানুষ বোঝে না, ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়৷'' রুবেল ভুইয়াও আরিফুল ইসলামের সাথে একমত৷
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ