রাশিয়ায় আটক ইউক্রেনীয়রা: অ্যামেরিকা
১০ মে ২০২২ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির দাবি স্বীকার করে নিল অ্যামেরিকা। সোমবার পেন্টাগনের মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বিপুল পরিমাণ ইউক্রেনীয়কে রাশিয়ায় জোর করে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাদের সেখানে আটকে রাখা হয়েছে। অ্যামেরিকা রাশিয়ার এই কাজের নিন্দা করেছে।
জেলেনস্কি একাধিকবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছেন। তার দাবি, এপ্রিলে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ইউক্রেনীয়কে রাশিয়ায় জোর করে পাঠানো হয়েছে। পূর্ব ইউক্রেনের শহরগুলিতে প্রতিরোধ গড়ে তুলে এ কাজ করা হয়েছে। নাগরিকরা পালানোর সময় রাশিয়ার দিকে তাদের সেফ প্যাসেজ তৈরি করা হয়েছে, যাতে তারা সেদিকে যেতে বাধ্য হন।
জেলেনস্কির দাবি, এখনো পর্যন্ত ১২ লাখেরও বেশি ইউক্রেনীয়কে রাশিয়ায় পাঠানো হয়েছে। তাদের ক্যাম্পে রাখা হয়েছে। এখনো পর্যন্ত সেই ক্যাম্পের চেহারা অবশ্য কেউ দেখেননি।
বাইডেনের মন্তব্য
সোমবার এক রাজনৈতিক ফান্ড রাইসারের সঙ্গে আলোচনার সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, ''রাশিয়া যুদ্ধ থেকে পিছিয়ে আসার পথ খুঁজে পাচ্ছে না।'' তার মন্তব্য, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন ভেবেছিলেন, ইউক্রেনে আক্রমণ চালিয়ে ন্যাটো এবং ইইউ-কে ভেঙে দেওয়া যাবে। তিনি ভাবতে পারেননি, সকলে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়াবে।
ঐতিহাসিক বিল
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ের মার্কিন বিল ফিরিয়ে আনলেন জো বাইডেন। সোমার তিনি লেন্ড-লিজ বিলে সই করেছেন। ইউক্রেনকে দ্রুত সাহায্য করার জন্য এই বিল। এর ফলে ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য পাঠানোর জন্য পার্লামেন্টের সবুজ সংকেতের জন্য অপেক্ষা করে বসে থাকতে হবে না।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাজি জার্মানির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য এই বিলে সই করা হয়েছিল। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট একে ঐতিহাসিক ঘটনা বলে উল্লেখ করেছেন।
ওদেসার শপিং সেন্টারে মিসাইল
ইউক্রেন সেনার দাবি, ওদেসার একটি শপিং সেন্টারে রাশিয়া পর পর সাতটি মিসাইল ছুঁড়েছে। ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন, আহত পাঁচ। ওই শপিং সেন্টারে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস রাখা ছিল বলে অভিযোগ।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এফপি, ডিপিএ)