1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ট্রাম্প-রাশিয়া বিতর্ক

১৬ মে ২০১৭

ওয়াশিংটন পোস্টের সূত্র অনুযায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও রুশ রাষ্ট্রদূতের হাতে অতি গোপন রাষ্ট্রীয় তথ্য তুলে দিয়েছেন৷ হোয়াইট হাউস এই অভিযোগ অস্বীকার করলেও চরম বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/2d1ek
ট্রাম্প লাভরভ
ছবি: picture alliance/dpa/A. Shcherbak

এমন গোপন নথিপত্র, যা শুধু প্রশাসনের মধ্যে হাতে গোনা কিছু মানুষকে দেখানো হয়েছিল৷ ঘনিষ্ঠ সহযোগী দেশগুলিকেও সেই নথিপত্র দেখানো হয়নি৷ অথচ হোয়াইট হাউসের মধ্যে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ও ওয়াশিংটনে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত সের্গেই কিসলিয়াকের হাতে সেই ‘টপ সিক্রেট' তথ্য তুলে দিলেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প! এমন মারাত্মক অভিযোগ ওঠায় রাশিয়াকে ঘিরে আবার বিপাকে পড়েছে ট্রাম্প প্রশাসন৷

ওয়াশিংটন পোস্ট সংবাদপত্রের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, তথাকথিত ইসলামিক স্টেট বা আইএস-এর বিরুদ্ধে অভিযান সংক্রান্ত অতি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ছিল সেই সব নথিপত্রে৷ সেসব তথ্য হাতে পেলে তার উৎস খুঁজতেও বেশি বেগ পেতে হবে না বলেও অভিযোগ উঠেছে৷ সেই তথ্য অনুযায়ী, আইএস ল্যাপটপ কম্পিউটার কাজে লাগিয়ে বিমানে হামলা চালানোর ষড়যন্ত্র করছে৷ ট্রাম্প নাকি অত্যন্ত স্বতঃস্ফূর্তভাবে আচমকা সেই তথ্য রাশিয়ার প্রতিনিধিদের সামনে তুলে ধরেন৷ তিনি বিদেশি প্রতিনিধিদের সামনে গর্ব করে বলছিলেন, প্রতিদিন তিনি কত গোপন তথ্য হাতে পান৷

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, এই ঘটনার পর সেই ব্যক্তি সঙ্গে সঙ্গে সিআইএ ও এনএসএ-কে বিষয়টি জানিয়েছিলেন৷ এক কর্মকর্তা বলেছেন, ট্রাম্প কোনো বিষয়ের গুরুত্ব না বুঝেই অত্যন্ত অসাবধানভাবে কথা বলে ফেলেন৷ বিশেষ করে গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য ও জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে সেই আচরণ দেখা যায়৷

উল্লেখ্য, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলি যে তথ্য প্রেসিডেন্টের হাতে তুলে দেয়, তার অংশবিশেষ সহযোগী বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলির কাছ থেকে আসে৷ এ ক্ষেত্রে এক ধরনের বোঝাপড়া কাজ করে, যাতে কারো স্বার্থের ক্ষতি না হয়৷ সেই তথ্য ফাঁস হলে তার উৎসও বিপদে পড়তে পারে৷ ট্রাম্প এবার তুরস্ক, সৌদি আরব ও ইসরায়েলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চলেছেন৷ তার ঠিক আগে এমন এক মারাত্মক অভিযোগ নিয়ে সংকট হতে পারে বলে অনেক মহল মনে করছে৷

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হার্বার্ট রেমন্ড ম্যাকমাস্টার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন৷ সাংবাদিকদের সামনে তিনি বলেন, আলোচনার সময়ে তিনি নিজে সেই ঘরে উপস্থিত ছিলেন৷ সেখানে বেসামরিক বিমান চলাচলসহ বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে হুমকি সম্পর্কে দুই পক্ষের আলোচনা হয়েছিল৷ সেখানে গোপন তথ্যের উৎস বা সেই তথ্য সংগ্রহের প্রক্রিয়া সম্পর্কে কোনো আলোচনা হয়নি৷ তাছাড়া প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এমন কোনো সামরিক অভিযান নিয়ে কথা বলেননি, যা কারো অজানা রয়েছে৷

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ট্রাম্প ও লাভরভের মধ্যে আলোচনার মূল বিষয় ছিল সন্ত্রাসবাদ দমন অভিযান৷

মার্কিন কংগ্রেস বিষয়টি নিয়ে চরম উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছে৷ বিরোধী ডেমোক্র্যাটিক দলের উপ নেতা ডিক ডারবিন বলেন, ট্রাম্পের আচরণ অত্যন্ত বিপজ্জনক ও বেপরোয়া৷ সেনেটের পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির প্রধান ও রিপাবলিকান দলের সংসদ সদস্য বব কর্কার বলেন, এই অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে সেটা অত্যন্ত দুশ্চিন্তার ঘটনা৷ তিনি আরও বলেন, হোয়াইট হাউসের মধ্যে নিয়মানুবর্তিতার অভাবের কারণে অত্যন্ত উদ্বেগজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য