রাশিয়ার সঙ্গে পশ্চিমের আলোচনায় অগ্রগতি নেই
১৪ জানুয়ারি ২০২২এর আগে সোমবার মার্কিন প্রতিনিধি দল ও বুধবার ন্যাটোর সঙ্গে আলোচনায় বসেছিল রাশিয়ার প্রতিনিধি দল৷
ইউরোপের নিরাপত্তা নীতি এবং ইউক্রেন ও জর্জিয়ার মতো প্রাক্তন সোভিয়েত রাষ্ট্রগুলোর সম্ভাব্য ন্যাটো সদস্যপদ নিয়ে ঘুরেফিরে সেই এক পথে আলোচনা হয়েছে৷ ২০০৮ সালে ন্যাটো উভয় দেশকে ব্লকে যোগদানের সম্ভাবনার প্রস্তাব দিয়েছিল — তবে তারিখ ঠিক না করেই৷ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের হুঁশিয়ারি, পশ্চিমের দেশগুলো এভাবে চলতে থাকলে রাশিয়া ‘সামরিক-প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা’ অবলম্বন করবে৷
ইউক্রেন সংকট নিয়ে উত্তেজনা একটুও কমেনি৷ ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার সামরিক তৎপরতায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আমেরিকা ও ইউরোপের অন্য দেশগুলি৷ ওয়াশিংটন ও ন্যাটোর অন্তর্ভুক্ত মিত্রদের কাছ থেকে সামরিক বিস্তৃতি না বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে মস্কো৷ যদিও তা খারিজ করা হয়েছে৷ তবে ওয়াশিংটন মস্কোকে এ নিয়ে লিখিত বিবৃতি দেয়নি৷
পররাষ্ট্রনীতি বিশেষজ্ঞ ইয়েফহেন মাখদা ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, সবথেকে খারাপ পরিস্থিতি আঁচ করে এই মুহূর্তে প্রস্তুত থাকা উচিত ইউক্রেনের৷ ইউক্রেনের প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী উলোদিমির ওহরিস্কো পশ্চিমের দেশগুলির থেকে অস্ত্র চেয়েছেন৷ রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার লুকাশেভিচ ন্যাটোকে জানিয়েছেন, ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার নির্দিষ্ট কিছু শর্ত মানতে হবে৷
ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল ইয়েন্স স্টলটেনব্যার্গ ডয়চ ভেলের ব্রাসেলসের প্রতিনিধি টেরি শুলৎসকে জানান, প্রায় দু বছর পর ন্যাটোর মিত্রগোষ্ঠীগুলি রাশিয়ার সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল৷ আলোচনা জটিল পর্যায়ে গিয়েছে৷ ইউরোপের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা রয়েছে৷ রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় গেলেও ইউরোপের নিরাপত্তার সঙ্গে কোনওরকম আপস করা যাবে না৷ অ্যামেরিকাও নিশ্চিত করেছে আপসের জন্য কোনওরকম বৈঠক নয়৷ ইউরোপের ২৮টি মিত্রগোষ্ঠী ছিল বৈঠকে৷ হয় ন্যাটোর সঙ্গে আলোচনা করতে হবে নইলে সরাসরি দ্বন্দ্বের পথে যেতে হবে রাশিয়াকে, স্পষ্ট করেন ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল৷
রোমান গোঞ্চারেঙ্কো, আলেকজান্ডার সাভিত্স্কি, টেরি শুলৎস/আরকেসি