1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিরাশিয়া

রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলা নিয়ে ক্রেমলিনে অস্বস্তি

২৪ মে ২০২৩

ইউক্রেন সীমান্তের কাছে বেলগোরোদ অঞ্চলে ‘বিদ্রোহী’ গোষ্ঠীর হামলাকে কেন্দ্র করে মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে৷ রাশিয়া বিদ্রোহীদের দমন করেছে বলে দাবি করলেও দুই গোষ্ঠী কার্যকলাপ চালিয়ে যাবার ইঙ্গিত দিয়েছে৷

https://p.dw.com/p/4RkJw
ইউক্রেন সীমান্তের কাছে রাশিয়ার বেলগোরোদ অঞ্চলে সাম্প্রতিক হামলার জন্য কে দায়ী, সে বিষয়ে বিভ্রান্তি এখনো কাটছে না৷
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই ছবিটি প্রকাশ করেছে ছবি: Russian Defence Ministry/Handout via REUTERS

এতকাল ইউক্রেন যুদ্ধ ইউক্রেনের ভূখণ্ডের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল৷ রাশিয়ার হামলার মুখে পশ্চিমা বিশ্ব থেকে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম চাইতে গিয়ে ইউক্রেনের নেতৃত্ব বার বার আশ্বাস দিয়ে এসেছে যে, শুধু অধিকৃত এলাকা থেকে রুশ হানাদার বাহিনীকে বিতাড়িত করতেই সামরিক অভিযান চালানো হচ্ছে৷ রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডে হামলা বা দখলদারির কোনো পরিকল্পনা নেই৷ গত কয়েক দিনের ঘটনাবলি সেই দাবিকে কিছুটা হলেও প্রশ্নের মুখে ফেলছে৷

ইউক্রেন সীমান্তের কাছে রাশিয়ার বেলগোরোদ অঞ্চলে সাম্প্রতিক হামলার জন্য কে দায়ী, সে বিষয়ে বিভ্রান্তি এখনো কাটছে না৷ রাশিয়ার দুটি ক্রেমলিন-বিরোধী গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করেছে৷ ইউক্রেনও সাফ জানিয়ে দিয়েছে, রাশিয়ার ভূখণ্ডে রুশ নাগরিকদের এই কার্যকলাপের সঙ্গে কিয়েভের কোনো সম্পর্ক নেই৷ উল্লেখ্য, প্রায় ১৫ মাস আগে যুদ্ধ শুরু হবার পর থেকে সীমান্তের কাছে রাশিয়ার ভূখণ্ডের উপর বিচ্ছিন্ন হামলা ঘটেছে৷ তবে বেলগোরোদের মতো বড় আকারের ঘটনা আগে ঘটেনি৷

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় অবশ্য ইউক্রেনের কর্তৃপক্ষকেই হামলার জন্য দায়ী করেছে৷ সে দেশের সামরিক গুপ্তচর সংস্থা ‘চরম দক্ষিণপন্থি রুশ উগ্রবাদী' গোষ্ঠীকে মদত দিচ্ছে বলে মস্কো অভিযোগ করে আসছে৷ তবে জোরালো সামরিক শক্তি প্রয়োগ করে বিদ্রোহীদের নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয়েছে বলেও রাশিয়ার কর্তৃপক্ষ দাবি করছে৷ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র অনুযায়ী সংঘর্ষে ৭০ জন ইউক্রেনীয় যোদ্ধা নিহত ও তাদের অনেক যান ধ্বংস হয়েছে৷ বাকিদেরও ইউক্রেনের সীমান্তে কোণঠাসা করে হত্যা করা হয়েছে৷ তবে নিরাপত্তার খাতিরে সংলগ্ন নয়টি গ্রামের মানুষকে উদ্ধার করে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ ‘জাতীয়তাবাদী' বিদ্রোহীদের দমন করতে মঙ্গলবার মাঝরাতে অভিযান শেষ হয়েছে বলে রাশিয়া জানিয়েছে৷ নিজস্ব ভূখণ্ডে বিমান বাহিনী ও কামান ব্যবহার করার প্রয়োজন হওয়ায় রাশিয়ায় অস্বস্তি বাড়ছে৷

বেলগোরোদে হামলার জন্য দায় স্বীকার করা অন্যতম গোষ্ঠী ‘রাশিয়ান ভলেন্টিয়ার কর্পস' সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আশা প্রকাশ কয়েছে, যে কোনো একদিন তাদের পালিয়ে যেতে হবে না৷ সদ্য সমাপ্ত অভিযানে তাদের কোনো ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি হয় নি বলেও এই গোষ্ঠী দাবি করছে৷ ‘ফ্রিডম অফ রাশিয়া লিজিয়ন' নামের দ্বিতীয় গোষ্ঠী দাবি করছে, যে এই অভিযানে তারা রাশিয়ার এক রাইফেল কারখানার ক্ষতি ও রুশ বাহিনীর সাঁজোয়া গাড়ি ধ্বংস করেছে৷ রাশিয়ার নির্বাসিত বিরোধী নেত্রী ইলিা পোনোমারিয়ভের নেতৃত্বে এই গোষ্ঠীর দাবি, তারা ভ্লাদিমির পুটিনকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে৷ ইউক্রেন-ভিত্তিক রুশ জাতীয়তাবাদী নেতা ডেনিস কাপুস্টিন গত ১৭ই মে জানিয়েছিলেন, যে তাঁর ‘রাশিয়ান ভলেন্টিয়ার কর্পস' গোষ্ঠী পোনোমারিয়ভের গোষ্ঠীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করবে৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)