1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিযুক্তরাষ্ট্র

রাশিয়ার বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগের অভিযোগ

২ মে ২০২৪

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের উপর নিষিদ্ধ রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগের অভিযোগ এনেছে৷ মস্কোর উপর নতুন নিষেধাজ্ঞারও ঘোষণা করেছে ওয়াশিংটন৷

https://p.dw.com/p/4fPrI
ইউক্রেনের আভদিভকা শহরে কোক ও কেমিক্যাল প্ল্যান্টের কাছে ধোঁয়া
রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের সময় অ্যাভদিভকা শহরে অ্যাভদিভকা কোক এবং রাসায়নিক প্ল্যান্টের কাছে ধোঁয়া উড়তে দেখা যাচ্ছে।ছবি: Alexander Ermochenko/REUTERS

রাসায়নিক অস্ত্র সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সনদ অনুযায়ী যুদ্ধক্ষেত্রে এমন হাতিয়ার ব্যবহার করা নিষিদ্ধ৷ অথচ রাশিয়া ইউক্রেনের উপর হামলার সময়ে একাধিক ‘ইরিট্যান্ট গ্যাস' প্রয়োগ করেছে বলে মার্কিন প্রশাসন অভিযোগ করেছে৷ সেইসঙ্গে ‘রায়ট কনট্রোল' নামের কাঁদানে গ্যাসও ব্যবহার করেছে বলে ওয়াশিংটন দাবি করছে৷ মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, রাশিয়া মোটেই বিচ্ছিন্নভাবে এমন নিষিদ্ধ রাসায়নিক এজেন্টের প্রয়োগ করে নি৷ বরং পাকা অবস্থান থেকে ইউক্রেনীয় সৈন্যদের তাড়িয়ে দিতে এবং যুদ্ধক্ষেত্রে সুবিধা আদায় করতে সুপরিকল্পিতভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ রাশিয়া রাসায়নিক অস্ত্রভাণ্ডারের অস্তিত্বের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে৷ তা সত্ত্বেও সে ক্ষেত্রে স্বচ্ছতার অভাব দূর করতে মস্কোর উপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে৷

ইউক্রেনের উপর লাগাতার হামলা, সেখানে রাসায়নিক অস্ত্রের প্রয়োগ এবং বিরোধী নেতা আলেক্সি নাভালনির মৃত্যুর দায়ে মার্কিন প্রশাসন রাশিয়ার উপর আরো এক দফা নিষেধাজ্ঞা চাপানোর ঘোষণা করেছে৷ বিশেষ করে সে দেশে অস্ত্র উৎপাদন আরো কঠিন করে তুলতে নতুন পদক্ষেপ নিচ্ছে ওয়াশিংটন৷ এর আওতায় চীন, বেলজিয়াম, স্লোভাকিয়া, আজেরবাইজান, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ একাধিক দেশে প্রায় ২০০ কোম্পানি ও প্রায় ৮০ জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে৷ সেই সব কোম্পানি ও ব্যক্তি রাশিয়াকে অস্ত্র কর্মসূচির জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান সংগ্রহে সহায়তা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে৷ রাশিয়ায় রাসায়নিক ও জৈব অস্ত্র উৎপাদন বানচাল করতেও সুনির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞা চাপাচ্ছে ওয়াশিংটন৷

গত ফেব্রুয়ারি মাসে রুশ বিরোধী নেতা নাভালনির মৃত্যুর সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদেরও মার্কিন নিষেধাজ্ঞার তালিকায় অন্তর্গত করা হয়েছে৷ সাইবেরিয়ায় সুমেরু অঞ্চলের এক প্রিজন ক্যাম্পে তাঁর মৃত্যুর কারণ মোটেই স্বাভাবিক ছিল না বলে মনে করে তাঁর পরিবার৷ এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের যে কোনো সম্পদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকলে সেগুলির নাগাল পাওয়া যাবে না৷ মার্কিন নাগরিক ও অ্যামেরিকার বাসিন্দারাও তাদের সঙ্গে কোনো ব্যবসায়িক সম্পর্ক রাখতে পারবেন না৷

ইউক্রেন যুদ্ধের সূচনা থেকেই অ্যামেরিকাসহ পশ্চিমা জগত রাশিয়ার উপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে আসছে৷ অথচ নানা কৌশলে রাশিয়া সেই সব শাস্তিমূলক পদক্ষেপের ধাক্কা সামলে চলেছে বলে অভিযোগ উঠছে৷ এমন দুর্বলতা দূর করতে মার্কিন প্রশাসন অন্যান্য দেশের দিকে নজর দিচ্ছে৷ রাশিয়া যাতে নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে ঘুরপথে প্রয়োজনীয় পণ্য সংগ্রহ করতে না পারে, তা যতটা সম্ভব নিশ্চিত করাই এমন উদ্যোগের লক্ষ্য৷ এর মাধ্যমে সহযোগী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মনে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ভয় চাপাতে চায় ওয়াশিংটন৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, ডিপিএ)