রাশিয়ার কাছ থেকে যুদ্ধবিমান কিনছে ইরান
১১ মার্চ ২০২৩নানা ধরনের আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক অবরোধের মধ্যে থাকা ইরানের বিমানবহর বেশ পুরাতন৷ অবরোধের কারণে নতুন যুদ্ধবিমান তো বটেই পুরাতন বিমানের জন্য নতুন যন্ত্রপাতি কেনাটাও ইরানের জন্য বেশ কষ্টকর হয়ে পড়েছিল৷
অন্যদিকে রাশিয়াও ইউক্রেন আক্রমণের পর থেকে পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলোর অবরোধের মুখে পড়েছে৷ ফলে একদিকে এমন চুক্তি ইরানের জন্য যেমন অবরোধ এড়িয়ে সামরিক শক্তি আরো বাড়িয়ে নেয়ার সুযোগ হিসাবে হাজির হয়েছে, রাশিয়াও পশ্চিমো রাষ্ট্রগুলোকে এড়িয়ে খুঁজে নিতে পারছে সামরিক ভাণ্ডারের নতুন বাজার৷
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আইআরএনএ এ বিষয়ে ইরান সরকারের একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে৷ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘রাশিয়া জানিয়েছে, তারা বিমানগুলো বিক্রির জন্য প্রস্তুত৷'' জাতিসংঘের ২২৩১ রেজল্যুশন অনুযায়ী অস্ত্র কেনায় ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল৷ কিন্তু সে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে ২০২০ সালের অক্টোবরেই৷
কেবল সামরিক নয়, অন্য নানা খাতেই গত বছর থেকেই রাশিয়ার সঙ্গে বেশ ঘনিষ্ট সম্পর্ক গড়ে তুলেছে ইরান৷
ইরান রাশিয়াকে শাহেদ-১৩৬ ‘কামিকাৎজে' ড্রোন সরবরাহ করেছে৷ গত বছর ইউক্রেন অভিযোগ করে, এসব ড্রোন ইউক্রেনে বেসামরিক স্থাপনায় হামলার কাজে রাশিয়া ব্যবহার করছে৷ তবে ইরান এমন অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে এসেছে৷
ইরান এবং রাশিয়ার মধ্যে বাড়তে থাকা সামরিক সহযোগিতা বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র৷ পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি গত ডিসেম্বরেই ‘রাশিয়া ইরানের কাছে ফাইটার জেট বিক্রি করতে পারে', এমন তথ্য জানিয়েছিলেন৷
তিনি জানিয়েছিলেন, ইরানের পাইলটরা সুখোই বিমান উড্ডয়নের প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন৷ এই বিমান পেলে ইরান তার ‘প্রতিবেশীদের তুলনায় আকাশ যুদ্ধে তুলনামূলক শক্তিশালী হয়ে উঠবে' বলেও সতর্ক করে দিয়েছিলেন কিরবি৷
এখন ইরানের বিমানবহরে যে মিগ এবং সুখোই বিমানগুলো রয়েছে, তার বেশিরভাগই সোভিয়েত আমলের৷ এফ-সেভেন সহ কিছু চীনা বিমান এবং ১৯৭৯ সালের ইসলামিক বিপ্লবের আগের কিছু মার্কিন যুদ্ধবিমানও (এফ-ফোর এবং এফ-ফাইভ) ইরানের কাছে রয়েছে৷
পরমাণু চুক্তি থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের একতরফা যুক্তরাষ্ট্রের নাম সরিয়ে নেয়ার পর ২০১৯ সালে আবার ইরানের ওপর অবরোধ আরোপ করতে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র৷
এডিকে/এআই (এএফপি)