1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ম্যার্কেলের অভিযোগ

কাই আলেক্সান্ডার শলৎস/এসবি১৪ মার্চ ২০১৪

জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সরকার এবার এক সরকারি বিবৃতির মাধ্যমে ক্রাইমিয়া সংকটের প্রেক্ষাপটে রাশিয়ার কড়া সমালোচনা করেছে৷ ম্যার্কেল বলেন, এ ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/1BPQN
ছবি: Odd Andersen/AFP/Getty Images

বৃহস্পতিবার জার্মান সংসদের নিম্ন কক্ষ বুন্ডেসটাগ-এ অত্যন্ত স্পষ্ট ভাষায় নিজের অবস্থান জানিয়েছেন ম্যার্কেল৷ তাঁর মতে, ক্রাইমিয়া উপদ্বীপে রাশিয়ার আচরণ ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও ঐক্য লঙ্ঘন করছে৷ ইউক্রেনের সঙ্গে ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক স্তরে নিবিড় সম্পর্কের খাতিরে রাশিয়ার উচিত সে দেশের স্থিতিশীলতার সহযোগী হওয়া৷ তার বদলে রাশিয়া প্রতিবেশী দেশের বর্তমান দুর্বলতার ফায়দা তুলছে৷

ম্যার্কেল আরও বলেন, রাশিয়া একতরফাভাবে তার ভু-কৌশলগত স্বার্থ জাহির করার চেষ্টা চালাচ্ছে৷ এর ফলে শুধু ইউরোপীয় ঐক্যই বিপন্ন হচ্ছে না, আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে৷ ক্রাইমিয়াকে রাশিয়ার অন্তর্গত করার প্রক্রিয়া যদি চালু থাকে এবং ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের স্থিতিশীলতা বিপন্ন করা হতে থাকে, তাহলে রাশিয়ার নিজস্ব রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বার্থেরও মারাত্মক ক্ষতি হবে – স্পষ্ট ভাষায় এমন হুমকি দিয়েছেন ম্যার্কেল৷

এই প্রেক্ষাপটে চ্যান্সেলর ম্যার্কেল আরও বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না৷ প্রয়োজনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার তৃতীয় পর্যায় কার্যকর করা হবে৷ তবে সামরিক পদক্ষেপের কোনো সম্ভাবনা তিনি দেখছেন না৷ স্থিতিশীলতা রক্ষা ও সংস্কারের ক্ষেত্রে ইউক্রেন-কে আরও সহায়তা করার অঙ্গীকার করেন৷

ম্যার্কেল এর আগেই বলেছিলেন, ইউক্রেনে রাশিয়া তার বর্তমান কার্যকলাপের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে৷ তিনি মস্কোর উদ্দেশ্যে ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব রক্ষার ডাক দিয়েছেন৷ এক সংবাদপত্রের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, একতরফাভাবে আন্তর্জাতিক সীমান্ত বদলানো যায় না৷ ইউক্রেনের মানুষ তাদের ভবিষ্যৎ নিজেরাই নির্ধারণ করবে, বলেন ম্যার্কেল৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য