রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে ব্লগারদের আপত্তি
২২ এপ্রিল ২০১৩এ লক্ষ্যে দুই দেশের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে ‘বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি' নামে একটি কোম্পানিও গঠন করা হয়েছে৷
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ সচিব মনোয়ার ইসলাম বলেন, ‘‘বিদ্যুতের মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে কয়লা দিয়ে ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে৷ তারই বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে৷''
তবে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কারণে রামপাল ও তার পাশে অবস্থিত সুন্দরবনের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন অনেক ব্লগার৷
সামহয়্যার ইন ব্লগে বিবাগী বাউল লিখেছেন, বিদ্যুৎ সংকটের অজুহাতে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী সুন্দরবন বিধ্বংসী ও প্রাণ-পরিবেশ-প্রতিবেশ-জীবন-জীবিকা ধ্বংসকারী কোনো প্রকল্প মেনে নেয়া যায় না৷ তাই অবিলম্বে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের প্রকল্প বাতিল করার দাবি জানিয়েছেন তিনি৷
এ প্রসঙ্গে প্রধান বিরোধী দল বিএনপির ভূমিকারও সমালোচনা করেন ব্লগার বিবাগী বাউল৷ ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত এই চুক্তিকে ‘জাতীয় স্বার্থবিরোধী' আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, বিরোধী জোট এ প্রসঙ্গে কোনো প্রতিবাদ না করে ‘চলমান ভারতীয় লুণ্ঠন'-কে পরোক্ষভাবে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে৷
আরেক ব্লগার ‘টি-ভাইরাস' সামহয়্যার ইন ব্লগে ভারতীয় রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি এনপিটিসি-র ওয়েবসাইট ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের সূত্রের উল্লেখ করে বলেছেন, এনপিটিসি এর আগে ভারতের মধ্যপ্রদেশের নরসিংহপুর জেলায় রামপাল কেন্দ্রের মতোই ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি ইউনিট নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছিল৷ কিন্তু এলাকাটি কৃষিপ্রধান হওয়ায় এবং এর ১৫ কিলোমিটারের মধ্যে সংরক্ষিত বনাঞ্চল থাকায় তারা অনুমতি পায়নি৷
‘রাজনীতি বিশ্লেষণ' নামের আরেক ব্লগারের মন্তব্য, রামপালে কয়লাভিত্তিক তাপ-বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত সুন্দরবনকে ধ্বংস করার অপচেষ্টা মাত্র৷