1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শিশুদের হিজাব নিষিদ্ধের পক্ষে রাজ্যও

১২ এপ্রিল ২০১৮

ছোট মেয়েদের স্কুলে হিজাব পরা নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা করছেন জার্মানির নর্থরাইন ওয়েস্টফেলিয়া রাজ্যের সরকার৷ এই পদক্ষেপ মুসলিম ছাত্রীদের একঘরে করতে পারে বলে ফেডারাল বৈষম্য প্রতিরোধ সংস্থার প্রধানের অভিমত৷

https://p.dw.com/p/2vuwJ
Deutschland: Schülerin mit Kopftuch, Debatte NRW
ছবি: picture-alliance/dpa/W. Kastl

নর্থরাইন ওয়েস্টফেলিয়া রাজ্যের অন্তর্ভুক্তি দপ্তরের কর্মকর্তা সেরাপ গ্যুলার কিন্তু  ১৪ বছরের কম বয়সি মেয়েদের স্কুলে হিজাব পরা নিষিদ্ধ করার পক্ষে একাধিক যুক্তি দেখিয়েছেন৷ অপরদিকে রাজ্যের সিডিইউ-এফডিপি জোট সরকারের প্রস্তাবিত এই নিষেধাজ্ঞা শিক্ষক মহল, শিক্ষা বিশেষজ্ঞ, বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়, এমনকি চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রী দলের মন্ত্রীদের মধ্যেও ব্যাপক বিভাজন ও বিতর্কের সৃষ্টি করেছে৷

গ্যুলার স্বয়ং সিডিইউ দলের সদস্য৷ সরকারি জেডডিএফ টেলিভিশন সংস্থার একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘‘(এই নিষেধাজ্ঞা) একটি শিশুর মুক্ত বিকাশ নিয়ে – যে কারণে এটা ধর্ম বা (মুসলিমদের) সমাজে অন্তর্ভুক্তিকে কেন্দ্র করে নয়, বরং শিশুদের স্বার্থকে কেন্দ্র করে৷'' 

গ্যুলার স্মরণ করিয়ে দেন যে, ইসলামি প্রথা অনুযায়ী বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছানোর পরেই মেয়েদের হিজাব পরা শুরু করা উচিত৷ ‘‘কাজেই এক্ষেত্রে ধর্মীয় স্বাধীনতার যুক্তি উত্থাপন করা উচিৎ নয়, কেননা, ধর্ম এত কমবয়সি মেয়েদের হিজাব পরার কথা বলেনি৷''

গ্যুলার বলেন, ‘‘ডে-কেয়ার আর প্রাইমারি স্কুলের মেয়েদের যে পুরুষদের কাছ থেকে তাদের ‘আকর্ষণ' লুকিয়ে রাখতে হবে, এই মনোভাব শিশুদের যৌন কামনার বস্তু করে তোলে৷''

‘‘একজন তরুণী যখন বলেন, ‘আমি হিজাব পরতে চাই না,' তখন সেটা তাঁর অধিকার এবং আমাদের সেই অধিকার মেনে নিতে ও সম্মান করতে হবে,'' গ্যুলার যোগ করেন৷

মতবিরোধ

চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সিডিইউ দলের সাধারণ সম্পাদক আনেগ্রেট ক্রাম্প-কারেনবাউয়ার বলেছেন, কেন শিশুদের হিজাব পরা উচিত নয়, সেটা তাঁর দল অভিভাবকদের বোঝাতে পারবে বলে তিনি আশা করেন৷ ‘‘কিন্তু আমরা শেষ পন্থা হিসেবে হিজাব নিষেধের সম্ভাবনা পুরোপুরি নাকচ করছি না,'' বলেন ক্রাম্প-কারেনবাউয়ার৷

অপরদিকে ফেডারাল অন্তর্ভুক্তি কমিশনার আনেটে ভিডমান-মাউৎসসহ সিডিইউ দলের অপরাপর সদস্যের মতে হিজাব নিষেধে সাংবিধানিক সমস্যা দেখা দিতে পারে৷ ফেডারাল বৈষম্য প্রতিরোধ সংস্থার প্রধান ক্রিস্টিনে ল্যুডার্স ব্যক্তিগত ধর্মীয় প্রতীক নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে সাবধান করে দিয়েছেন, ‘‘যারা স্কুলে মুসলিমদের হিজাব পরা নিষেধ করতে চান, তারা কোনো সমস্যার সমাধান করছেন না, বরং সে ধরনের শিশুরা যাতে নিজেদের বৈষম্য বা বিচ্ছিন্নতার শিকার বলে মনে করে, তার ব্যবস্থা করছেন৷'' 

এফডিপি প্রধান ক্রিস্টিয়ান লিন্ডনার এনআরডাব্লিউ রাজ্যের অন্তর্ভুক্তি মন্ত্রী এফডিপি রাজনীতিক ইওয়াখিম স্টাম্পের হিজাব নিষেধ পরিকল্পনাকে সমর্থন করে বলেন, ‘‘শিশুদের যদি প্রাইমারি স্কুলে, এমনকি কিন্ডারগার্টেনে হিজাব পরতে হয়, তাহলে অপ্রাপ্তবয়স্কদের ব্যক্তিগত বিকাশধারা বিশেষভাবে প্রভাবিত হবে৷''

বয়সসীমা কী ও কেন?

জার্মানিতে শিশুরা ১৪ বছর বয়স থেকে তাদের ধর্ম নিজেরাই নির্ধারণ করতে পারে৷ ১৯২১ সালের এই আইন অনুযায়ী ১৪ বছর বা তার বেশি বয়সের ছেলেমেয়েরা তাদের ধর্মমত স্বাধীনভাবে বেছে নিতে পারে৷

কতজন শিশু বর্তমানে হিজাব পরে থাকে সে বিষয়ে কোনো পরিসংখ্যান নেই বলে গ্যুলার জানিয়েছেন৷

এপ্রিল মাসের সূচনায় অস্ট্রিয়ার রক্ষণশীল সরকার ১০ বছরের কম বয়সি মেয়েদের কিন্ডারগার্টেন বা স্কুলে হিজাব পরা নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেন৷

এসি/এসিবি (ডিপিএ, ইপিডি, কেএনএ)

প্রতিবেদনটি সম্পর্কে আপনাদের মন্তব্য চাই৷ তাই লিখুন নাচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান