1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রাজীব এখনো অধরা, ‌এবার নজর নারদায়

শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯

গোপন ক্যামেরার সামনে হাত পেতে টাকা নিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-নেত্রীরা৷ সেই স্টিং অপারেশন যিনি করেছিলেন, সেই সাংবাদিক স্যামুয়েল ম্যাথুকেই প্রতারণার দায়ে অভিযুক্ত করেছিল পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ৷

https://p.dw.com/p/3QVQm
ছবি: Central Bureau of Investigation

এবার সেই মামলার তদন্তে তৎপর হলো সিবিআই৷ সারদা কেলেঙ্কারির অন্যতম সন্দেহভাজন, কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার, বর্তমানে রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা দপ্তরের প্রধান রাজীব কুমার এখনো অধরা৷ তবে সিবিআই বসে নেই, এবার তারা তৎপর নারদা দুর্নীতি নিয়ে৷ 

‘‘ডিজি সিআইডি নিজেই পলাতক!‌’’ (প্রতীকী ছবি)

আচমকাই গ্রেপ্তার করা হয়েছে এই মামলার অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত, আইপিএস অফিসার সৈয়দ মহম্মদ হুসেন মির্জাকে৷ স্টিং অপারেশনে দেখা গিয়েছিল, তিনিই শাসকদলের নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেন শিল্পপতির ছদ্মবেশে থাকা সাংবাদিক ম্যাথুকে৷

গত সপ্তাহের শেষে হঠাৎ সৈয়দ মহম্মদ হুসেন মির্জাকে গ্রেপ্তারের পর সিবিআই তিন দফায় জেরা করে মুকুল রায়কে৷ একদা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রভাবশালী নেতা, মমতা ব্যানার্জির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এবং বিশ্বস্ত মুকুল রায় এখন বিজেপিতে৷ মুকুলকে একদফা জেরার পর ধৃত আইপিএস মির্জার সামনে মুখোমুখি বসিয়ে তাদের একসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়৷ এরপর রবিবার মির্জাকে নিয়ে সিবিআই অফিসাররা যান মুকুল রায়ের ফ্ল্যাটে৷

নারদার স্টিং অপারেশনে স্যামুয়েলের সঙ্গে মুকুলকে টাকা দেওয়া নেওয়া নিয়ে কথা বলতে শোনা গিয়েছিল৷ তারপর মুকুল রায়কে দেড় কোটি টাকা দিয়েছিলেন বলে পুলিশের কাছে দাবি করেছেন মির্জা৷ কীভাবে সেই টাকা হাতবদল হয়েছিল, তার পুনরাভিনয় করানো হয় মির্জাকে দিয়ে৷ সেই পর্ব মিটে যাওয়ার পর মুকুল রায় জোর গলায় দাবি করেছেন, তিনি যে টাকা নিয়েছিলেন, তার কোনো প্রমাণ নেই৷ বাকি নেতা-নেত্রীদের টাকা নেওয়ার ভিডিও থাকলেও তার অমন কোনো ভিডিও কেউ দেখাতে পারবেন না৷ 

রাজ্যের রাজনৈতিক মহলের ধারণা, প্রাক্তন তৃণমূল, এখন বিজেপি মুকুল রায়কে দিয়ে নারদার তদন্ত শুরু হলেও আসলে তৃণমূলের বাকি নেতা-নেত্রীদের কাছে পৌঁছতে চাইছে সিবিআই, যেটা সারদা চিটফান্ড কেলেঙ্কারির তদন্তে সম্ভব হয়নি৷ কারণ, এই তদন্তের মূল যোগসূত্র, আইপিএস অফিসার রাজীব কুমার এখনো অধরা৷ পুলিসের ওপর মহলে যদিও রাজনৈতিক কারণে রাজীব কুমারের এই হয়রানি নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে৷ মমতা ব্যানার্জির সরকারের নির্দেশ মানতে বাধ্য হওয়ার খেসারত গিয়েই একজন সৎ ও দক্ষ পুলিশ অফিসারকে এভাবে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্ন উঠে আসছে৷

আরো প্রশ্ন উঠছে, রাজীব কুমারই কি সারদা তদন্তের সাফল্যের চাবিকাঠি?‌ অনেকের ধারণা, ‘‘‌সরকার ওঁকে বাঁচাতে চাইছে, উনি সরকারকে বাঁচাতে চাইছেন৷''‌ ডয়চে ভেলেকে এমনটিই বললেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য৷ তাঁর মতে, এটা দুর্ভাগ্যজনক যে, রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা দপ্তরের প্রধান যিনি, সেই ডিজি সিআইডি নিজেই পলাতক!‌ রাজ্য সরকার এবং পুলিশের কর্মদক্ষতা এতে এক হাস্যকর পর্যায়ে পৌঁছেছে৷