1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিয়ে সম্প্রচারে বর্ণবিদ্বেষের অভিযোগ

২১ মে ২০১৮

ব্রিটেনের রাজকীয় বিয়ের টিভি সম্প্রচারে বর্ণবিদ্বেষের ছায়া৷ জার্মানির সরকারি গণমাধ্যম জেডডিএফ-এর ধারাভাষ্যকারের মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে৷ সংবাদজগত থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচিত হচ্ছে বিষয়টি৷

https://p.dw.com/p/2y3jz
ছবি: Reuters/D. Sagolj

কয়েক দশক আগেও এমন মিশ্র বিয়ে রাজপরিবারে হয়তো ভাবা যেত না, কিন্তু এই শতকে এমন বিয়ে হচ্ছে৷ ব্রিটিশ রাজকুমার হ্যারির সঙ্গে যিনি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন, তিনি খাঁটি ইংরেজ নন৷ মেঘান মার্কল মেক্সিকান বংশোদ্ভূত পিতার মার্কিন সন্তান৷ মার্কলের জাতি পরিচয় বারবার উঠে এলো জার্মান চ্যানেলের সম্প্রচারে৷ ধারাভাষ্যকার মেঘান মার্কলের কালো চুল এবং ক্রমাগত তাঁকে এবং তাঁর অতিথিদের ‘বহিরাগত’ উল্লেখ করায়, তা জাতিবিদ্বেষের পরিচয় বহন করেছে বলে অনেকেই সমালোচনা করেছেন৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং অন্যত্র সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে জেডডিএফ বিষয়টিকে খুব গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে৷

বিতর্কিত মন্তব্যের কয়েকটি

মেঘান মার্কল ও কৃষ্ণাঙ্গ অতিথিদের ‘ভিনদেশি’ বলা হয়েছে বলে সংবাদে প্রকাশ৷

ধারাভাষ্যকারের মন্তব্য, ‘‘মেঘান সবসময় একটি বার্বিডল পরিবার চেয়েছিলেন৷ কিন্তু, এখানে সাদা ও কালো বার্বি পরিবার রয়েছে৷’’ ইংরেজদের মতো মেঘানের কেশ সোনালি নয়, কালো৷ ধারাভাষ্যকার মেগানের চুলের  প্রসঙ্গ টেনেও খোঁচা দিয়েছেন বলে অভিযোগ৷ নানা সংগীতে মুখরিত ছিল হ্যারি-মেঘানের বিবাহ বাসর৷ কয়্যারের শিল্পীদের একটা বড় অংশ ছিলেন কৃষ্ণাঙ্গ৷ জার্মান চ্যানেলে তাঁদেরও কটাক্ষ করা হয়েছে বলে সমালোচনা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়৷

বিতর্কে টেনে আনা হয়েছে ভিক্টোরিয়া বেকহ্যামকেও৷ বলা হয়েছে, ‘‘দেখে মনে হচ্ছে ভিক্টোরিয়া স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞকে দেখাতে এসেছেন৷’’

কী বলছেন অন্যরা

সংবাদমাধ্যমেও সমালোচনার মুখে পড়েছে জেডডিএফ৷ ডি ওয়েল্ট-এর নিকোলা এর্ডমান লিখেছেন, ‘‘মেঘানের জন্ম কোথায়, এই নিয়ে প্রশ্ন তুলে সময় ব্যয় করা হয়েছে৷ আপত্তিকর, একঘেঁয়ে শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে৷ দর্শক ও অন্যান্য যাঁরা অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাঁদের সম্মান দেখানো হয়নি৷’’ ‘হাফিংটন পোস্ট জার্মানি’-তে লেখা হয়েছে, ‘‘চ্যানেলটি কখনও এটা বোঝাতে ক্লান্ত হয়ে পড়েনি যে মার্কল হলেন কালো, কালো, কালো, কালো৷’’ 

গুরুত্বের সঙ্গে অভিযোগ যাচাই

রবিবার সমালোচনার জবাব দিয়েছে জেডডিএফ৷ তারা জানিয়েছে, সমালোচনার পাশাপাশি সম্প্রচারের প্রশংসাও তাদের কাছে পৌঁছেছে৷ ডয়চে ভেলেকে পাঠানো ই-মেলে জেডডিএফ-এর মুখপাত্র বলেছেন, ‘‘দর্শকদের কাছ থেকে ফোন ও ই-মেলে সমালোচনা ও প্রশংসা দুই-ই এসেছে৷ সমালোচনাকে খুব গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷’’ তবে জাতিবিদ্বেষী মন্তব্যের অভিযোগ উঠলেও ক্ষমা চায়নি জেডডিএফ৷

সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিক্রিয়া

কৌতুকাভিনেতা ও টিভি উপস্থাপক অরেল মার্ৎজ টুইটে বলেছেন, ‘‘মেঘান অ্যাফ্রো-আমেরিকান স্পিরিট তুলে ধরেছেন, এই কথায় শ্বেতাঙ্গ-বিদ্বেষ সবচেয়ে বেশি প্রকাশিত হয়েছে৷’’

জেডডিএফকে উদ্দেশ্য করে একজন টুইট করেছেন, ‘‘মেঘানের অতীত রিপোর্টারের মূল বক্তব্য হয়ে উঠেছিল৷ এটা বিরক্তিকর৷ যদি মেঘান শ্বেতাঙ্গ হতেন, ওঁরা কী বলতেন? অনুগ্রহ করে ওঁদের একই দৃষ্টিতে দেখুন৷’’ 

আলিস্টার ওয়ালশ­/পিএস